ছিনতাই থেকে রাজনৈতিক বাধ্যতা
শিক্ষার্থীদের মাঝে অরাজকতা ও সহিংস প্রবণতা
- আন্দোলনের উত্তাপে শিক্ষার্থীদের একাংশ জাতীয় পীঠভঙ্গ অবস্থায় পড়েছে। অনেক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৫০,০০০ শিক্ষার্থী অরাজকতা, সহিংসতা এবং ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
- জীববিজ্ঞান ও রাসায়নিক পটভূমির শিক্ষার্থী অনিকেত (২২) বলেন, “আমরা আন্দোলনে নামার আগে ভাবিনি সহিংসতা এতো বাড়তে পারে। এখন রাস্তায় নামার ভয়।”
- সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকটি চক্র তৈরি হয়েছে, যারা চাল-বিস্কুট চাঁদাবাজি করছে, কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে, কখনো বাস স্টেশনে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হতাশ।”
ছিনতাই ও চাঁদাবাজি—সমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত
- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আশপাশে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শিক্ষার্থী সেজে কলেজ গেট থেকে ছিনতাই করছে। একটি মামলায়, একটি অলঙ্ঘনীয় শিক্ষার্থী গ্রুপ মোটরসাইকেল হারিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
- ছোট শহরগুলো—যেমন রাজশাহী, খুলনাতেও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। গ্রামীণ এলাকাবাসী বলতে শুরু করেছে, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।”
- খুলনার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, “ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ কমছে, কারণ অনেকেই ভয়ে ক্লাসে আসছে না—ছিনতাইয়ের আশঙ্কা।”
সামাজিক বিপর্যয়—মানসিক চাপ ও পারিবারিক সংকট
- উপরের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, চলমান অরাজক পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতাকে নষ্ট করছে। অনেকেই পরিবারকে জানায় আন্দোলনে নামলে কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা বাড়বে—কিন্তু বাস্তবে চাকরির বাজার আরও সঙ্কটগ্রস্ত হচ্ছে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিক্যাল ইউনিট জানিয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থী নিয়োগের তুলনায় এই দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ৪০% বেশি মানসিক বিরক্তি তৈরি করেছে।
- পরিবারগুলো প্রায়শই এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে লজ্জা বোধ করছে, কারণ গ্রামের লোকজন ভাবছে, “যে ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজে খাতা-কলমে পড়ে, এখন লাগাতার চাঁদাবাজি করছে।” ফলে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতাও বেড়েছে।