০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক–ফিলিপস ফাউন্ডেশনের নতুন চার হেলথ সেন্টার প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলেও আস্থার লড়াইয়ে এগোচ্ছে চীন কাশ্মীরি মানেই সন্ত্রাসী নন- ওমর আব্দুল্লাহ গোপন সস রক্ষায় কঠোর নজরদারি: রেইজিং কেইনসের রহস্যময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সিআইএ–এর মূল্যায়নকে অস্বীকার করলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের কৃষিপণ্য শুল্ক ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে পারে ভারতের রপ্তানি ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৭৮৮ রোগী দিল্লি–ঢাকা অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের গুরুত্ব

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষকদের ক্ষোভ

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষোভ

বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকরা পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই বক্তব্য ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও অবমাননাকর। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করে পাকিস্তান আবারও ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে।

মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের স্বীকৃতি

শিক্ষকরা মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন, ২ লক্ষ মা–বোনের সম্ভ্রম এবং কোটি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এই আত্মদানের ইতিহাসকে অস্বীকার করা মানে স্বাধীনতার চেতনাকে অপমান করা।

পাকিস্তানের ইতিহাস: শোষণ ও বৈষম্য

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতিহাস ছিল বাঙালিকে শোষণ ও বৈষম্যের শিকার করার ইতিহাস। বাংলা ভাষার ওপর আঘাত, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উপনিবেশে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হয় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গুলিবর্ষণ, নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন এবং গণহত্যা—যা প্রকৃতপক্ষে এক ভয়াবহ জাতিগত নিধন ছিল। শিক্ষকরা দৃঢ়ভাবে জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে গণহত্যা।

পাকিস্তানের প্রতি দাবি: আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা

শিক্ষকরা বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ৯ মাস ধরে চলা হত্যা, ধর্ষণ, যুদ্ধশিশুর জন্ম—এসব অপরাধ শুধু কথার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয় নয়। এ জন্য পাকিস্তান পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, যাতে তা দুই দেশের সংসদীয় ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকে।

স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থান

শিক্ষকরা স্পষ্ট করে দেন, একজন ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে গণহত্যার দায় এড়ানো যাবে না। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য কেবল মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করেনি, বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও জাতির প্রতি চরম অসম্মান প্রকাশ করেছে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ইতিহাস নিয়ে কোনো অবমাননাকর মন্তব্য বাংলাদেশ কখনো সহ্য করবে না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব চিরদিন অম্লান থাকবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা একযোগে পাকিস্তানের এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকৃতি দেয়।

স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের নাম

এই বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক প্রগতিশীল শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—

অধ্যাপক ড. এম. আহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. পূর্ণা ইসলাম, অধ্যাপক ড. এম. জেড. মামুন, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. শবনম জাহান, অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খান, অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. জামিলা এ. চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. কাজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব হেলাল, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর, অধ্যাপক ড. সুব্রত সাহা, অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ওসমান গনি তালুকদার, ড. সিদ্ধার্থ দে, অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. রফিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ, অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফ, ড. মাহবুব আলম প্রদীপ, ড. নীলিমা আখতার, অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, ড. বেলাল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. শামীম হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান, অধ্যাপক ড. মাহবুব আল মারুফ, অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক, অধ্যাপক ড. রফিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া, কামরুন নাহার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আখতার, অধ্যাপক ড. জাহানারা আরজু, অধ্যাপক মো. জামাল হোসেন, অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক মো. হানিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর, অধ্যাপক প্রভাস কুমার চক্রবর্তী, ড. মো. মাহমুদুল হাসান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. রায়হান সরকার, অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. শামসুজ্জোহা, অধ্যাপক শাহ আজম, অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক রাবিউল ইসলাম, অধ্যাপক বাদশা মিয়া, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার, ড. মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, ড. মো. আব্দুল কাইউম, অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, অধ্যাপক এনামুল কবির, অধ্যাপক আলতাফ রাসেল, অধ্যাপক শামীমুর রহমান, অধ্যাপক ফরিদা ইসলাম, অধ্যাপক সাব্বির সাত্তার, অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত নয়ন, অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক ড. অনিক কৃষ্ণ করমকার, অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা আলুকদার, অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, অধ্যাপক সঞ্জয় মুখার্জি, অধ্যাপক আজিজুর রহমান, অধ্যাপক রেদওয়ান আহমেদ, অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক রাশেদ মোশাররফ, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিনুর রশিদ, অধ্যাপক এ. এফ. এম. আব্দুল মঈন, অধ্যাপক ড. মামুন, অধ্যাপক জুলফিকার, অধ্যাপক ড. মল্লা হক, অধ্যাপক শহীদুল্লাহ হাওলাদার, অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বকুল, অধ্যাপক ড. এম. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর, অধ্যাপক ড. ফারহানা হক, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাজাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার, অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র, অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুস সবহান, অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, অধ্যাপক ড. সুবাষ চন্দ্র, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সুজন সেন, অধ্যাপক ড. তোফায়েল, অধ্যাপক ড. আউল কবির জয়, জনাব ইলিয়াস উদ্দিন, ড. মো. নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সুলায়মান হোসেন, অধ্যাপক ড. সৌরভ পাল, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. কল্যাণ দে, অধ্যাপক ড. শুক্লা দাস, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মল্লা হক, অধ্যাপক ড. হাসান মুহাম্মদ, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. আজমল হুদা, অধ্যাপক রকনুজ্জামান জুয়েল, অধ্যাপক সুলতান ইসলাম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া, অধ্যাপক মেহেদী হাসান ইকবাল, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক আলাউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক লায়লা আহমেদ, অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম সরকার, অধ্যাপক আহসান হাবিব, অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন, অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দাস, অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক আলমগীর সরকার, অধ্যাপক আবু জাফর সিদ্দিকী, অধ্যাপক বাহার উদ্দিন, অধ্যাপক মামুন আল আসাদ, অধ্যাপক আলী আজগর আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাশেম, অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম প্রামাণিক, অধ্যাপক আবু নাসের সরকার, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আবির, অধ্যাপক বরুণ ইকবাল সিদ্দিকী, অধ্যাপক ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক হাসিবুল বারী, অধ্যাপক ফয়সাল গনি টিপু, অধ্যাপক সুজন সেন, অধ্যাপক সুলতান আহমেদ, অধ্যাপক জাহিদ হাসান, অধ্যাপক জান্নাতুল বারী, অধ্যাপক সেলিম নাসরিন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ওমর ফারুক দিদার, অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র, অধ্যাপক রাশেদ হাসান নবি, অধ্যাপক নজীর মল্লা জালাল, অধ্যাপক স্বপন চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক হারিস আহমেদ, অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান খান, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাবু, অধ্যাপক রুহুল আমিন, অধ্যাপক তপন কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক আহসান–উল হক, অধ্যাপক ইব্রাহিম আবদুল্লাহ মাহবুব, অধ্যাপক রাবিউল হোসেন পলাশ, অধ্যাপক অসীম কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সাদাত, অধ্যাপক আনিসুর রহমান কাওসার, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম নয়ন, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস, অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন আরমান, অধ্যাপক লিটন কুমার বর্মন, অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান বাদল, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জাবেদ, অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শম্পা জাহান, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাশেম তালুকদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, অধ্যাপক সাদাত আকবর হোসেন, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার, অধ্যাপক রুহুল আমিন হাওলাদার, অধ্যাপক মো. জাকারিয়া সরকার, অধ্যাপক হাসানুল হক মজুমদার, অধ্যাপক গোলাম কবির, অধ্যাপক নাজমুল হুদা, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অধ্যাপক কামরুন্নাহার মৌসুমি, অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ খান, অধ্যাপক শাহনেওয়াজ রব্বী মিয়া, অধ্যাপক জাহিদুল আলম, অধ্যাপক আবু নাসের চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান সাজিব, অধ্যাপক একরামুল হক, অধ্যাপক শাহাদাত কামাল, অধ্যাপক আশীষ তালহা, অধ্যাপক আলী আহমেদ, অধ্যাপক রেজাউর করিম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক ফারুক হোসেন, অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বিজয় কুমার পাল, অধ্যাপক হুমায়ুন আহমেদ, অধ্যাপক ফিরোজ আলম, অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মণ্ডল, অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক সেলিম উল মাসুদ, অধ্যাপক আখতার হোসেন লিমন, ড. রুহুল আমিন, ড. মোহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম সরকার, অধ্যাপক বনি আদম, অধ্যাপক আলাউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম প্রামাণিক, অধ্যাপক রাশেদ হাসান নবি, অধ্যাপক বরুণ ইকবাল সিদ্দিকী, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক রেজাউর করিম, অধ্যাপক সাদাত আকবর হোসেন, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং এস. এম. মুয়াজ্জেম হোসেন।

বাংলাদেশের প্রগতিশীল শিক্ষকরা একবাক্যে ঘোষণা করেন, স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মোৎসর্গ করেছেন, তাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯)

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষকদের ক্ষোভ

০১:৪২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষোভ

বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকরা পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই বক্তব্য ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও অবমাননাকর। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করে পাকিস্তান আবারও ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে।

মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের স্বীকৃতি

শিক্ষকরা মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন, ২ লক্ষ মা–বোনের সম্ভ্রম এবং কোটি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এই আত্মদানের ইতিহাসকে অস্বীকার করা মানে স্বাধীনতার চেতনাকে অপমান করা।

পাকিস্তানের ইতিহাস: শোষণ ও বৈষম্য

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতিহাস ছিল বাঙালিকে শোষণ ও বৈষম্যের শিকার করার ইতিহাস। বাংলা ভাষার ওপর আঘাত, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উপনিবেশে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হয় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গুলিবর্ষণ, নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন এবং গণহত্যা—যা প্রকৃতপক্ষে এক ভয়াবহ জাতিগত নিধন ছিল। শিক্ষকরা দৃঢ়ভাবে জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে গণহত্যা।

পাকিস্তানের প্রতি দাবি: আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা

শিক্ষকরা বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ৯ মাস ধরে চলা হত্যা, ধর্ষণ, যুদ্ধশিশুর জন্ম—এসব অপরাধ শুধু কথার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয় নয়। এ জন্য পাকিস্তান পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, যাতে তা দুই দেশের সংসদীয় ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকে।

স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থান

শিক্ষকরা স্পষ্ট করে দেন, একজন ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে গণহত্যার দায় এড়ানো যাবে না। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য কেবল মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করেনি, বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও জাতির প্রতি চরম অসম্মান প্রকাশ করেছে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ইতিহাস নিয়ে কোনো অবমাননাকর মন্তব্য বাংলাদেশ কখনো সহ্য করবে না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব চিরদিন অম্লান থাকবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা একযোগে পাকিস্তানের এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকৃতি দেয়।

স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের নাম

এই বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক প্রগতিশীল শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—

অধ্যাপক ড. এম. আহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. পূর্ণা ইসলাম, অধ্যাপক ড. এম. জেড. মামুন, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. শবনম জাহান, অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খান, অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. জামিলা এ. চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. কাজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব হেলাল, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর, অধ্যাপক ড. সুব্রত সাহা, অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ওসমান গনি তালুকদার, ড. সিদ্ধার্থ দে, অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. রফিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ, অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফ, ড. মাহবুব আলম প্রদীপ, ড. নীলিমা আখতার, অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, ড. বেলাল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. শামীম হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান, অধ্যাপক ড. মাহবুব আল মারুফ, অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক, অধ্যাপক ড. রফিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া, কামরুন নাহার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আখতার, অধ্যাপক ড. জাহানারা আরজু, অধ্যাপক মো. জামাল হোসেন, অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক মো. হানিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর, অধ্যাপক প্রভাস কুমার চক্রবর্তী, ড. মো. মাহমুদুল হাসান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. রায়হান সরকার, অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. শামসুজ্জোহা, অধ্যাপক শাহ আজম, অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক রাবিউল ইসলাম, অধ্যাপক বাদশা মিয়া, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার, ড. মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, ড. মো. আব্দুল কাইউম, অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, অধ্যাপক এনামুল কবির, অধ্যাপক আলতাফ রাসেল, অধ্যাপক শামীমুর রহমান, অধ্যাপক ফরিদা ইসলাম, অধ্যাপক সাব্বির সাত্তার, অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত নয়ন, অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক ড. অনিক কৃষ্ণ করমকার, অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা আলুকদার, অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, অধ্যাপক সঞ্জয় মুখার্জি, অধ্যাপক আজিজুর রহমান, অধ্যাপক রেদওয়ান আহমেদ, অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক রাশেদ মোশাররফ, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিনুর রশিদ, অধ্যাপক এ. এফ. এম. আব্দুল মঈন, অধ্যাপক ড. মামুন, অধ্যাপক জুলফিকার, অধ্যাপক ড. মল্লা হক, অধ্যাপক শহীদুল্লাহ হাওলাদার, অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বকুল, অধ্যাপক ড. এম. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর, অধ্যাপক ড. ফারহানা হক, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাজাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার, অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র, অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুস সবহান, অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, অধ্যাপক ড. সুবাষ চন্দ্র, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সুজন সেন, অধ্যাপক ড. তোফায়েল, অধ্যাপক ড. আউল কবির জয়, জনাব ইলিয়াস উদ্দিন, ড. মো. নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সুলায়মান হোসেন, অধ্যাপক ড. সৌরভ পাল, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. কল্যাণ দে, অধ্যাপক ড. শুক্লা দাস, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মল্লা হক, অধ্যাপক ড. হাসান মুহাম্মদ, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. আজমল হুদা, অধ্যাপক রকনুজ্জামান জুয়েল, অধ্যাপক সুলতান ইসলাম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া, অধ্যাপক মেহেদী হাসান ইকবাল, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক আলাউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক লায়লা আহমেদ, অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম সরকার, অধ্যাপক আহসান হাবিব, অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন, অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দাস, অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক আলমগীর সরকার, অধ্যাপক আবু জাফর সিদ্দিকী, অধ্যাপক বাহার উদ্দিন, অধ্যাপক মামুন আল আসাদ, অধ্যাপক আলী আজগর আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাশেম, অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম প্রামাণিক, অধ্যাপক আবু নাসের সরকার, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আবির, অধ্যাপক বরুণ ইকবাল সিদ্দিকী, অধ্যাপক ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক হাসিবুল বারী, অধ্যাপক ফয়সাল গনি টিপু, অধ্যাপক সুজন সেন, অধ্যাপক সুলতান আহমেদ, অধ্যাপক জাহিদ হাসান, অধ্যাপক জান্নাতুল বারী, অধ্যাপক সেলিম নাসরিন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ওমর ফারুক দিদার, অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র, অধ্যাপক রাশেদ হাসান নবি, অধ্যাপক নজীর মল্লা জালাল, অধ্যাপক স্বপন চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক হারিস আহমেদ, অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান খান, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাবু, অধ্যাপক রুহুল আমিন, অধ্যাপক তপন কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক আহসান–উল হক, অধ্যাপক ইব্রাহিম আবদুল্লাহ মাহবুব, অধ্যাপক রাবিউল হোসেন পলাশ, অধ্যাপক অসীম কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সাদাত, অধ্যাপক আনিসুর রহমান কাওসার, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম নয়ন, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস, অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন আরমান, অধ্যাপক লিটন কুমার বর্মন, অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান বাদল, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জাবেদ, অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শম্পা জাহান, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাশেম তালুকদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, অধ্যাপক সাদাত আকবর হোসেন, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার, অধ্যাপক রুহুল আমিন হাওলাদার, অধ্যাপক মো. জাকারিয়া সরকার, অধ্যাপক হাসানুল হক মজুমদার, অধ্যাপক গোলাম কবির, অধ্যাপক নাজমুল হুদা, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অধ্যাপক কামরুন্নাহার মৌসুমি, অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ খান, অধ্যাপক শাহনেওয়াজ রব্বী মিয়া, অধ্যাপক জাহিদুল আলম, অধ্যাপক আবু নাসের চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান সাজিব, অধ্যাপক একরামুল হক, অধ্যাপক শাহাদাত কামাল, অধ্যাপক আশীষ তালহা, অধ্যাপক আলী আহমেদ, অধ্যাপক রেজাউর করিম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক ফারুক হোসেন, অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বিজয় কুমার পাল, অধ্যাপক হুমায়ুন আহমেদ, অধ্যাপক ফিরোজ আলম, অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মণ্ডল, অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক সেলিম উল মাসুদ, অধ্যাপক আখতার হোসেন লিমন, ড. রুহুল আমিন, ড. মোহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম সরকার, অধ্যাপক বনি আদম, অধ্যাপক আলাউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম প্রামাণিক, অধ্যাপক রাশেদ হাসান নবি, অধ্যাপক বরুণ ইকবাল সিদ্দিকী, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক রেজাউর করিম, অধ্যাপক সাদাত আকবর হোসেন, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং এস. এম. মুয়াজ্জেম হোসেন।

বাংলাদেশের প্রগতিশীল শিক্ষকরা একবাক্যে ঘোষণা করেন, স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মোৎসর্গ করেছেন, তাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।