০৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টোকিও গেম শো ২০২৫: গেমিং জগতের উৎসব শুরু বিশ্ব সঙ্গীতে এআই-এর সৃজনশীল ঢেউ আইএফএ বার্লিন ২০২৫: যে গ্যাজেটগুলো নিয়ে সবার আলোচনা এআই প্রশিক্ষণে আইনি নজির: লেখকদের সাথে Anthropic-এর $১.৫ বিলিয়ন সমঝোতা যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা লন্ডনের ডানপন্থী সমাবেশে সহিংসতা, রেকর্ড সমাগমে উত্তেজনা দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলা, যুদ্ধবিরতির আলাপ জটিলতায় নতুন গবেষণা: আটলান্টিক প্রবাহ ভাঙার ঝুঁকি এখন অনেক বেশি” ডাকসু ও জাকসুতে বৈষম্যবিরোধীদের বিপর্যয়, চ্যালেঞ্জের মুখে এনসিপি? জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনন্যা পান্ডের জয়পুর ঝলক: ওটিটি সাফল্য থেকে রেড-কার্পেট তারকা

অনন্যা পান্ডের সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম ক্যারোসেল যেন এক রঙিন পোস্টকার্ড—জয়পুরের পটভূমিতে ফুচসিয়া লেহেঙ্গা, ঐতিহ্যবাহী পোলকি গহনা, চিরায়ত খোঁপা আর একখানি ময়ূরের পালক যেন তুলি হয়ে ধরা। তিনি এটি ক্যাপশন করেছেন ডিজাইনার পুনিত বলানার ১০ বছরের উদযাপন হিসেবে। ছবিগুলোও যেন তাই—চন্দ্রালোকিত খিলান ও মোমবাতি সাজানো রানওয়েতে এক শিল্প আর সংস্কৃতির অভিবাদন। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য, যারা একসঙ্গে ভারতীয় সিনেমা ও ফ্যাশনের খোঁজ রাখেন, এটি একটি স্মারক—অনন্যা এখন স্ট্রিমিং তারকাখ্যাতি ও হাই-ফ্যাশনের সংযোগস্থলে এক স্থায়ী উপস্থিতি।


সেই ব্রেকথ্রু যা সবকিছু বদলে দিল
পান্ডে যাত্রা শুরু করেছিলেন স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২ (২০১৯) দিয়ে এবং দ্রুত প্রাথমিক আলোচনাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নিজের পরিচিতি। এ ছবির সুবাদে তিনি অর্জন করেন বেস্ট ফিমেল ডেবিউর স্বীকৃতি। পরের ছবি পতি পত্নী ঔর উওহ তাকে শাণিত করল বাণিজ্যিক ছবির জন্য—অভিনয়ে হালকা স্পর্শ রাখা, উপস্থিতিকে স্থিতিশীল করা, আর আলোচনায় টিকে থাকার কৌশল শেখা।

পর্দায় ব্যস্ত সময়

তার ওটিটি-তে প্রবেশ প্রত্যাশার পাল্টে দিল। খো গয়ে হুম কহাঁ (নেটফ্লিক্স, ২০২৩) এনে দিল সেই প্রশংসা যা প্রত্যেক তরুণ অভিনেত্রী চান—বন্ধুত্ব ও ডিজিটাল সত্তাকে কেন্দ্র করে বাস্তবধর্মী অভিনয়, এবং পরে সমালোচকদের পুরস্কারও। ২০২৪ সালে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে মাধ্যম বদল করেছেন: অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর কল মি বে তাকে দাঁড় করিয়েছে এক সাহসী কিন্তু অচেনা জগতে ফেলা উত্তরাধিকারিণীর চরিত্রে; CTRL (নেটফ্লিক্স) তাকে রেখেছে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের পরিচালনায় এক টানটান বাস্তব-সময় টেক থ্রিলারে; আর বক্স অফিসে তার উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল ড্রিম গার্ল ২–এর সাফল্যের সুবাদে। ফলাফল: পরিসর—রোম-কমের টাইমিং, লং-ফর্ম স্ট্রিমিংয়ের ধৈর্য, এবং পরীক্ষা করার মানসিকতা।

সামনে কী

ট্রেড মহলে শোনা যাচ্ছে, ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে একটি রোমান্টিক ড্রামা (২০২৫ সালে মুক্তির সম্ভাবনা) এবং কল মি বে-র পরবর্তী সিজনের কাজ এগোচ্ছে। অফিসিয়ালি কিছু ঘোষিত না হলেও ধারা স্পষ্ট: ওটিটি দর্শকদের কাছাকাছি রাখা, সঠিক চিত্রনাট্যে থিয়েট্রিকাল ছবি করা, আর ফ্যাশন সপ্তাহ ও ব্র্যান্ড মুহূর্তগুলো দিয়ে ফাঁকা সময় ভরাট করা।

ট্রেন্ড মেশিন: কেন ইন্টারনেট তাকিয়ে থাকে

পান্ডের ফিডে পাল্টাপাল্টি চলে হাই ফ্যাশন আর কোর স্ট্রেন্থের। এক সপ্তাহে কেটলবেল পুশ-আপস ছড়িয়ে পড়ে ফিটনেস পেজে; পরের সপ্তাহে কুতুর অ্যাপয়েন্টমেন্ট কিংবা গ্লোবাল লাক্সারি হাউসের ফ্রন্ট রো উপস্থিতি। স্টাইলিংও হয়েছে পরিণত—প্যারিসে পার্লস আর টুইড, মুম্বাইতে ঝলমলে গাউন। ক্যাপশন থাকে সংক্ষিপ্ত ও শেয়ারযোগ্য। বাংলাদেশে, যেখানে রিলস-এ একদিকে ফিটনেস আবার অন্যদিকে বিয়ের ফ্যাশন জনপ্রিয়, অনন্যার এই ভারসাম্য তাকে অ্যালগরিদমে ধরে রাখে।

তার ফ্যাশন

জয়পুর সেট যেন আধুনিক আনুষ্ঠানিকতার এক নিখুঁত উদাহরণ। ফুচসিয়া লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম নকশা থাকলেও কাট শার্প; রুবি সেন্টারযুক্ত পোলকি চোকার বসেছে গলায় উঁচুতে, আর মহারানি-স্টাইলের নেকলেসে দুলছে একখানি স্টেটমেন্ট এমেরাল্ড পেন্ডেন্ট যা ফ্রেম নিয়ন্ত্রণ করে। হাতে স্তূপীকৃত চুড়ি আর রত্নখচিত আঙটি রাজস্থানি রঙতালকে প্রতিধ্বনি করে। চুল বাঁধা খোঁপায়, মাইক্রো বিন্দি; মেকআপে সতেজ ও স্বাভাবিক টোন—হালকা কাজল, উজ্জ্বল ত্বক, গ্লাসি নিউড লিপ—যাতে গহনা আর বস্ত্র শ্বাস নিতে পারে। এক শটে দেখা মেলে ময়ূরের; আরেকটিতে পালক আড়াআড়ি কেটে যায় তার দৃষ্টি। সবটাই নাটকীয়, তবে সযত্নে সম্পাদিত।

টোকিও গেম শো ২০২৫: গেমিং জগতের উৎসব শুরু

অনন্যা পান্ডের জয়পুর ঝলক: ওটিটি সাফল্য থেকে রেড-কার্পেট তারকা

০৫:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

অনন্যা পান্ডের সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম ক্যারোসেল যেন এক রঙিন পোস্টকার্ড—জয়পুরের পটভূমিতে ফুচসিয়া লেহেঙ্গা, ঐতিহ্যবাহী পোলকি গহনা, চিরায়ত খোঁপা আর একখানি ময়ূরের পালক যেন তুলি হয়ে ধরা। তিনি এটি ক্যাপশন করেছেন ডিজাইনার পুনিত বলানার ১০ বছরের উদযাপন হিসেবে। ছবিগুলোও যেন তাই—চন্দ্রালোকিত খিলান ও মোমবাতি সাজানো রানওয়েতে এক শিল্প আর সংস্কৃতির অভিবাদন। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য, যারা একসঙ্গে ভারতীয় সিনেমা ও ফ্যাশনের খোঁজ রাখেন, এটি একটি স্মারক—অনন্যা এখন স্ট্রিমিং তারকাখ্যাতি ও হাই-ফ্যাশনের সংযোগস্থলে এক স্থায়ী উপস্থিতি।


সেই ব্রেকথ্রু যা সবকিছু বদলে দিল
পান্ডে যাত্রা শুরু করেছিলেন স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২ (২০১৯) দিয়ে এবং দ্রুত প্রাথমিক আলোচনাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নিজের পরিচিতি। এ ছবির সুবাদে তিনি অর্জন করেন বেস্ট ফিমেল ডেবিউর স্বীকৃতি। পরের ছবি পতি পত্নী ঔর উওহ তাকে শাণিত করল বাণিজ্যিক ছবির জন্য—অভিনয়ে হালকা স্পর্শ রাখা, উপস্থিতিকে স্থিতিশীল করা, আর আলোচনায় টিকে থাকার কৌশল শেখা।

পর্দায় ব্যস্ত সময়

তার ওটিটি-তে প্রবেশ প্রত্যাশার পাল্টে দিল। খো গয়ে হুম কহাঁ (নেটফ্লিক্স, ২০২৩) এনে দিল সেই প্রশংসা যা প্রত্যেক তরুণ অভিনেত্রী চান—বন্ধুত্ব ও ডিজিটাল সত্তাকে কেন্দ্র করে বাস্তবধর্মী অভিনয়, এবং পরে সমালোচকদের পুরস্কারও। ২০২৪ সালে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে মাধ্যম বদল করেছেন: অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর কল মি বে তাকে দাঁড় করিয়েছে এক সাহসী কিন্তু অচেনা জগতে ফেলা উত্তরাধিকারিণীর চরিত্রে; CTRL (নেটফ্লিক্স) তাকে রেখেছে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের পরিচালনায় এক টানটান বাস্তব-সময় টেক থ্রিলারে; আর বক্স অফিসে তার উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল ড্রিম গার্ল ২–এর সাফল্যের সুবাদে। ফলাফল: পরিসর—রোম-কমের টাইমিং, লং-ফর্ম স্ট্রিমিংয়ের ধৈর্য, এবং পরীক্ষা করার মানসিকতা।

সামনে কী

ট্রেড মহলে শোনা যাচ্ছে, ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে একটি রোমান্টিক ড্রামা (২০২৫ সালে মুক্তির সম্ভাবনা) এবং কল মি বে-র পরবর্তী সিজনের কাজ এগোচ্ছে। অফিসিয়ালি কিছু ঘোষিত না হলেও ধারা স্পষ্ট: ওটিটি দর্শকদের কাছাকাছি রাখা, সঠিক চিত্রনাট্যে থিয়েট্রিকাল ছবি করা, আর ফ্যাশন সপ্তাহ ও ব্র্যান্ড মুহূর্তগুলো দিয়ে ফাঁকা সময় ভরাট করা।

ট্রেন্ড মেশিন: কেন ইন্টারনেট তাকিয়ে থাকে

পান্ডের ফিডে পাল্টাপাল্টি চলে হাই ফ্যাশন আর কোর স্ট্রেন্থের। এক সপ্তাহে কেটলবেল পুশ-আপস ছড়িয়ে পড়ে ফিটনেস পেজে; পরের সপ্তাহে কুতুর অ্যাপয়েন্টমেন্ট কিংবা গ্লোবাল লাক্সারি হাউসের ফ্রন্ট রো উপস্থিতি। স্টাইলিংও হয়েছে পরিণত—প্যারিসে পার্লস আর টুইড, মুম্বাইতে ঝলমলে গাউন। ক্যাপশন থাকে সংক্ষিপ্ত ও শেয়ারযোগ্য। বাংলাদেশে, যেখানে রিলস-এ একদিকে ফিটনেস আবার অন্যদিকে বিয়ের ফ্যাশন জনপ্রিয়, অনন্যার এই ভারসাম্য তাকে অ্যালগরিদমে ধরে রাখে।

তার ফ্যাশন

জয়পুর সেট যেন আধুনিক আনুষ্ঠানিকতার এক নিখুঁত উদাহরণ। ফুচসিয়া লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম নকশা থাকলেও কাট শার্প; রুবি সেন্টারযুক্ত পোলকি চোকার বসেছে গলায় উঁচুতে, আর মহারানি-স্টাইলের নেকলেসে দুলছে একখানি স্টেটমেন্ট এমেরাল্ড পেন্ডেন্ট যা ফ্রেম নিয়ন্ত্রণ করে। হাতে স্তূপীকৃত চুড়ি আর রত্নখচিত আঙটি রাজস্থানি রঙতালকে প্রতিধ্বনি করে। চুল বাঁধা খোঁপায়, মাইক্রো বিন্দি; মেকআপে সতেজ ও স্বাভাবিক টোন—হালকা কাজল, উজ্জ্বল ত্বক, গ্লাসি নিউড লিপ—যাতে গহনা আর বস্ত্র শ্বাস নিতে পারে। এক শটে দেখা মেলে ময়ূরের; আরেকটিতে পালক আড়াআড়ি কেটে যায় তার দৃষ্টি। সবটাই নাটকীয়, তবে সযত্নে সম্পাদিত।