০১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫১)

১৮৬১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ৯২৩৮ জন। এই উদাহরণই এর পরিবৃদ্ধি তুলে ধরে।’

ডা. সিম্পসন

ঢাকার আধুনিক চিকিৎসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিটফোর্ড হাসাপাতাল আর ডা. সিম্পসনের নাম। ঢাকার কালেক্টর মিটফোর্ড মৃত্যুর আগে ঢাকার জন্য কিছু টাকা দান করে যান। সে টাকা দিয়ে গড়ে ওঠে মিটফোর্ড হাসপাতাল। ১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড যাত্রা শুরু করে। ঢাকা ও তার আশেপাশের গরিবদের বিনে পয়সায় চিকিৎসার জন্য গড়ে ওঠে মিটফোর্ড।

হাসপাতালের পাঁচ সদস্যের যে ব্যবস্থাপনা কমিটি ছিল, তার একজন ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন। এ সময় ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আলেকজান্ডার সিম্পসন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মিটফোর্ডের দায়িত্ব পান। তিনি ছিলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, কমিটির সচিব ও কোষাধ্যক্ষ।

ডা.আলেকজান্ডার সিম্পসনের সমাধিফলক 

সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও হাসপাতালের কাজেই সময় ব্যয় করতেন বেশি। সহকারী দুজন ডাক্তার। কয়েকজন ক্ষত পরিষ্কারক, কিছু ঝাড়ুদার ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করেন সিম্পসন।

বিলুপ্ত ঢাকা নেটিভ হাসপাতালের ৩২ জন রোগী নিয়ে কাজ শুরু করেন সিম্পসন। হাসপাতালের বাজেট ছিল খুবই কম। মাত্র ৫০ শয্যার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন তিনি প্রথম বছর। সিম্পসনের অমায়িক ব্যবহার আন্তরিকতার কারণে হাসপাতাল ভীতি কেটে যায় স্থানীয়দের। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় অত্যধিক।

হাসপাতালে একটি বহির্বিভাগও খোলেন তিনি। ১৮৫৭ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ১৮৬১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ৯২৩৮ জন। এই উদাহরণই এর পরিবৃদ্ধি তুলে ধরে।’

১৮৬৩ সালে ডায়েরিয়ায় ডা. সিম্পসন মারা যান। স্থানীয় পত্রিকা ঢাকা প্রকাশ থেকে শরিফউদ্দিন তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছেন। তা থেকে বোঝা যায় ঢাকাবাসীর মন ডা. সিম্পসন কীভাবে জয় করেছিলেন। ঢাকা প্রকাশ মন্তব্য করেছিল ১৮-১১-১৮৬৮।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)

জনপ্রিয় সংবাদ

গভীর ঘুম: শরীর ও মনের প্রশান্তির চাবিকাঠি

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫১)

০৭:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

১৮৬১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ৯২৩৮ জন। এই উদাহরণই এর পরিবৃদ্ধি তুলে ধরে।’

ডা. সিম্পসন

ঢাকার আধুনিক চিকিৎসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিটফোর্ড হাসাপাতাল আর ডা. সিম্পসনের নাম। ঢাকার কালেক্টর মিটফোর্ড মৃত্যুর আগে ঢাকার জন্য কিছু টাকা দান করে যান। সে টাকা দিয়ে গড়ে ওঠে মিটফোর্ড হাসপাতাল। ১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড যাত্রা শুরু করে। ঢাকা ও তার আশেপাশের গরিবদের বিনে পয়সায় চিকিৎসার জন্য গড়ে ওঠে মিটফোর্ড।

হাসপাতালের পাঁচ সদস্যের যে ব্যবস্থাপনা কমিটি ছিল, তার একজন ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন। এ সময় ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আলেকজান্ডার সিম্পসন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মিটফোর্ডের দায়িত্ব পান। তিনি ছিলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, কমিটির সচিব ও কোষাধ্যক্ষ।

ডা.আলেকজান্ডার সিম্পসনের সমাধিফলক 

সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও হাসপাতালের কাজেই সময় ব্যয় করতেন বেশি। সহকারী দুজন ডাক্তার। কয়েকজন ক্ষত পরিষ্কারক, কিছু ঝাড়ুদার ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করেন সিম্পসন।

বিলুপ্ত ঢাকা নেটিভ হাসপাতালের ৩২ জন রোগী নিয়ে কাজ শুরু করেন সিম্পসন। হাসপাতালের বাজেট ছিল খুবই কম। মাত্র ৫০ শয্যার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন তিনি প্রথম বছর। সিম্পসনের অমায়িক ব্যবহার আন্তরিকতার কারণে হাসপাতাল ভীতি কেটে যায় স্থানীয়দের। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় অত্যধিক।

হাসপাতালে একটি বহির্বিভাগও খোলেন তিনি। ১৮৫৭ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ১৮৬১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ৯২৩৮ জন। এই উদাহরণই এর পরিবৃদ্ধি তুলে ধরে।’

১৮৬৩ সালে ডায়েরিয়ায় ডা. সিম্পসন মারা যান। স্থানীয় পত্রিকা ঢাকা প্রকাশ থেকে শরিফউদ্দিন তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছেন। তা থেকে বোঝা যায় ঢাকাবাসীর মন ডা. সিম্পসন কীভাবে জয় করেছিলেন। ঢাকা প্রকাশ মন্তব্য করেছিল ১৮-১১-১৮৬৮।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫০)