সমকালের একটি শিরোনাম “শতভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিএসসিসির”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান।
তিনি জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ২টায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পর আজ রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের সবকয়টির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ঘোষিত ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই মাত্র ৮ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
এ বারের ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন”
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় আর যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন কারাগারে আছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আইনজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, এই বিচার নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। কেউ কেউ এটাকে ‘পলিটিক্যাল ট্রাইব্যুনাল’ বলছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, যে কোনো বিচার নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তোলা সম্ভব, কিন্তু আইনগতভাবে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাও মনে করেন, এই বিচার নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘এই বিচার তো প্রচলিত কোনো আইনের বিধানের দ্বারা হচ্ছে না। এই বিচার তো স্বাভাবিক না, অস্বাভাবিক। এই আইনটা করা হয়েছিল একাত্তরের জন্য। এখন ২০২৪ সালে এই আইনে বিচার হচ্ছে। ভবিষ্যতে তো যারা ২০২৫ বা ২০২৬ সালে থাকবে, তাঁদের বেলাও হতে পারে।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়”
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় (ফিরোজা) এই শুভেচ্ছা অনুষ্ঠান হয়।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আজকে আমাদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত, আনন্দক্ষণ। আমাদের নেত্রী যাকে কেন্দ্র করে আমরা দীর্ঘকাল রাজনীতি করেছি এবং অনেক সফলতা অর্জন করেছে বিএনপি তার নেতৃত্বে, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন এনেছেন- সেই নেত্রীর সঙ্গে যখন আমরা কথা বলে স্বাভাবিকভাবে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি তার যে অবিচল আস্থা, সেই আস্থা তিনি সবসময় প্রকাশ করেন। তার প্রতিটি কথার মধ্যে আমরা সেই বিষয়টা দেখতে পাই। গণতন্ত্রের প্রতি তার যে আস্থা, তার যে অনুরাগ এবং তিনি যে বিশ্বাস করেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ব্যবস্থায় ঠিক সেভাবে কোনো রাষ্ট্রে উপকার করতে পারে না। আমরা সেই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, সবাই সন্তুষ্টচিত্রে ফিরে যাচ্ছি। আরো সিনিয়র নেতারা আছেন তারা দেখা করবেন।
খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এইটুকু জানাতে চাই, তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন, আগের চেয়ে ইনশাআল্লাহ ভালো আছেন। তিনি আপনাদের সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আপনাদের ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন এবং সকলকে তার জন্য দেশের জন্য দোয়া করতে বলেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ভারী শিল্পে শুল্কের চাপ, ব্যয় বাড়বে উৎপাদনে”
এরই মধ্যে ঢাকাসহ চট্টগ্রামে মাঝারি মানের অন্তত ১৫টি ইস্পাত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যেগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ টন রড উৎপাদনে সক্ষম ছিল। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, শিল্প ও কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের মনোযোগ দেয়াটা জরুরি হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো।
২ জুন উপস্থাপিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে দেশের সবচেয়ে ভারী শিল্প হিসেবে পরিচিত ইস্পাত খাতে মূল্য সংযোজন কর যুক্ত করায় মোট করহার বেড়েছে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে প্রতি টনে ১ হাজার ৫০০ টাকা শুল্ক নির্ধারিত ছিল। নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে এ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলেও কাঁচামাল আমদানিতে নতুন করে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছে প্রতি টনে ১ হাজার ৮০০ টাকা। অর্থাৎ আমদানি পর্যায়ে কর কার্যত আগের শুল্কের চেয়ে ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে। এছাড়া অগ্রিম আয়কর আগে যেখানে প্রতি টনে ৫০০ টাকা ছিল, সেটি বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে ৬০০ টাকা। ইস্পাত খাতে এ অগ্রিম কর পরবর্তী সময়ে সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে না। রড তৈরির অপর গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল স্পঞ্জ আয়রন ও পিগ আয়রনের আমদানিতেও এবার ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, এ ট্যাক্স যুক্ত হয়ে প্রতি টনে খরচ বাড়বে আরো প্রায় ১০০ টাকা।
এ তো গেল উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় বৃদ্ধির হিসাব। এবার বিক্রয় পর্যায়েও বাড়বে খরচ। আগে রড বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ভ্যাট ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা, যা এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। অর্থাৎ বিক্রয় পর্যায়ে প্রতি টনে কর বেড়েছে ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে আমদানি ও বিক্রি পর্যায়ে ইস্পাত শিল্পের উদ্যোক্তাদের এখন থেকে প্রতি টন রডের বিপরীতে অতিরিক্ত কর গুনতে হবে ১ হাজার টাকা।