মিয়ানমারের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় তিনটি ট্রলারসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ঘটনাটি ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূলের দক্ষিণ দিকে।
আটকের প্রাথমিক তথ্য
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তার মতে, টেকনাফের কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিরের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে থাকা ৬ জন রোহিঙ্গা যুবককে প্রথমে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাকি দুই ট্রলারের ১০ জন জেলের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
আরাকান আর্মির টহল ও অভিযান
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকার অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি পেট্রোল নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
প্রথম অভিযান
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মংডু টাউনশিপের থাওয়াইং চাউং গ্রামের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২.৭ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলারসহ ৬ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়।
ট্রলার থেকে জাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযান
একই দিনে রাথেডং টাউনশিপের উপকূল থেকে প্রায় ৩.৫৮ কিলোমিটার দূরে আরও দুটি ট্রলার আটক করা হয়। সেখানে থাকা ১০ জন জেলেকেও আটক করে তাদের ট্রলারের জাল, মাছ ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।
জব্দ ও হস্তান্তর
মোট তিনটি ট্রলার এবং ১৬ জন জেলেকে আটক করে জব্দকৃত মালামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরাকান অঞ্চলের প্রচলিত আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক অনুরূপ ঘটনা
এর আগে ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় দুটি ট্রলারসহ ১৩ রোহিঙ্গা জেলে আটক হয়।
২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আরাকান কর্তৃপক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশকারী জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আরাকান কর্তৃপক্ষ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















