আন্তর্জাতিক আবহে জমকালো সূচনা
ইন্দোনেশিয়ার কিংবদন্তি শিল্পী টিটি ডিজে ও সঙ্গীতশিল্পী ফাইজাল লুবিস মঞ্চে উঠে পরিবেশন করলেন জনপ্রিয় গান ‘লয়ার’ এবং ‘সাং দেবি’। নিখুঁত কণ্ঠ আর আবেগে ভরপুর পরিবেশনা দর্শকদের উচ্ছ্বসিত করলো, যা শেষে করতালিতে মুখরিত হল পুরো প্রেক্ষাগৃহ।
মার্শা মিলানের উজ্জ্বল মুহূর্ত
মালয়েশিয়ার প্রিয় কণ্ঠশিল্পী মার্শা মিলান গাইলেন ‘সেলুরুহ চিন্তা’। তার পরিবেশনায় পুরো হল একসাথে গাইতে শুরু করে, যা রাতের অন্যতম প্রাণবন্ত মুহূর্তে পরিণত হয়। পরে তার একক পরিবেশনা ‘হেনিং রিন্দু’ দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে এবং তিনি দাঁড়িয়ে অভিবাদন পান।
চক্রা ও সঙ্গীদের উচ্ছ্বাস
চক্রা মঞ্চে আসেন এডে গোভিন্দাকে সঙ্গে নিয়ে। তারা পরিবেশন করেন ‘মাসিং-মাসিং’, ‘হাল হেবাত’ এবং ‘কামু আদালাহ’। এই গানগুলোতে ছিল আশাবাদ, উষ্ণতা আর সহজাত মেলবন্ধনের ছাপ।
আবেগময় সমাপ্তির পথে
শেষ অংশে এসে চক্রা গানগুলোর সুর ও বাদ্যযন্ত্র সরল করে শুধুই কথার আবেগকে সামনে নিয়ে আসেন। তার কণ্ঠে ‘কেকাসিহ বায়াঙ্গান’ এবং ‘হারুস তেরপিসাহ’ যেন বিদায়ের ভার বহন করছিল। পুরো হল নীরব হয়ে যায়, ভেসে আসে আবেগঘন কান্নার শব্দ।
এ সময় তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি জানি না আবার কবে এমন কনসার্ট করতে পারব। কিন্তু আজ রাতের প্রতিটি মুহূর্ত আমি আপনাদের জন্য উজাড় করে দিতে চাই।” শিল্পী ও দর্শকের মধ্যে সেই মুহূর্তে ছিল আন্তরিকতা ও কৃতজ্ঞতার বন্ধন।
অনন্য এনকোর
যখন মনে হচ্ছিল রাত শেষের পথে, তখন চক্রা আবার মঞ্চে ফিরে আসেন এনকোর পরিবেশনা নিয়ে। তিনি শুরু করেন ক্রিস ডায়ান্তির জনপ্রিয় গান ‘মেনচিন্তাইমু’ দিয়ে, যা ছিল একই সাথে বিদায় আর প্রতিশ্রুতির প্রতীক।
এরপর তিনি গাইলেন মিশ্রিত সুরে ‘ট্রেজার’, ‘নেভার ফেল্ট সো গুড’ এবং ‘সেপ্টেম্বর’, যা দর্শকদের নাচিয়ে তোলে।
শেষ গান হিসেবে তিনি বেছে নিলেন হুইটনি হিউস্টনের কিংবদন্তি গান ‘আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ’। গানটি গাওয়ার সাহস খুব কম শিল্পী দেখান। কিন্তু চক্রা নিজের কণ্ঠের ভিন্নতা, আবেগ এবং শক্তি দিয়ে গানটিকে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তিতে রূপ দিলেন।
এক স্মরণীয় রাত
আলো জ্বলে উঠল, দর্শকরা ধীরে ধীরে হল থেকে বের হতে লাগলেন। কারও ভেতর তাড়া ছিল না। সবার মনে রয়ে গেল গভীর কৃতজ্ঞতা—একটি স্মরণীয় রাতের অংশীদার হওয়ার আনন্দ।