০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ শিবসা নদী: শতবর্ষী এক প্রাণপ্রবাহ ও তার সুন্দরবনের প্রভাব ইরান যুদ্ধ ও ‘ট্রাম্প নীতি’ চীনের বহুমুখী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘোলাটে করে দিচ্ছে আসিয়ান এখন আর কেবল বৈশ্বিক পুঁজির নীরব গ্রাহক নয় প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৯)

পর্ব ৪: অরাজকতা, ছিনতাই ও সামাজিক বিপর্যয়

ছিনতাই থেকে রাজনৈতিক বাধ্যতা

শিক্ষার্থীদের মাঝে অরাজকতা ও সহিংস প্রবণতা

  • আন্দোলনের উত্তাপে শিক্ষার্থীদের একাংশ জাতীয় পীঠভঙ্গ অবস্থায় পড়েছে। অনেক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৫০,০০০ শিক্ষার্থী অরাজকতা, সহিংসতা এবং ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
  • জীববিজ্ঞান ও রাসায়নিক পটভূমির শিক্ষার্থী অনিকেত (২২) বলেন, “আমরা আন্দোলনে নামার আগে ভাবিনি সহিংসতা এতো বাড়তে পারে। এখন রাস্তায় নামার ভয়।”
  • সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকটি চক্র তৈরি হয়েছে, যারা চাল-বিস্কুট চাঁদাবাজি করছে, কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে, কখনো বাস স্টেশনে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হতাশ।”

ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত

  • ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আশপাশে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শিক্ষার্থী সেজে কলেজ গেট থেকে ছিনতাই করছে। একটি মামলায়, একটি অলঙ্ঘনীয় শিক্ষার্থী গ্রুপ মোটরসাইকেল হারিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
  • ছোট শহরগুলো—যেমন রাজশাহী, খুলনাতেও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। গ্রামীণ এলাকাবাসী বলতে শুরু করেছে, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।”
  • খুলনার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, “ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ কমছে, কারণ অনেকেই ভয়ে ক্লাসে আসছে না—ছিনতাইয়ের আশঙ্কা।”

সামাজিক বিপর্যয়মানসিক চাপ ও পারিবারিক সংকট

  • উপরের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, চলমান অরাজক পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতাকে নষ্ট করছে। অনেকেই পরিবারকে জানায় আন্দোলনে নামলে কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা বাড়বে—কিন্তু বাস্তবে চাকরির বাজার আরও সঙ্কটগ্রস্ত হচ্ছে।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিক্যাল ইউনিট জানিয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থী নিয়োগের তুলনায় এই দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ৪০% বেশি মানসিক বিরক্তি তৈরি করেছে।
  • পরিবারগুলো প্রায়শই এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে লজ্জা বোধ করছে, কারণ গ্রামের লোকজন ভাবছে, “যে ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজে খাতা-কলমে পড়ে, এখন লাগাতার চাঁদাবাজি করছে।” ফলে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতাও বেড়েছে।

ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

পর্ব ৪: অরাজকতা, ছিনতাই ও সামাজিক বিপর্যয়

০২:০০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

ছিনতাই থেকে রাজনৈতিক বাধ্যতা

শিক্ষার্থীদের মাঝে অরাজকতা ও সহিংস প্রবণতা

  • আন্দোলনের উত্তাপে শিক্ষার্থীদের একাংশ জাতীয় পীঠভঙ্গ অবস্থায় পড়েছে। অনেক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৫০,০০০ শিক্ষার্থী অরাজকতা, সহিংসতা এবং ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
  • জীববিজ্ঞান ও রাসায়নিক পটভূমির শিক্ষার্থী অনিকেত (২২) বলেন, “আমরা আন্দোলনে নামার আগে ভাবিনি সহিংসতা এতো বাড়তে পারে। এখন রাস্তায় নামার ভয়।”
  • সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকটি চক্র তৈরি হয়েছে, যারা চাল-বিস্কুট চাঁদাবাজি করছে, কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে, কখনো বাস স্টেশনে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হতাশ।”

ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত

  • ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আশপাশে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শিক্ষার্থী সেজে কলেজ গেট থেকে ছিনতাই করছে। একটি মামলায়, একটি অলঙ্ঘনীয় শিক্ষার্থী গ্রুপ মোটরসাইকেল হারিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
  • ছোট শহরগুলো—যেমন রাজশাহী, খুলনাতেও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। গ্রামীণ এলাকাবাসী বলতে শুরু করেছে, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।”
  • খুলনার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, “ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ কমছে, কারণ অনেকেই ভয়ে ক্লাসে আসছে না—ছিনতাইয়ের আশঙ্কা।”

সামাজিক বিপর্যয়মানসিক চাপ ও পারিবারিক সংকট

  • উপরের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, চলমান অরাজক পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতাকে নষ্ট করছে। অনেকেই পরিবারকে জানায় আন্দোলনে নামলে কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা বাড়বে—কিন্তু বাস্তবে চাকরির বাজার আরও সঙ্কটগ্রস্ত হচ্ছে।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিক্যাল ইউনিট জানিয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থী নিয়োগের তুলনায় এই দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ৪০% বেশি মানসিক বিরক্তি তৈরি করেছে।
  • পরিবারগুলো প্রায়শই এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে লজ্জা বোধ করছে, কারণ গ্রামের লোকজন ভাবছে, “যে ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজে খাতা-কলমে পড়ে, এখন লাগাতার চাঁদাবাজি করছে।” ফলে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতাও বেড়েছে।