০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
মুহুরী নদী: একটি আন্তঃসীমান্ত নদীর গল্প — উৎস, জীবন ও চিরস্থায়ী সংকট মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্য চুক্তির পর দেশে বড় বিনিয়োগ ঘোষণা স্যামসাং ও হিউন্দাইয়ের চীন সফরে জার্মান অর্থমন্ত্রী: বাণিজ্য ঘাটতি, রেয়ার আর্থ সংকট ও ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনে নতুন উত্তেজনা রাশিয়ার নোভোরোসিস্ক বন্দর আবারও তেল রফতানি শুরু করেছে  সাফা কবির: আলো-অন্ধকার ছুঁয়ে উঠে আসা এক তারকার আত্মজয়ের গল্প বিশাল উলি ম্যামথ ‘ইউকা’র জমাট দেহে চমকপ্রদ আবিষ্কার জামায়াত নেতার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ মরমন স্ত্রীদের গোপন জীবন: আমেরিকার সাংস্কৃতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি আইফোন পকেট: স্টাইলিশ নাকি অর্থের অপচয়? নস্ট্যালজিয়ায় জোয়ার—বয়স্কদের লেগো-ক্রেজ বাড়াচ্ছে নতুন প্রবণতা

নতুন পানির সঙ্গে ফিরে আসে গ্রামবাংলার ছোট মাছের জীবন

বর্ষার জল ও জীবনের প্রত্যাবর্তন

বাংলাদেশের গ্রামীণ জনজীবনে বর্ষাকাল কেবল একটি ঋতু নয়এটি এক জীবন্ত সংস্কৃতি। আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিপাত যখন মাঠ-ঘাট প্লাবিত করেতখন শুকনো ধানের খেতফাটল ধরা মাটির আল আর দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত খাল-বিল আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই নতুন পানির স্রোতের সঙ্গে গ্রামে ফিরে আসে বহুপ্রতীক্ষিত প্রাণছোট মাছ। শুধু পুষ্টির উৎস নয়এই মাছগুলো গ্রামীণ জীবনের আবেগসংস্কৃতি ও টিকে থাকার প্রতীক।

নতুন পানির প্রথম অতিথিরা

জুনের মাঝামাঝি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও হাওর এলাকায় নতুন পানি জমা হতে শুরু করে। এই পানির সঙ্গে সঙ্গে আসে নানা জাতের দেশি মাছপুঁটিট্যাংরাচিংচিকৈশিংমাগুরগজারখলিশাচান্দাফলিবোয়ালবাইনবাতাসিযাদের অনেকেই সারা বছর একবারও জালে ওঠে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমে ছোট ছোট জলাশয়ে বংশবিস্তার করে। নতুন পানির প্রবাহ সেই ডিম ও পোনাকে প্রবাহিত করে মাঠ-ঘাটে ছড়িয়ে দেয়। ফলে নতুন পানির সাত-দশ দিনের মধ্যেই শুরু হয় মাছ ধরা।

মাছ ধরা উৎসব

মাছ ধরার উৎসব

সকালের প্রথম আলোয় গ্রামীণ প্রান্তরে শুরু হয় মাছ ধরার দৃশ্য। বালতির পাশে দাঁড়ানো শিশুরা মুখভর্তি হাসি নিয়ে জালে ধরা পুঁটি বা ট্যাংরাকে কৌতূহলের সঙ্গে দেখে। নারীরা খুন্তি’, ‘বেলু’ বা হাতে তৈরি কোঁচ’ দিয়ে ধানের গোড়ায় মাছ খোঁজেছেলেরা বাঁশের তৈরি ঢালাতোপা বা বেহুন্দি নিয়ে নামে খাল-বিলে।

অনেক এলাকায় এটি পরিণত হয় ছোটখাটো উৎসবে। একসঙ্গে ২০-২৫ জন গ্রামবাসী মিলে ধানক্ষেতে হাতা’ বা হাঁড়া’ পদ্ধতিতে জাল পেতে মাছ ধরে। মাছ কম হলেও আনন্দ থাকে পূর্ণমাত্রায়।

পুষ্টির আধার ছোট মাছ

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিতে ছোট মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গবেষণা বলছেদেশি ছোট মাছ যেমন পুঁটিমেনিখলিশাশিংটেংরাসবগুলোরই হাড়সহ খাওয়া যায় এবং এতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়ামআয়রনজিঙ্ক ও ভিটামিন-এ। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য এই মাছ অত্যন্ত উপকারী।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছেমাত্র ১০০ গ্রাম ছোট মাছ দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। অথচ এই মাছই এখন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।

কুমিল্লায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ

বিলুপ্তির হুমকিতে দেশি মাছ

প্রাকৃতিক মাছের উৎসগুলো আজ নানা কারণে হুমকির মুখে। অপরিকল্পিত পুকুর খননরাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারজলাশয় ভরাটঅপরিকল্পিত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণে খাল-বিলের সঙ্গে প্রধান নদীর সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।

তাছাড়াপ্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাছের ওপর চাহিদা বেশি হলেও জেনেটিকভাবে অপরিশুদ্ধ পোনা ছাড়ার কারণে প্রকৃত দেশি জাতগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে কৈশিংমাগুরটেংরাএদের প্রকৃত প্রজাতি আজকাল খুঁজে পাওয়াই কঠিন।

নতুন প্রজন্ম ও হারিয়ে যাওয়া স্বাদ

বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আর জানেই না কৈ মাছের মজাদার কালিজিরা ভুনাপুঁটির টক ঝোলশিং-মাগুরের ডালনা বা খলিশার ভাজা কেমন ছিল। শহুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এসব মাছের দেখা মেলে না। এমনকি গ্রামের বাজারেও ছোট মাছ এখন দুষ্প্রাপ্য’ তালিকায় চলে গেছে। যারা এখনও মাঝে মাঝে এসব মাছ খেতে পায়তারা একে ভাগ্যের সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য করে।

এই হারিয়ে যাওয়া স্বাদের পেছনে কারণ শুধু সরবরাহ নয়গ্রামীণ জীবনের বদলও। আগের মতো শিশু-কিশোররা আর মাছ ধরায় অংশ নেয় নাতরুণ প্রজন্মও কৃষিকাজ ও জলজ জীববৈচিত্র্যে আগ্রহ হারাচ্ছে।

Department of Agricultural Extension (DAE) | PotatoPro

টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা ও উদ্যোগ

তবে আশার আলোও আছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এখন দেশি মাছের সংরক্ষণে কাজ করছে। মৌসুমি জলাশয়গুলোতে নিয়ন্ত্রিতভাবে পোনা ছাড়া হচ্ছেদেশি জাত ফিরিয়ে আনতে গবেষণা চলছে। কিছু এলাকায় বর্ষাকালীন মাঠকে মাছের প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা করে ৩০-৪৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছেযেন পোনাগুলো বড় হয়ে ওঠে।

গোপালগঞ্জফরিদপুরকিশোরগঞ্জনেত্রকোনানওগাঁখুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে বর্ষার পানিতে চাষযোগ্য মাছের পাইলট প্রকল্প চলেছেযেখানে ধানক্ষেতেই দেশি মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাঁচতে হলে ফিরিয়ে আনতে হবে প্রকৃতি

বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও ছোট মাছ একে অপরের পরিপূরক। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বর্ষাকালের এই নতুন পানির ঢল আমাদের মনে করিয়ে দেয়প্রকৃতি এখনও আমাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চায়শুধু দরকার সচেতনতাসংরক্ষণ ও সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা।

ছোট মাছ শুধু খাদ্য নয়এটি আমাদের ইতিহাসঐতিহ্য ও টিকে থাকার উপকরণ। এই বর্ষায় যখন আবার ধানখেত ভরে উঠবে পুঁটি-ট্যাংরার দাপটেতখন আসুন আমরা শুধু খাবার জন্যে নয়এসব মাছকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও নেব।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুহুরী নদী: একটি আন্তঃসীমান্ত নদীর গল্প — উৎস, জীবন ও চিরস্থায়ী সংকট

নতুন পানির সঙ্গে ফিরে আসে গ্রামবাংলার ছোট মাছের জীবন

০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বর্ষার জল ও জীবনের প্রত্যাবর্তন

বাংলাদেশের গ্রামীণ জনজীবনে বর্ষাকাল কেবল একটি ঋতু নয়এটি এক জীবন্ত সংস্কৃতি। আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিপাত যখন মাঠ-ঘাট প্লাবিত করেতখন শুকনো ধানের খেতফাটল ধরা মাটির আল আর দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত খাল-বিল আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই নতুন পানির স্রোতের সঙ্গে গ্রামে ফিরে আসে বহুপ্রতীক্ষিত প্রাণছোট মাছ। শুধু পুষ্টির উৎস নয়এই মাছগুলো গ্রামীণ জীবনের আবেগসংস্কৃতি ও টিকে থাকার প্রতীক।

নতুন পানির প্রথম অতিথিরা

জুনের মাঝামাঝি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও হাওর এলাকায় নতুন পানি জমা হতে শুরু করে। এই পানির সঙ্গে সঙ্গে আসে নানা জাতের দেশি মাছপুঁটিট্যাংরাচিংচিকৈশিংমাগুরগজারখলিশাচান্দাফলিবোয়ালবাইনবাতাসিযাদের অনেকেই সারা বছর একবারও জালে ওঠে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমে ছোট ছোট জলাশয়ে বংশবিস্তার করে। নতুন পানির প্রবাহ সেই ডিম ও পোনাকে প্রবাহিত করে মাঠ-ঘাটে ছড়িয়ে দেয়। ফলে নতুন পানির সাত-দশ দিনের মধ্যেই শুরু হয় মাছ ধরা।

মাছ ধরা উৎসব

মাছ ধরার উৎসব

সকালের প্রথম আলোয় গ্রামীণ প্রান্তরে শুরু হয় মাছ ধরার দৃশ্য। বালতির পাশে দাঁড়ানো শিশুরা মুখভর্তি হাসি নিয়ে জালে ধরা পুঁটি বা ট্যাংরাকে কৌতূহলের সঙ্গে দেখে। নারীরা খুন্তি’, ‘বেলু’ বা হাতে তৈরি কোঁচ’ দিয়ে ধানের গোড়ায় মাছ খোঁজেছেলেরা বাঁশের তৈরি ঢালাতোপা বা বেহুন্দি নিয়ে নামে খাল-বিলে।

অনেক এলাকায় এটি পরিণত হয় ছোটখাটো উৎসবে। একসঙ্গে ২০-২৫ জন গ্রামবাসী মিলে ধানক্ষেতে হাতা’ বা হাঁড়া’ পদ্ধতিতে জাল পেতে মাছ ধরে। মাছ কম হলেও আনন্দ থাকে পূর্ণমাত্রায়।

পুষ্টির আধার ছোট মাছ

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিতে ছোট মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গবেষণা বলছেদেশি ছোট মাছ যেমন পুঁটিমেনিখলিশাশিংটেংরাসবগুলোরই হাড়সহ খাওয়া যায় এবং এতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়ামআয়রনজিঙ্ক ও ভিটামিন-এ। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য এই মাছ অত্যন্ত উপকারী।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছেমাত্র ১০০ গ্রাম ছোট মাছ দৈনিক ক্যালসিয়ামের প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। অথচ এই মাছই এখন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।

কুমিল্লায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ

বিলুপ্তির হুমকিতে দেশি মাছ

প্রাকৃতিক মাছের উৎসগুলো আজ নানা কারণে হুমকির মুখে। অপরিকল্পিত পুকুর খননরাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারজলাশয় ভরাটঅপরিকল্পিত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণে খাল-বিলের সঙ্গে প্রধান নদীর সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।

তাছাড়াপ্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাছের ওপর চাহিদা বেশি হলেও জেনেটিকভাবে অপরিশুদ্ধ পোনা ছাড়ার কারণে প্রকৃত দেশি জাতগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে কৈশিংমাগুরটেংরাএদের প্রকৃত প্রজাতি আজকাল খুঁজে পাওয়াই কঠিন।

নতুন প্রজন্ম ও হারিয়ে যাওয়া স্বাদ

বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আর জানেই না কৈ মাছের মজাদার কালিজিরা ভুনাপুঁটির টক ঝোলশিং-মাগুরের ডালনা বা খলিশার ভাজা কেমন ছিল। শহুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এসব মাছের দেখা মেলে না। এমনকি গ্রামের বাজারেও ছোট মাছ এখন দুষ্প্রাপ্য’ তালিকায় চলে গেছে। যারা এখনও মাঝে মাঝে এসব মাছ খেতে পায়তারা একে ভাগ্যের সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য করে।

এই হারিয়ে যাওয়া স্বাদের পেছনে কারণ শুধু সরবরাহ নয়গ্রামীণ জীবনের বদলও। আগের মতো শিশু-কিশোররা আর মাছ ধরায় অংশ নেয় নাতরুণ প্রজন্মও কৃষিকাজ ও জলজ জীববৈচিত্র্যে আগ্রহ হারাচ্ছে।

Department of Agricultural Extension (DAE) | PotatoPro

টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা ও উদ্যোগ

তবে আশার আলোও আছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এখন দেশি মাছের সংরক্ষণে কাজ করছে। মৌসুমি জলাশয়গুলোতে নিয়ন্ত্রিতভাবে পোনা ছাড়া হচ্ছেদেশি জাত ফিরিয়ে আনতে গবেষণা চলছে। কিছু এলাকায় বর্ষাকালীন মাঠকে মাছের প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা করে ৩০-৪৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছেযেন পোনাগুলো বড় হয়ে ওঠে।

গোপালগঞ্জফরিদপুরকিশোরগঞ্জনেত্রকোনানওগাঁখুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে বর্ষার পানিতে চাষযোগ্য মাছের পাইলট প্রকল্প চলেছেযেখানে ধানক্ষেতেই দেশি মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাঁচতে হলে ফিরিয়ে আনতে হবে প্রকৃতি

বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও ছোট মাছ একে অপরের পরিপূরক। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বর্ষাকালের এই নতুন পানির ঢল আমাদের মনে করিয়ে দেয়প্রকৃতি এখনও আমাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চায়শুধু দরকার সচেতনতাসংরক্ষণ ও সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা।

ছোট মাছ শুধু খাদ্য নয়এটি আমাদের ইতিহাসঐতিহ্য ও টিকে থাকার উপকরণ। এই বর্ষায় যখন আবার ধানখেত ভরে উঠবে পুঁটি-ট্যাংরার দাপটেতখন আসুন আমরা শুধু খাবার জন্যে নয়এসব মাছকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও নেব।