১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

গৃহশ্রমিক দিবস ২০২৫: অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান

দিবস ও কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় গার্হ্যস্থ নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

নেতৃত্ব ও উপস্থিতি

সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মমতাজ বেগম।
প্রধান অতিথি: শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
সঞ্চালনা: সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, উপদেষ্টা মোস্তফা আলমগীর রতন, সাবেক সভাপতি আমেনা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক রেনু বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আক্তার প্রমুখ।

কেন গৃহশ্রমিকেরা বঞ্চিত

বক্তাদের ভাষ্যে, গৃহশ্রমিকরা বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমশক্তি।

  • শ্রমের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই, অথচ নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন কাজ তাঁদের শ্রম ছাড়া চলে না।
  • মোট গৃহশ্রমিকের ৯৫ ভাগই নারী ও শিশু, যাদের অধিকাংশই সামাজিক সুরক্ষা থেকে বাইরে।

আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও শ্রম আইন

২০১১ সালে আইএলও ‘গৃহশ্রমিকের জন্য শোভন কাজ’ (কনভেনশন ১৮৯) গ্রহণ করে। বাংলাদেশ এখনো তা অনুসমর্থন করেনি এবং গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তও করেনি।
ফলে অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আইনি ভিত্তি না থাকায় প্রতিবছর শতাধিক গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন শিশু গৃহশ্রমিকের মৃত্যুও ঘটেছে, কিন্তু আইনের শক্ত প্রয়োগ না থাকায় তাঁদের পরিবার সুবিচার পাননি।

সমাবেশের প্রধান দাবিগুলো

১. চলতি বাজেটে গৃহশ্রমিকদের জন্য আলাদা সামাজিক সুরক্ষা বরাদ্দ।
২. গৃহশ্রমিকদের নিবন্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রম আইনে দ্রুত অন্তর্ভুক্তি।
৩. আইএলও কনভেনশন ১৮৯ অনুসমর্থন করে জাতীয় আইন ও নীতিতে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

বক্তারা মনে করেন, গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের বিকল্প নেই। আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে গৃহশ্রমিক নির্যাতন ও মৃত্যুর দায় সরকার ও রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। বক্তারা দ্রুততম সময়ের ভেতর এসব দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গৃহশ্রমিক দিবস ২০২৫: অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান

০৮:০০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

দিবস ও কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় গার্হ্যস্থ নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

নেতৃত্ব ও উপস্থিতি

সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মমতাজ বেগম।
প্রধান অতিথি: শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
সঞ্চালনা: সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, উপদেষ্টা মোস্তফা আলমগীর রতন, সাবেক সভাপতি আমেনা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক রেনু বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আক্তার প্রমুখ।

কেন গৃহশ্রমিকেরা বঞ্চিত

বক্তাদের ভাষ্যে, গৃহশ্রমিকরা বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমশক্তি।

  • শ্রমের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই, অথচ নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন কাজ তাঁদের শ্রম ছাড়া চলে না।
  • মোট গৃহশ্রমিকের ৯৫ ভাগই নারী ও শিশু, যাদের অধিকাংশই সামাজিক সুরক্ষা থেকে বাইরে।

আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও শ্রম আইন

২০১১ সালে আইএলও ‘গৃহশ্রমিকের জন্য শোভন কাজ’ (কনভেনশন ১৮৯) গ্রহণ করে। বাংলাদেশ এখনো তা অনুসমর্থন করেনি এবং গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তও করেনি।
ফলে অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আইনি ভিত্তি না থাকায় প্রতিবছর শতাধিক গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন শিশু গৃহশ্রমিকের মৃত্যুও ঘটেছে, কিন্তু আইনের শক্ত প্রয়োগ না থাকায় তাঁদের পরিবার সুবিচার পাননি।

সমাবেশের প্রধান দাবিগুলো

১. চলতি বাজেটে গৃহশ্রমিকদের জন্য আলাদা সামাজিক সুরক্ষা বরাদ্দ।
২. গৃহশ্রমিকদের নিবন্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রম আইনে দ্রুত অন্তর্ভুক্তি।
৩. আইএলও কনভেনশন ১৮৯ অনুসমর্থন করে জাতীয় আইন ও নীতিতে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

বক্তারা মনে করেন, গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের বিকল্প নেই। আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে গৃহশ্রমিক নির্যাতন ও মৃত্যুর দায় সরকার ও রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। বক্তারা দ্রুততম সময়ের ভেতর এসব দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।