শিল্পের বন্ধলিস্ট: ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ কারখানা আজ বন্ধ
কোভিডের উত্থান-পতনের মাঝেই শুরু হয় কতিপয় কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখা।
- বৃহত্তম টেক্সটাইল সেক্টর: দেশের রপ্তানি ৮০%–এর উপর নির্ভরশীল এই খাত, লকডাউনের কারণে অর্ডার বাতিল ও দেরিতে অনুদান পাওয়ার ঘটনা। আর্থিক চাপের মুখে অনেক হোলসেল ব্যবসায়ী কর্মীদের বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
- মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ: শহরতলি অঞ্চলে চালু ছোট্ট হাতের কাজের কারখানাগুলো নির্মূল হয়ে যেতে থাকে। ফলে অভিভাবকদের কাজ চলে যায়, ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে থাকা সত্ত্বেও পরিবারকে সাহায্য দেওয়ার সংকট অনুভব করে।
বেসরকারি খাত: নতুন নিয়োগ না হলে, যারা শিক্ষা নেবে?
বেসরকারি ব্যাংক-ঋণ-সংস্থা, আইটি, কল সেন্টার—যে খাতগুলো চাকরির আশার দিকে ইঙ্গিত করত, সেখানেও সংকল্পহীন অবস্থা।
- নিয়োগ বন্ধ: ২০২০-২১ সময়ে তরুণদের জন্য ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপের সুযোগ কমে যায় ৭৫%। চাকরি বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরিতে অনলাইনও অসহায়।
- অভিভাবক-চাপ: উচ্চশিক্ষা নিয়ে শেষে চাকরি না পেলে “পড়াশোনা উল্টো খরচ, উল্টো পোকা,”—এমন সমালোচনা ঘুমোতে দেয় না।
সরকারি চাকরি: স্বপ্ন না দেখে হতাশা
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ঢোকাই অনেক শিক্ষার্থীর প্রধান লক্ষ্য। তবে করোনাকালের স্বল্পসংখ্যক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অভাব।
- সুনির্দিষ্ট উদাহরণ: ২০২১ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলি ১৫% কম পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আসে।
- অগ্রাধিকার হারানো: বরাবর নিম্নবিত্ত পরিবারে সন্তানের পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য সরকারী চাকরি পাওয়া। সেই আশায় ক্লাস শুরু করলেও, বিজ্ঞপ্তির সংকট অভিভাবকদের স্বপ্ন সঙ্কুচিত করে দেয়।
চাকরির বাজারের নির্মম বাস্তবতা
“আমার বাবা-মা বলল, চাকরি না পেলে কী হবে? পড়াশোনার অর্থ ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে”—এমন কথা শুনে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে, শুধুমাত্র ভালো রেজাল্ট করা আর যথেষ্ট নয়; চাকরি বাজারের নির্মম বাস্তবতাও মোকাবেলা করতে হবে।