০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
টাইফুন ‘কালমেগি’-এর তাণ্ডবে ভিয়েতনামে প্রাণহানি, ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২০০ ইলন মাস্ক পেলেন ইতিহাসগড়া বেতন অনুমোদন, টেসলার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোট্যাক্সি কেন্দ্রীয় ভূমিকা চার দশকের সংঘাতের অবসানে তুরস্কের বড় পদক্ষেপ — পিকেকে যোদ্ধাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি বিশ্ববাজারে ওয়াইন বিক্রিতে ধাক্কা, মার্কিন ও চীনা বাজারে মন্দা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা, মানসিক যুদ্ধ থেকে বাঁচবে কীভাবে? ২০২৫ সালের ১০০ প্রভাবশালী জলবায়ু-অভিযান নেতা: বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে ব্যবসার নতুন অঙ্গীকার আনিসিমোভার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন: রিবাকিনা সেমিফাইনালে জায়গা পেলেন বেসামরিক যুদ্ধে ভেটেরানদের জন্য বিক্রিত শিল্পের উত্থান ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ দুর্ঘটনা: তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম মেক্সিকো: রাষ্ট্রপতি শেইনবাউমের প্রতি শারীরিক নির্যাতন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৮)

যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

এর পর তিনি পূর্বদিকে তক্কমকানের মরুভূমির দক্ষিণ পাশ দিয়ে চললেন। এই ভয়ংকর মরুভূমির নাম তিনি বলেছেন, ‘বিশাল বহমান বালি’। ‘এখানে বালি সর্বদাই চলমান। পথের কোনো চিহ্ন নেই, তাই অনেক সময় পথ ভুল হয়ে যায়। চারিদিকে কেবল বালি ধুধু করছে। কোনো জল বা উদ্ভিদ নেই; কেবল গরম বাতাসের ঝড়। কি মানুষ কি পশু ঝড়ের সময় অজ্ঞান হয়ে যায়।

সব সময়েই গান বা শিষ দেওয়ার শব্দ, কখনো কখনো কান্নার শব্দ শোনা যায়। দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে লোক হতভম্ব হয়ে যায়, অনেক সময়ে মরেও যায়। এসব ভূতপ্রেতের কাণ্ড।’

এইভাবে আসতে আসতে তিনি ‘না-ফো-পো’ (সম্ভবতঃ লবণরের) কাছে এলেন। এ পথের বিবরণ অরেল স্টাইন ও অন্যান্য অনেক আধুনিক ভ্রমণকারীর পুস্তকে পাওয়া যায়।

তার পর আবার গোবির মরুভূমির দক্ষিণপাশ দিয়ে হিউএনচাঙ চীনদেশে পৌঁছলেন।

তিনি নিজের ভ্রমণকাহিনীর শেষে কয়েকটি কথা লিখেছেন, যা সকল ভ্রমণকারীদেরই মনে রাখা উচিত। তিনি বলেছেন-

‘এ ভ্রমণবৃত্তান্তে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা লিখেছি। যতদূর জানতে পেরেছি, দেশগুলির সীমানার বিবরণ দিয়েছি। জাতীয় আচার-ব্যবহারের গুণ-দোষ আবহাওয়ার বর্ণনা করেছি। নৈতিক আচরণের স্থিরতা নেই। লোকের রুচিও বিভিন্ন। যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

যেখানেই গিয়েছি যাত্রার বিবরণের স্মারক লিপি রেখেছি।’

চীনের সীমান্তে পৌঁছে হিউ এনচাঙ খোটান থেকে যে লোক, ঘোড়া আর উটগুলি এসেছিল সেগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

টাইফুন ‘কালমেগি’-এর তাণ্ডবে ভিয়েতনামে প্রাণহানি, ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২০০

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৮)

০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

এর পর তিনি পূর্বদিকে তক্কমকানের মরুভূমির দক্ষিণ পাশ দিয়ে চললেন। এই ভয়ংকর মরুভূমির নাম তিনি বলেছেন, ‘বিশাল বহমান বালি’। ‘এখানে বালি সর্বদাই চলমান। পথের কোনো চিহ্ন নেই, তাই অনেক সময় পথ ভুল হয়ে যায়। চারিদিকে কেবল বালি ধুধু করছে। কোনো জল বা উদ্ভিদ নেই; কেবল গরম বাতাসের ঝড়। কি মানুষ কি পশু ঝড়ের সময় অজ্ঞান হয়ে যায়।

সব সময়েই গান বা শিষ দেওয়ার শব্দ, কখনো কখনো কান্নার শব্দ শোনা যায়। দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে লোক হতভম্ব হয়ে যায়, অনেক সময়ে মরেও যায়। এসব ভূতপ্রেতের কাণ্ড।’

এইভাবে আসতে আসতে তিনি ‘না-ফো-পো’ (সম্ভবতঃ লবণরের) কাছে এলেন। এ পথের বিবরণ অরেল স্টাইন ও অন্যান্য অনেক আধুনিক ভ্রমণকারীর পুস্তকে পাওয়া যায়।

তার পর আবার গোবির মরুভূমির দক্ষিণপাশ দিয়ে হিউএনচাঙ চীনদেশে পৌঁছলেন।

তিনি নিজের ভ্রমণকাহিনীর শেষে কয়েকটি কথা লিখেছেন, যা সকল ভ্রমণকারীদেরই মনে রাখা উচিত। তিনি বলেছেন-

‘এ ভ্রমণবৃত্তান্তে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা লিখেছি। যতদূর জানতে পেরেছি, দেশগুলির সীমানার বিবরণ দিয়েছি। জাতীয় আচার-ব্যবহারের গুণ-দোষ আবহাওয়ার বর্ণনা করেছি। নৈতিক আচরণের স্থিরতা নেই। লোকের রুচিও বিভিন্ন। যেসব বিষয়ের যথার্থতা খুব নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা যায় না সে বিষয় সম্বন্ধে জোর করে কিছু বলা যায় না।

যেখানেই গিয়েছি যাত্রার বিবরণের স্মারক লিপি রেখেছি।’

চীনের সীমান্তে পৌঁছে হিউ এনচাঙ খোটান থেকে যে লোক, ঘোড়া আর উটগুলি এসেছিল সেগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

(চলবে)