রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে জামিন দেওয়া হয়। ঘটনাটি গ্রেপ্তার, মামলায় ‘গ্রেপ্তার দেখানো’ এবং সম্ভাব্য কারাগারে প্রেরণের প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গ্রেপ্তার: কোথায়, কবে, কীভাবে
১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে আজিজুর রহমানকে একদল ব্যক্তি মারধর করে—এমন অভিযোগ উঠে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে এবং সেদিনই ঢাকার ধানমন্ডি থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা একটি পুরোনো মামলায় ‘গ্রেপ্তার দেখান’ বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল
খবরে বলা হয়, সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়া মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলাটি ধানমন্ডি থানায় গত ২ এপ্রিল নথিভুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার–পরবর্তী ‘কারাগারে প্রেরণ’ প্রসঙ্গ
বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার–পর আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন না দিলে সাধারণত অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর (কারাগারে প্রেরণ) আদেশ দেওয়া হয়। আজিজুরের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় রাখা হয় এবং মামলায় ‘গ্রেপ্তার দেখানোর’ পর রোববার আদালতে তোলা হয়। আদালত সেদিনই জামিন মঞ্জুর করায় কারাগারে প্রেরণের আদেশ কার্যকর করার প্রয়োজন হয়নি; জামিনের আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তিনি মুক্ত হন।

আদালতে হাজিরা ও জামিন
রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর হয়। আদালতের এই আদেশের ফলে তিনি মামলার পরবর্তী ধাপগুলোতে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী অংশ নেবেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
জামিনের শর্তাবলি মানা, তদন্তে সহযোগিতা এবং নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা—এসবই এখন প্রধান ধাপ। সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী সংস্থা মামলার প্রয়োজনীয় তদন্ত এগিয়ে নেবে এবং আদালত–নির্দেশিত পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















