১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এজেন্ট ব্যাংকিং: ব্যাংকিং জগতের একটি কার্যকর ব্যবস্থা নাকি সাময়িক সমাধান?

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থেকেছে। প্রচলিত ব্যাংক শাখা পরিচালনায় ব্যয়বহুল কাঠামো, সীমিত জনবল এবং শহরকেন্দ্রিক নীতি—সব মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষ আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, যেখানে অনুমোদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রাহককে নানান মৌলিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এখন প্রশ্ন হলো, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি কি সত্যিই দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ব্যবস্থা, নাকি কেবল একটি মধ্যবর্তী সমাধান?

বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার বহু দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির (financial inclusion) প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কেনিয়া, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ মানুষকে ডিজিটাল লেনদেন ও মোবাইল মানি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কোটি কোটি গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন, যেখানে নারীর অংশগ্রহণও দ্রুত বাড়ছে।

CGAP Customer-Centric Guide | Easytech Green

আন্তর্জাতিক সংস্থা CGAP (Consultative Group to Assist the Poor) উল্লেখ করেছে যে এজেন্ট ব্যাংকিং কেবল লেনদেন সহজ করছে না, বরং ক্ষুদ্র ঋণ, বীমা এবং রেমিট্যান্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইতিবাচক দিক

  1. ব্যয় হ্রাস: প্রচলিত শাখা খোলার তুলনায় এজেন্ট ব্যাংকিং অনেক কম ব্যয়বহুল।
  2. আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহজে ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।
  3. রেমিট্যান্স প্রবাহ: প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সরাসরি এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারগুলো পাচ্ছে।
  4. নারীর ক্ষমতায়ন: নারীরা ক্রমেই এজেন্ট ও গ্রাহক উভয় ভূমিকায় যুক্ত হচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ড. লরা টিম বলেন, “এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু ব্যয় কমানোর একটি মডেল নয়, বরং এটি এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাংকবিহীন অঞ্চলে মানুষের আস্থা তৈরি হয়।”

চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

তবে সবকিছুরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।

  • • প্রযুক্তিগত ঝুঁকি: এজেন্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হলে জালিয়াতি বা প্রতারণা বাড়তে পারে।

আইএমএফ কী, কেন এটা এত আলোচিত

  • • সেবার মান: অনেক সময় এজেন্টরা প্রশিক্ষণের অভাবে মানসম্মত সেবা দিতে পারেন না।
  • • বিশ্বাসের সংকট: প্রান্তিক মানুষ ব্যাংকিং ব্যবস্থার জটিলতা না বোঝার কারণে মাঝে মাঝে আস্থাহীনতায় ভোগে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এক প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে, যদি এজেন্ট ব্যাংকিং পর্যাপ্ত নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর আওতায় না থাকে, তাহলে আর্থিক অপরাধের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি

  • • CGAP মনে করে, ভবিষ্যতের ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম গঠনে এজেন্ট ব্যাংকিং একটি কার্যকর ‘সেতুবন্ধন’।
  • • বিশ্বব্যাংক বলছে, উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য, তবে দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে একীভূত হওয়া দরকার।
  • • ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (UNCDF) জোর দিয়ে বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ উন্নয়নে মাইক্রোফিন্যান্সের বিকল্প হতে পারে, যদি গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

Female participation through agent banking rising | The Daily Star

বিশ্লেষণ

এজেন্ট ব্যাংকিংকে একটি ‘ট্রানজিশনাল মডেল’ বলা যায়। এটি ব্যাংকবিহীন জনগোষ্ঠীকে আর্থিক ব্যবস্থার ভেতরে আনার জন্য অসাধারণ কার্যকর। তবে দীর্ঘমেয়াদে কেবল এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভর করলে হবে না। ডিজিটাল অবকাঠামো, সাইবার নিরাপত্তা, গ্রাহক সচেতনতা এবং আর্থিক শিক্ষাকে একসঙ্গে জোরদার করতে হবে।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় এজেন্ট ব্যাংকিং একটি সফল উদ্যোগ। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি তখনই টেকসই হবে, যখন এটি প্রচলিত ব্যাংক ও ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এগোবে।

ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না আজ

বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে তথ্য-উপাত্ত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী (২০২৪ সালের শেষ নাগাদ):

  • • দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০,০০০
  • • প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী গ্রাহক
  • • এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৪৫,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
  • • রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রেও এর অবদান উল্লেখযোগ্য—২০২৪ সালে মোট প্রবাসী আয়ের প্রায় ৩৭ শতাংশ এসেছে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।

While value of Taka has dipped, Bangladesh is still doing better than other  countries

এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, এজেন্ট ব্যাংকিং বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে মূলধারার ব্যাংকিংকে যুক্ত করতে শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

অতএব, বলা যায় এজেন্ট ব্যাংকিং একদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও সংস্থার মতে, এটি স্থায়ী সমাধান নয় বরং আধুনিক ব্যাংকিংয়ে প্রবেশের জন্য একটি কার্যকর সোপান। সঠিক নিয়মনীতি, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে, এজেন্ট ব্যাংকিং ভবিষ্যতের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শক্তিশালী একটি স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এজেন্ট ব্যাংকিং: ব্যাংকিং জগতের একটি কার্যকর ব্যবস্থা নাকি সাময়িক সমাধান?

০৭:১৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থেকেছে। প্রচলিত ব্যাংক শাখা পরিচালনায় ব্যয়বহুল কাঠামো, সীমিত জনবল এবং শহরকেন্দ্রিক নীতি—সব মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষ আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, যেখানে অনুমোদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রাহককে নানান মৌলিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এখন প্রশ্ন হলো, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি কি সত্যিই দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ব্যবস্থা, নাকি কেবল একটি মধ্যবর্তী সমাধান?

বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার বহু দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির (financial inclusion) প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কেনিয়া, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ মানুষকে ডিজিটাল লেনদেন ও মোবাইল মানি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কোটি কোটি গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন, যেখানে নারীর অংশগ্রহণও দ্রুত বাড়ছে।

CGAP Customer-Centric Guide | Easytech Green

আন্তর্জাতিক সংস্থা CGAP (Consultative Group to Assist the Poor) উল্লেখ করেছে যে এজেন্ট ব্যাংকিং কেবল লেনদেন সহজ করছে না, বরং ক্ষুদ্র ঋণ, বীমা এবং রেমিট্যান্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইতিবাচক দিক

  1. ব্যয় হ্রাস: প্রচলিত শাখা খোলার তুলনায় এজেন্ট ব্যাংকিং অনেক কম ব্যয়বহুল।
  2. আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহজে ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।
  3. রেমিট্যান্স প্রবাহ: প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সরাসরি এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারগুলো পাচ্ছে।
  4. নারীর ক্ষমতায়ন: নারীরা ক্রমেই এজেন্ট ও গ্রাহক উভয় ভূমিকায় যুক্ত হচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ড. লরা টিম বলেন, “এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু ব্যয় কমানোর একটি মডেল নয়, বরং এটি এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাংকবিহীন অঞ্চলে মানুষের আস্থা তৈরি হয়।”

চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

তবে সবকিছুরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।

  • • প্রযুক্তিগত ঝুঁকি: এজেন্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হলে জালিয়াতি বা প্রতারণা বাড়তে পারে।

আইএমএফ কী, কেন এটা এত আলোচিত

  • • সেবার মান: অনেক সময় এজেন্টরা প্রশিক্ষণের অভাবে মানসম্মত সেবা দিতে পারেন না।
  • • বিশ্বাসের সংকট: প্রান্তিক মানুষ ব্যাংকিং ব্যবস্থার জটিলতা না বোঝার কারণে মাঝে মাঝে আস্থাহীনতায় ভোগে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এক প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে, যদি এজেন্ট ব্যাংকিং পর্যাপ্ত নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর আওতায় না থাকে, তাহলে আর্থিক অপরাধের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি

  • • CGAP মনে করে, ভবিষ্যতের ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম গঠনে এজেন্ট ব্যাংকিং একটি কার্যকর ‘সেতুবন্ধন’।
  • • বিশ্বব্যাংক বলছে, উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য, তবে দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে একীভূত হওয়া দরকার।
  • • ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (UNCDF) জোর দিয়ে বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ উন্নয়নে মাইক্রোফিন্যান্সের বিকল্প হতে পারে, যদি গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

Female participation through agent banking rising | The Daily Star

বিশ্লেষণ

এজেন্ট ব্যাংকিংকে একটি ‘ট্রানজিশনাল মডেল’ বলা যায়। এটি ব্যাংকবিহীন জনগোষ্ঠীকে আর্থিক ব্যবস্থার ভেতরে আনার জন্য অসাধারণ কার্যকর। তবে দীর্ঘমেয়াদে কেবল এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভর করলে হবে না। ডিজিটাল অবকাঠামো, সাইবার নিরাপত্তা, গ্রাহক সচেতনতা এবং আর্থিক শিক্ষাকে একসঙ্গে জোরদার করতে হবে।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় এজেন্ট ব্যাংকিং একটি সফল উদ্যোগ। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি তখনই টেকসই হবে, যখন এটি প্রচলিত ব্যাংক ও ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এগোবে।

ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না আজ

বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে তথ্য-উপাত্ত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী (২০২৪ সালের শেষ নাগাদ):

  • • দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০,০০০
  • • প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী গ্রাহক
  • • এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৪৫,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
  • • রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রেও এর অবদান উল্লেখযোগ্য—২০২৪ সালে মোট প্রবাসী আয়ের প্রায় ৩৭ শতাংশ এসেছে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।

While value of Taka has dipped, Bangladesh is still doing better than other  countries

এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, এজেন্ট ব্যাংকিং বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে মূলধারার ব্যাংকিংকে যুক্ত করতে শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

অতএব, বলা যায় এজেন্ট ব্যাংকিং একদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও সংস্থার মতে, এটি স্থায়ী সমাধান নয় বরং আধুনিক ব্যাংকিংয়ে প্রবেশের জন্য একটি কার্যকর সোপান। সঠিক নিয়মনীতি, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে, এজেন্ট ব্যাংকিং ভবিষ্যতের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শক্তিশালী একটি স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াতে পারে।