০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের পুশইন: ১৬ জন আটক উইন্ডসরের প্রাসাদে মেলানিয়া ট্রাম্পের রহস্যময় সাজ আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করল তালেবান জাপানের আনন্দময় “সাকে ট্রেন”-এ এক যাত্রা সফটব্যাংক ভিশন ফান্ডে বড় ধরনের ছাঁটাই। লক্ষ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৌদি- পাকিস্তান সামরিক প্যাক্ট ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব এশিয়ার বিলিয়ন-ডলারের মুনকেক বাজারে নতুন ধারা: দুবাই চকলেট ও পিস্তাচিওর ছোঁয়া শিম্পাঞ্জিদের খাদ্যে অ্যালকোহলের উপস্থিতি ১৯৮৮ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের উত্তরাধিকার আজও মিয়ানমার পেরুর মরুভূমি থেকে আবিষ্কৃত নতুন নগরী: আমেরিকার ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হচ্ছে

কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষপাতী নই:  জিএম কাদের

  • Sarakhon Report
  • ০৬:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • 153

 সারাক্ষণ  রিপোর্ট

বহুদলীয় গণতন্ত্রে জাতীয় পার্টির আস্থা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তাঁর দল সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতে ইচ্ছুক এমন কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা তিনি সমর্থন করেন না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত‑ই‑ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে জাতীয় পার্টি তা প্রতিবাদ করেছিল।

গণহত্যা ও দল নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন

জিএম কাদেরের যুক্তি, যদি কোনো দলকে গণহত্যার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে ১৯৭১‑এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সংগঠনগুলোর বিষয়েও সমান প্রশ্ন উঠবে। সে সময়ই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাপার দাবি

বনানীতে জাতীয় ছাত্র সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, বৈষম্যের প্রতিবাদে রংপুরে জাতীয় পার্টির দুই নেতা শহীদ হন, অন্তত চারজন জেলে যান এবং শত শত কর্মী হয়রানির শিকার হন। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনে জাপার ভূমিকা অস্বীকার করার পাশাপাশি ছাত্র হত্যার মামলায় দলটির নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জাপার অবস্থান

অনেকে অভিযোগ করেন—জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে ‘বৈধতা’ দিয়েছে। জিএম কাদের স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বে জাপার ২৭০ জন প্রার্থী বর্জন করেছিলেন; তখন তিনি মন্ত্রী থাকার পরও পদ ছেড়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪‑র স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও ২০১৮‑র জাতীয় নির্বাচন—যেখানে বিএনপিসহ সব দল অংশ নিয়েছে—সেগুলো কি আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেয়নি? তাঁর ভাষ্য, ২০২৪‑এর নির্বাচনে দলকে ভাঙন ও চাপে ফেলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়; তা সত্ত্বেও কোনো বেআইনি কাজ করেননি বলে তাঁর বিশ্বাস। ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের রায়ই চূড়ান্ত বিচার হবে বলে তিনি মনে করেন।

সভা ও অংশগ্রহণকারী নেতারা

মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্স, সদস্য সচিব মোঃ আরিফ আলীসহ প্রেসিডিয়াম, উপদেষ্টা ও ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের পুশইন: ১৬ জন আটক

কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষপাতী নই:  জিএম কাদের

০৬:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 সারাক্ষণ  রিপোর্ট

বহুদলীয় গণতন্ত্রে জাতীয় পার্টির আস্থা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তাঁর দল সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতে ইচ্ছুক এমন কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা তিনি সমর্থন করেন না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত‑ই‑ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে জাতীয় পার্টি তা প্রতিবাদ করেছিল।

গণহত্যা ও দল নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন

জিএম কাদেরের যুক্তি, যদি কোনো দলকে গণহত্যার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে ১৯৭১‑এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সংগঠনগুলোর বিষয়েও সমান প্রশ্ন উঠবে। সে সময়ই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাপার দাবি

বনানীতে জাতীয় ছাত্র সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, বৈষম্যের প্রতিবাদে রংপুরে জাতীয় পার্টির দুই নেতা শহীদ হন, অন্তত চারজন জেলে যান এবং শত শত কর্মী হয়রানির শিকার হন। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনে জাপার ভূমিকা অস্বীকার করার পাশাপাশি ছাত্র হত্যার মামলায় দলটির নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জাপার অবস্থান

অনেকে অভিযোগ করেন—জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে ‘বৈধতা’ দিয়েছে। জিএম কাদের স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বে জাপার ২৭০ জন প্রার্থী বর্জন করেছিলেন; তখন তিনি মন্ত্রী থাকার পরও পদ ছেড়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪‑র স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও ২০১৮‑র জাতীয় নির্বাচন—যেখানে বিএনপিসহ সব দল অংশ নিয়েছে—সেগুলো কি আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেয়নি? তাঁর ভাষ্য, ২০২৪‑এর নির্বাচনে দলকে ভাঙন ও চাপে ফেলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়; তা সত্ত্বেও কোনো বেআইনি কাজ করেননি বলে তাঁর বিশ্বাস। ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের রায়ই চূড়ান্ত বিচার হবে বলে তিনি মনে করেন।

সভা ও অংশগ্রহণকারী নেতারা

মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্স, সদস্য সচিব মোঃ আরিফ আলীসহ প্রেসিডিয়াম, উপদেষ্টা ও ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।