সমকালের একটি শিরোনাম “মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো ৯৮ বাংলাদেশিকে”
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিমানে করে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর গেলেও তারা দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাননি। শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বারনামা এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এ (বৃহস্পতিবার) রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। এ সময় ১৮১ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৮ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেননি। পরে তাদের ‘নট টু ল্যান্ড’ বা এনটিএল নোটিশ দেওয়া হয়।
একেপিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে, তারা ঢাকা থেকে এসেছিলেন। দিনের বেলা যেহেতু কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, সেটি এড়াতে খুব সম্ভবত তারা ভোরে আসেন।’
সংস্থাটির অভিযোগ, ভুয়া হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট না থাকা ও পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ দিতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তারা বলেছেন, যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে, তারা (পর্যটন ভিসায় এসে) খুব সম্ভবত মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে ভিসার অপব্যবহার করতেন। তাদের অবৈধভাবে কাজ ও থাকার পরিকল্পনা ছিল। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত খুলছে আজ”
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার। উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পের (সিডিপিএল) পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, তেল পরিবহনে শতাধিক কোস্টাল ট্যাংকারে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন ১২ ঘণ্টায় জ্বালানি তেল নারায়ণগঞ্জের ডিপোতে পৌঁছাবে। খারাপ আবহাওয়ার কারণেও নৌপথে ট্যাংকারে তেল পরিবহন বিঘ্নিত হতো এবং ঝুঁকির সৃষ্টি হতো। এই পাইপলাইন সেই সমস্যার সমাধান করে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনের পর নদীপথে অয়েল ট্যাংকারের পরিবর্তে পাইপলাইনেই নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা ডিপোতে জ্বালানি তেল পাঠানো হবে। ২৪২ কিলোমিটার পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন ডিজেল যাবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে।
এর আগে গত ২২ জুন পরীক্ষামূলকভাবে এই পাইপলাইনে তেল পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একজন কর্মকর্তা জানান, গত ২২ জুন পতেঙ্গা গুপ্তখাল থেকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির দুই ট্যাংকের ১৮-২০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর মেঘনা অয়েল কোম্পানির দুটি ট্যাংকের ১৬-১৮ হাজার টন ডিজেল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সবকিছু স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনে মনিটরিং করা হয়েছে, পাইপলাইনে তেল পাঠাতে কোনো জটিলতা হয়নি। এ লাইনে ঘণ্টায় ৩২০ টন জ্বালানি পাঠানোর সক্ষমতা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন পাঠানো হয়েছে। পদ্মা, মেঘনার পর পাইপলাইনে তেল যায় যমুনার ডিপোতে। পাইপলাইনে তেল গেছে কুমিল্লার ডিপোতেও। পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি পিএলসি (পিটিসিপিএলসি) ও প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এই জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি তদারকি করেছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “সংস্কারহীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পরবর্তী সরকারের জন্য হবে বড় বোঝা”
কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও নরিনকো পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ কেন্দ্র মিলিয়ে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার মেগাওয়াটে। অথচ বিদ্যুতের পিক আওয়ারেও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা তৈরি হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। চাহিদার এ হিসাব ধরলেও অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না নিয়েও সরকারকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ।
গ্যাসভিত্তিক প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াটের উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে। যেগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না দেশে গ্যাসের সংকট থাকায়। এর বাইরে খুলনার রূপসায় উচ্চ কার্যক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলেও মিলছে না গ্যাসের সংস্থান। কেননা দৈনিক চাহিদার তুলনায় অন্তত এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট রয়েছে দেশে। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে রাখতে আমদানি করা হচ্ছে ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)।
বিদ্যুৎ খাতের অতিরিক্ত সক্ষমতা এবং জ্বালানি খাতে সংকটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় বিগত দেড় দশকে বিপুল পরিমাণ দায়দেনা করে আওয়ামী লীগ সরকার। দরপত্র ছাড়াই এককভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং গ্যাস অনুসন্ধান না করে এলএনজি আমদানির কারণে চলে যায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। দেশ পড়ে তীব্র আর্থিক সংকটে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সংস্কারের বড় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু গত এক বছরে কিছু আইনগত সংস্কার এবং বকেয়া পরিশোধ ছাড়া সরকার এ খাতের আর্থিক চাপ কমাতে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। তৈরি করতে পারেনি টেকসই রূপরেখা। বিশেষ করে ভর্তুকি, ক্যাপাসিটি চার্জ এবং গ্যাস সংকটে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা না গেলে এ খাতটি পরবর্তী সরকারের জন্য বড় আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মানবজমিনের একটি শিরোন “পিআর বিতর্কে বাড়ছে উত্তাপ”
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। যা আলোচনার টেবিল থেকে ছড়িয়ে পড়ছে রাজপথে। যদিও অপ্রচলিত এই পদ্ধতির নির্বাচন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর। তারপরও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ সমমনা কয়েকটি দল। তারা সভা-সমাবেশে পিআর পদ্ধতির দাবিতে জোরালো বক্তব্যের পাশাপাশি জনমত গঠনে তৎপর। এজন্য ধারাবাহিক সভা- সমাবেশ এবং গোলটেবিল বৈঠকসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে ইতিমধ্যে।
সর্বশেষ বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে এক ধাপ এগিয়ে ইসলামী আন্দোলন একই দিন সিইসি’র সঙ্গে দেখা করে এই ইস্যু নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ‘গলায় গামছা কোমরে রশি লাগতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছে দলটি।
অপরদিকে বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো এই পদ্ধতির ঘোর বিরোধী। তারা বলছেন- আপাতত অপ্রচলিত এই পদ্ধতির নির্বাচনের সুযোগ নেই। কারণ ভোটাররা এই পদ্ধতির নির্বাচনের সঙ্গে পরিচিত নয়। এ অবস্থায় রাজনৈতিক টানাপড়েনের কবলে পড়ছে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। এনিয়ে চলছে নানামুখী গুঞ্জন। বাড়তি যোগ হয়েছে এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না’ মন্তব্য।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষিত হয়েছে সম্প্রতি। তবে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। এ অবস্থায় সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষের বক্তব্য রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ৫৩ বছর দেশে আসনভিত্তিক নির্বাচন হয়েছে, আমরা এবার দলভিত্তিক নির্বাচন চাই। এতে প্রত্যেকটি ভোটের মূল্যায়ন হবে। তিনি বলেন, এত বছর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন পদ্ধতি চলে আসছে। বর্তমান সরকার সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ। সরকারের সেই ওয়াদা পূরণ করতে হলে পিআর মানতে হবে। অন্যথায় দেশ তো অনিশ্চয়তার দিকে যাবেই। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার নয়, শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের পক্ষে নয়। তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন শুধু একটি নির্বাচন নয়; এটি একটি বিপ্লব-পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের সুযোগ। ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মধ্যদিয়েই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















