১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)

সরকারী অফিস আদালতের নথিপত্র পাঠ করে এবং শহর ও গ্রামের বসবাসকারী লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও আমি তথ্যাদি সংগ্রহ করেছি।”

জেমস টেলর

ঢাকা নিয়ে গবেষণা করতে গেলে প্রাথমিক আকর হিসেবে জেমস টেলরের এ স্কেচ অব দি টপোগ্রাফি অ্যান্ড স্ট্যাটিটকস অফ ঢাকার শরণাপন্ন হতেই হবে। তিনি ছিলেন কোম্পানির মেডিকেল সার্ভিসের সদস্য। ১৮৩০ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। ১৮৩৮ পর্যন্ত ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন। ডাক্তার হিসেবে পেশাগত কাজ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সমাজকর্মে ছিলেন জড়িত।

জেমস টেলরের বইয়ের নামপত্র

সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড তাঁকে ‘জেলা এবং কর্মস্থলের ভূ-প্রকৃতি ও পরিসংখ্যান’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে। গেজেটিয়ার আকারে লিখিত বইটির গুরুত্ব এই যে, এর বাইরেও অনেক বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। ১৮৪০ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। বইয়ের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন- “এগুলির অধিকাংশ বিষয়ে (তথ্য, ভূ-প্রকৃতি, লোকসংখ্যা, জেলা, জলবায়ু প্রভৃতি।

আমার মন্তব্য ছাড়াও, আমি জেলার ইতিহাস, এবং স্থানীয় শিল্প দ্রব্যাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজস্ব ও শিক্ষার অবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছি,… আমি যেসব তথ্যাদি পরিবেশন করতে সক্ষম হয়েছি, তা এ স্থানে আমার অবস্থানকালের ব্যক্তিগত জ্ঞান থেকে অর্জিত। বিভিন্ন সরকারী অফিস আদালতের নথিপত্র পাঠ করে এবং শহর ও গ্রামের বসবাসকারী লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও আমি তথ্যাদি সংগ্রহ করেছি।”

ঢাকার লালবাগ কেল্লা সংরক্ষণেও তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলায় তাঁর বইটি অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৮)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৮)

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৯)

০৭:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

সরকারী অফিস আদালতের নথিপত্র পাঠ করে এবং শহর ও গ্রামের বসবাসকারী লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও আমি তথ্যাদি সংগ্রহ করেছি।”

জেমস টেলর

ঢাকা নিয়ে গবেষণা করতে গেলে প্রাথমিক আকর হিসেবে জেমস টেলরের এ স্কেচ অব দি টপোগ্রাফি অ্যান্ড স্ট্যাটিটকস অফ ঢাকার শরণাপন্ন হতেই হবে। তিনি ছিলেন কোম্পানির মেডিকেল সার্ভিসের সদস্য। ১৮৩০ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। ১৮৩৮ পর্যন্ত ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন। ডাক্তার হিসেবে পেশাগত কাজ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সমাজকর্মে ছিলেন জড়িত।

জেমস টেলরের বইয়ের নামপত্র

সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড তাঁকে ‘জেলা এবং কর্মস্থলের ভূ-প্রকৃতি ও পরিসংখ্যান’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে। গেজেটিয়ার আকারে লিখিত বইটির গুরুত্ব এই যে, এর বাইরেও অনেক বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। ১৮৪০ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। বইয়ের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন- “এগুলির অধিকাংশ বিষয়ে (তথ্য, ভূ-প্রকৃতি, লোকসংখ্যা, জেলা, জলবায়ু প্রভৃতি।

আমার মন্তব্য ছাড়াও, আমি জেলার ইতিহাস, এবং স্থানীয় শিল্প দ্রব্যাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজস্ব ও শিক্ষার অবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছি,… আমি যেসব তথ্যাদি পরিবেশন করতে সক্ষম হয়েছি, তা এ স্থানে আমার অবস্থানকালের ব্যক্তিগত জ্ঞান থেকে অর্জিত। বিভিন্ন সরকারী অফিস আদালতের নথিপত্র পাঠ করে এবং শহর ও গ্রামের বসবাসকারী লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও আমি তথ্যাদি সংগ্রহ করেছি।”

ঢাকার লালবাগ কেল্লা সংরক্ষণেও তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলায় তাঁর বইটি অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৮)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৮)