০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’ ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২ স্নেক সাও-স্কেলড ভিপার: এক ভয়ঙ্কর সাপের জীবন এবং বৈশিষ্ট্য টেইলর শেরিডান কীভাবে টেলিভিশনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিট–কারখানায় পরিণত হলেন মোবাইলে ক্রোমে এআই মোড আরও সহজ করল গুগল রোলিং স্টোন স্পেশাল ও ডিজে স্নেকের গানে একদিনেই তিন ফ্রন্ট খুলল স্ট্রে কিডস হরর-কমেডি ‘মেকিং আ ব্রাইডসমেইড’ শেষ, এখন স্ট্রিমিং বিক্রির পথে কেক বানানোর কৌশল: ঘরে বসেই নিখুঁত বেকিংয়ের গাইড লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যান্ডে–এরিভোর চমক, ক্লাসিক ডুয়েটেই মাত করল হলিউড মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (অন্তিম পর্ব-৩৬৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)

আজকের দিনে ঢাকায় ডালপুরি যেগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো খাবার তেমন উপযুক্ত নয়। এখন বাইরের দোকানে ডালপুরি প্রায় পাওয়াই যায় না।

ডাল বাজার

ঢাকার সূত্রাপুরে একটি ছোট বাজার ছিল এখানে, প্রাচীন আমল থেকেই। এখানে শস্য ও ডালের বাজার ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ডাল আসত প্রচুর, সেজন্য এর নাম হয়ে যায় ডাল বাজার। এ বাজারে যে গলিতে ডাল বিক্রি হতো তা পরিচিত ছিল ডালপট্টি নামে। বলা বাহুল্য, সেই ডাল বাজার এখন লুপ্ত কিন্তু নামটি সে সময়ের স্মৃতি বহন করছে।

ডালপুরি

“ডালপুরির জন্য ঢাকা এক সময় বিখ্যাত ছিল। এখনও ঢাকায় ডালপুরি আছে। কিন্তু সেজন্য আর ঢাকা বিখ্যাত নেই। এখন অনেক রকম অন্যান্য খাবার এসে উপস্থিত হয়েছে। ঢাকায় সেকালে ডালপুরি দেখতাম তিন রকম- এক রকম ছিল ময়দা-ঘি দিয়ে ভালো করে মেখে একটু পানি দিয়ে নরম করে সে ময়দার ছোট ছোট বল তৈরি করে তার মধ্যে মসলা দেয়া ডাল দিয়ে মুখ বন্ধ করে বেলে তেলে সেঁকা।

এখনকার ডালপুরি

এতে ডালপুরিটা খুব খাস্তা হতো। অন্য ডালপুরিটা ছিল পানি দিয়ে ময়দা মথে আগের প্রক্রিয়ায় তৈরি করা। এ ডালপুরিটা নরম হতো এবং একটু টেনে ছিঁড়তে হতো। তৃতীয় রকম ডালপুরি ছিল হিন্দুবাড়ির ডালপুরি। ময়দার একটি মাঝারি সাইজের রুটি বানিয়ে তার উপর ভুনা ডাল রাখা হতো এবং আর একটি রুটি নিয়ে এটাকে ঢেকে দুটো রুটির মুখ মুড়ে দেয়া হতো। তারপর সেটাকে তেলে ভাজা হতো।

এ ডালপুরিতে ডাল ছিল প্রধান, ময়দা নয়। আজকের দিনে ঢাকায় ডালপুরি যেগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো খাবার তেমন উপযুক্ত নয়। এখন বাইরের দোকানে ডালপুরি প্রায় পাওয়াই যায় না। বাড়িতে বাড়িতে অবশ্য ডালপুরি তৈরি হয় এবং সেগুলো ভালোই।”

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)

০৭:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

আজকের দিনে ঢাকায় ডালপুরি যেগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো খাবার তেমন উপযুক্ত নয়। এখন বাইরের দোকানে ডালপুরি প্রায় পাওয়াই যায় না।

ডাল বাজার

ঢাকার সূত্রাপুরে একটি ছোট বাজার ছিল এখানে, প্রাচীন আমল থেকেই। এখানে শস্য ও ডালের বাজার ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ডাল আসত প্রচুর, সেজন্য এর নাম হয়ে যায় ডাল বাজার। এ বাজারে যে গলিতে ডাল বিক্রি হতো তা পরিচিত ছিল ডালপট্টি নামে। বলা বাহুল্য, সেই ডাল বাজার এখন লুপ্ত কিন্তু নামটি সে সময়ের স্মৃতি বহন করছে।

ডালপুরি

“ডালপুরির জন্য ঢাকা এক সময় বিখ্যাত ছিল। এখনও ঢাকায় ডালপুরি আছে। কিন্তু সেজন্য আর ঢাকা বিখ্যাত নেই। এখন অনেক রকম অন্যান্য খাবার এসে উপস্থিত হয়েছে। ঢাকায় সেকালে ডালপুরি দেখতাম তিন রকম- এক রকম ছিল ময়দা-ঘি দিয়ে ভালো করে মেখে একটু পানি দিয়ে নরম করে সে ময়দার ছোট ছোট বল তৈরি করে তার মধ্যে মসলা দেয়া ডাল দিয়ে মুখ বন্ধ করে বেলে তেলে সেঁকা।

এখনকার ডালপুরি

এতে ডালপুরিটা খুব খাস্তা হতো। অন্য ডালপুরিটা ছিল পানি দিয়ে ময়দা মথে আগের প্রক্রিয়ায় তৈরি করা। এ ডালপুরিটা নরম হতো এবং একটু টেনে ছিঁড়তে হতো। তৃতীয় রকম ডালপুরি ছিল হিন্দুবাড়ির ডালপুরি। ময়দার একটি মাঝারি সাইজের রুটি বানিয়ে তার উপর ভুনা ডাল রাখা হতো এবং আর একটি রুটি নিয়ে এটাকে ঢেকে দুটো রুটির মুখ মুড়ে দেয়া হতো। তারপর সেটাকে তেলে ভাজা হতো।

এ ডালপুরিতে ডাল ছিল প্রধান, ময়দা নয়। আজকের দিনে ঢাকায় ডালপুরি যেগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো খাবার তেমন উপযুক্ত নয়। এখন বাইরের দোকানে ডালপুরি প্রায় পাওয়াই যায় না। বাড়িতে বাড়িতে অবশ্য ডালপুরি তৈরি হয় এবং সেগুলো ভালোই।”

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)