০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাত–পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে জোর লাইফ এন্ডাওমেন্ট উদ্যোগে গুরুতর রোগীদের নতুন আশার আলো, একশ চল্লিশ রোগীর চিকিৎসায় টেকসই অর্থায়ন শুরু চাঁদপুর–শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু, কুয়াশার কারণে ছিল দীর্ঘ বিরতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ ইনকিলাব মঞ্চের রোববার সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন, চিকিৎসায় কঠিন সময় পার করছেন ঘরে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতার বাবা ও চাচাকে কুপিয়ে হত্যা বিজিবির হস্তক্ষেপে জয়পুরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করল বিএসএফ জামায়াতের সঙ্গে জোট না করতে নাহিদ ইসলামকে অনুরোধ এনসিপির ৩০ নেতার রিহ্যাব মেলা ২০২৫-এর শেষ দিনে উপচে পড়া ভিড়, স্বপ্নের বাড়ির খোঁজে ক্রেতাদের শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৮)

যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

এর পর তিনি পূর্বদিকে তক্কমকানের মরুভূমির দক্ষিণ পাশ দিয়ে চললেন। এই ভয়ংকর মরুভূমির নাম তিনি বলেছেন, ‘বিশাল বহমান বালি’। ‘এখানে বালি সর্বদাই চলমান। পথের কোনো চিহ্ন নেই, তাই অনেক সময় পথ ভুল হয়ে যায়। চারিদিকে কেবল বালি ধুধু করছে। কোনো জল বা উদ্ভিদ নেই; কেবল গরম বাতাসের ঝড়। কি মানুষ কি পশু ঝড়ের সময় অজ্ঞান হয়ে যায়।

সব সময়েই গান বা শিষ দেওয়ার শব্দ, কখনো কখনো কান্নার শব্দ শোনা যায়। দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে লোক হতভম্ব হয়ে যায়, অনেক সময়ে মরেও যায়। এসব ভূতপ্রেতের কাণ্ড।’

এইভাবে আসতে আসতে তিনি ‘না-ফো-পো’ (সম্ভবতঃ লবণরের) কাছে এলেন। এ পথের বিবরণ অরেল স্টাইন ও অন্যান্য অনেক আধুনিক ভ্রমণকারীর পুস্তকে পাওয়া যায়।

তার পর আবার গোবির মরুভূমির দক্ষিণপাশ দিয়ে হিউএনচাঙ চীনদেশে পৌঁছলেন।

তিনি নিজের ভ্রমণকাহিনীর শেষে কয়েকটি কথা লিখেছেন, যা সকল ভ্রমণকারীদেরই মনে রাখা উচিত। তিনি বলেছেন-

‘এ ভ্রমণবৃত্তান্তে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা লিখেছি। যতদূর জানতে পেরেছি, দেশগুলির সীমানার বিবরণ দিয়েছি। জাতীয় আচার-ব্যবহারের গুণ-দোষ আবহাওয়ার বর্ণনা করেছি। নৈতিক আচরণের স্থিরতা নেই। লোকের রুচিও বিভিন্ন। যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

যেখানেই গিয়েছি যাত্রার বিবরণের স্মারক লিপি রেখেছি।’

চীনের সীমান্তে পৌঁছে হিউ এনচাঙ খোটান থেকে যে লোক, ঘোড়া আর উটগুলি এসেছিল সেগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

সংযুক্ত আরব আমিরাত–পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে জোর

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৮)

০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

এর পর তিনি পূর্বদিকে তক্কমকানের মরুভূমির দক্ষিণ পাশ দিয়ে চললেন। এই ভয়ংকর মরুভূমির নাম তিনি বলেছেন, ‘বিশাল বহমান বালি’। ‘এখানে বালি সর্বদাই চলমান। পথের কোনো চিহ্ন নেই, তাই অনেক সময় পথ ভুল হয়ে যায়। চারিদিকে কেবল বালি ধুধু করছে। কোনো জল বা উদ্ভিদ নেই; কেবল গরম বাতাসের ঝড়। কি মানুষ কি পশু ঝড়ের সময় অজ্ঞান হয়ে যায়।

সব সময়েই গান বা শিষ দেওয়ার শব্দ, কখনো কখনো কান্নার শব্দ শোনা যায়। দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে লোক হতভম্ব হয়ে যায়, অনেক সময়ে মরেও যায়। এসব ভূতপ্রেতের কাণ্ড।’

এইভাবে আসতে আসতে তিনি ‘না-ফো-পো’ (সম্ভবতঃ লবণরের) কাছে এলেন। এ পথের বিবরণ অরেল স্টাইন ও অন্যান্য অনেক আধুনিক ভ্রমণকারীর পুস্তকে পাওয়া যায়।

তার পর আবার গোবির মরুভূমির দক্ষিণপাশ দিয়ে হিউএনচাঙ চীনদেশে পৌঁছলেন।

তিনি নিজের ভ্রমণকাহিনীর শেষে কয়েকটি কথা লিখেছেন, যা সকল ভ্রমণকারীদেরই মনে রাখা উচিত। তিনি বলেছেন-

‘এ ভ্রমণবৃত্তান্তে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা লিখেছি। যতদূর জানতে পেরেছি, দেশগুলির সীমানার বিবরণ দিয়েছি। জাতীয় আচার-ব্যবহারের গুণ-দোষ আবহাওয়ার বর্ণনা করেছি। নৈতিক আচরণের স্থিরতা নেই। লোকের রুচিও বিভিন্ন। যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

যেখানেই গিয়েছি যাত্রার বিবরণের স্মারক লিপি রেখেছি।’

চীনের সীমান্তে পৌঁছে হিউ এনচাঙ খোটান থেকে যে লোক, ঘোড়া আর উটগুলি এসেছিল সেগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

(চলবে)