২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে দেশের সামনে এক নতুন শঙ্কার ছবি ফুটে ওঠে। কমিশনের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সেখানে একটি ছোট পরিসরের মব ভায়োলেন্স দেখা দেয়। যদিও ঘটনাটি সামান্য ছিল, তবে এর প্রতীকী গুরুত্ব অনেক বড়। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে—এই ঘটনা কি আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোনো অশনি সংকেত?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অতীতে বহুবার ছোট একটি সংঘর্ষই পরবর্তীতে বড় সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। তাই এই ক্ষুদ্র পরিসরের মব ভায়োলেন্সকে অবহেলা করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা—সব মিলিয়ে একটি ছোট ঘটনার মধ্যেই অনেকে বড় বিপদের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছেন।

বাংলাদেশে নির্বাচনী সময়ে সহিংসতার ইতিহাস দীর্ঘ। বিগত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল, অবরোধ ও সহিংস মিছিল-সমাবেশের ফলে সাধারণ মানুষের মনে ভয় তৈরি হয়েছে। এবার যদি নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মব ভায়োলেন্স ছড়িয়ে পড়ে, তবে এর প্রভাব শুধু ভোটকেন্দ্রে নয়, সারাদেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও পড়বে।
বর্তমানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থানে অনড়। কেউ চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন, আবার কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়। ফলে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কমিশনের শুনানির দিনে যে অশান্ত দৃশ্য দেখা গেছে, সেটি আসলে রাজনৈতিক অস্থিরতারই প্রতিচ্ছবি।
শুনানির দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও মব ভায়োলেন্স পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নির্বাচনের সময় যদি বড় পরিসরে সংঘাত শুরু হয়, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কি যথেষ্ট ক্ষমতা ও প্রস্তুতি দেওয়া হয়েছে?
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















