০৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৭৮৮ রোগী দিল্লি–ঢাকা অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের গুরুত্ব সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা গাজীপুরে ফিনিক্স কয়েল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপদে সরানো হয়েছে ৫০০ শ্রমিক চার মাসেই বেনাপোল দিয়ে ১৪ হাজার টন দিল্লির চাল এল ঢাকায় বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারি: তাইওয়ান নিয়ে মন্তব্য না বদলালে জাপানের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা  দুবাই ইনফ্লুয়েন্সার অনুনয় স্যূদের মৃত্যু: লাস ভেগাস পুলিশের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করল শেষ কয়েক ঘণ্টার করুণ পরিস্থিতি নতুন বন্যায় ডুবে ভিয়েতনাম, ঝুঁকিতে কফি ফসল ও গ্রামীণ জীবন লেবাননের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ নিহত, নতুন সহিংসতার আশঙ্কা ‘আমার কোনও দোষ ছিল না, কিন্তু আমাকে সব কিছু হারাতে হয়েছে’

কমিশন শোনার দিন মব—ভোটপ্রক্রিয়া কতটা নিরাপদ?  

২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে দেশের সামনে এক নতুন শঙ্কার ছবি ফুটে ওঠে। কমিশনের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সেখানে একটি ছোট পরিসরের মব ভায়োলেন্স দেখা দেয়। যদিও ঘটনাটি সামান্য ছিল, তবে এর প্রতীকী গুরুত্ব অনেক বড়। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে—এই ঘটনা কি আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোনো অশনি সংকেত?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অতীতে বহুবার ছোট একটি সংঘর্ষই পরবর্তীতে বড় সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। তাই এই ক্ষুদ্র পরিসরের মব ভায়োলেন্সকে অবহেলা করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা—সব মিলিয়ে একটি ছোট ঘটনার মধ্যেই অনেকে বড় বিপদের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছেন।

মব' সন্ত্রাস : বিচারহীনতার রাজনীতি

বাংলাদেশে নির্বাচনী সময়ে সহিংসতার ইতিহাস দীর্ঘ। বিগত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল, অবরোধ ও সহিংস মিছিল-সমাবেশের ফলে সাধারণ মানুষের মনে ভয় তৈরি হয়েছে। এবার যদি নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মব ভায়োলেন্স ছড়িয়ে পড়ে, তবে এর প্রভাব শুধু ভোটকেন্দ্রে নয়, সারাদেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও পড়বে।

বর্তমানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থানে অনড়। কেউ চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন, আবার কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়। ফলে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কমিশনের শুনানির দিনে যে অশান্ত দৃশ্য দেখা গেছে, সেটি আসলে রাজনৈতিক অস্থিরতারই প্রতিচ্ছবি।

শুনানির দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও মব ভায়োলেন্স পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নির্বাচনের সময় যদি বড় পরিসরে সংঘাত শুরু হয়, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কি যথেষ্ট ক্ষমতা ও প্রস্তুতি দেওয়া হয়েছে?

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৭৮৮ রোগী

কমিশন শোনার দিন মব—ভোটপ্রক্রিয়া কতটা নিরাপদ?  

০৪:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে দেশের সামনে এক নতুন শঙ্কার ছবি ফুটে ওঠে। কমিশনের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সেখানে একটি ছোট পরিসরের মব ভায়োলেন্স দেখা দেয়। যদিও ঘটনাটি সামান্য ছিল, তবে এর প্রতীকী গুরুত্ব অনেক বড়। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে—এই ঘটনা কি আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোনো অশনি সংকেত?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অতীতে বহুবার ছোট একটি সংঘর্ষই পরবর্তীতে বড় সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। তাই এই ক্ষুদ্র পরিসরের মব ভায়োলেন্সকে অবহেলা করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা—সব মিলিয়ে একটি ছোট ঘটনার মধ্যেই অনেকে বড় বিপদের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছেন।

মব' সন্ত্রাস : বিচারহীনতার রাজনীতি

বাংলাদেশে নির্বাচনী সময়ে সহিংসতার ইতিহাস দীর্ঘ। বিগত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল, অবরোধ ও সহিংস মিছিল-সমাবেশের ফলে সাধারণ মানুষের মনে ভয় তৈরি হয়েছে। এবার যদি নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মব ভায়োলেন্স ছড়িয়ে পড়ে, তবে এর প্রভাব শুধু ভোটকেন্দ্রে নয়, সারাদেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও পড়বে।

বর্তমানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থানে অনড়। কেউ চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন, আবার কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়। ফলে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কমিশনের শুনানির দিনে যে অশান্ত দৃশ্য দেখা গেছে, সেটি আসলে রাজনৈতিক অস্থিরতারই প্রতিচ্ছবি।

শুনানির দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও মব ভায়োলেন্স পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নির্বাচনের সময় যদি বড় পরিসরে সংঘাত শুরু হয়, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কি যথেষ্ট ক্ষমতা ও প্রস্তুতি দেওয়া হয়েছে?