১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার – আকাশ চোপড়া-অশ্বিনকেই ‘সঠিক’ প্রমাণ করছে বাংলাদেশ? ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্বহাল চায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রেমিট্যান্স যেভাবে বদলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক গ্রাম নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল অবশেষে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, কেনো এত সময় লাগলো? ঝালকাঠির হালতা নদী: ইতিহাস, জীবন ও ভবিষ্যতের লড়াই সাগর দ্বীপ : যাকে মানুষ চেনে গঙ্গাসাগর নামে ফরাসি মাস্টার সেজান তাঁর পারিবারিক প্রাসাদে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন: ক্রিকেটের কবি

পূর্ণিমার জীবন আসলেই একটি চলচ্চিত্র

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে পূর্ণিমা নামটি আজ এক অমোঘ আকর্ষণ। সৌন্দর্য, অভিনয় দক্ষতা, জনপ্রিয়তা এবং বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয়ে তিনি গত তিন দশক ধরে দর্শকের মনে স্থায়ী আসন গড়ে তুলেছেন। জন্ম থেকে অভিনয়জীবনের উত্থান, সাফল্য, ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন ও বর্তমান অবস্থা—সব মিলিয়ে পূর্ণিমার জীবন আসলেই এক চলচ্চিত্রের গল্পের মতো।

শৈশব ও পারিবারিক শেকড়

পূর্ণিমার জন্ম ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। জন্মনাম ছিল দিলারা হানিফ রিতা। বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং মা সুফিয়া বেগম ছিলেন গৃহিণী। পরিবারের মধ্যম সন্তান হিসেবে পূর্ণিমার শৈশব কেটেছে ভালোবাসা ও স্নেহে। তাঁর বোন দিলরুবা হানিফও অভিনয়ে যুক্ত, যা প্রমাণ করে তাঁদের পরিবারে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আলাদা টান ছিল।

চট্টগ্রামের প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা পূর্ণিমার কিশোরীবেলা ছিল নির্ভেজাল আনন্দে ভরা। ছোটবেলায় তিনি নাচ, গান ও আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুলে পড়াকালেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর আগ্রহ নজরে আসে সবার। সেই সময়েই তাঁর সৌন্দর্য ও প্রাণবন্ত উপস্থিতি চলচ্চিত্রের মানুষের চোখে পড়ে।

অভিনয়ে অভিষেক

মাত্র ষোল বছর বয়সে পূর্ণিমা পা রাখেন রূপালি জগতে। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু তাঁকে আবিষ্কার করেন এবং এ জীবন তোমার আমার (১৯৯৭-৯৮) ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেন। অল্প বয়সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সহজ ছিল না, কিন্তু পূর্ণিমা তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গি ও নিষ্পাপ অভিব্যক্তি দিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করেন। শুরুতেই তিনি বুঝিয়ে দেন যে তিনি দীর্ঘ পথ চলার জন্যই এসেছেন।

খ্যাতির শিখরে উত্থান

২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া মনের মাঝে তুমি ছিল পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের বড় বাঁক। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে তাঁর রসায়ন দর্শককে মুগ্ধ করে। গান, সংলাপ ও আবেগঘন কাহিনির জন্য, এই ছবিটি দুই বাংলার দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন পায়। এ ছবির পর পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকা।

এরপর একে একে মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), শাস্তি (২০০৪), শুভা (২০০৬), হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮) তাঁকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্য কিংবা আধুনিক প্রেম—প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন।

অভিনয়ের বহুমুখিতা

পূর্ণিমার অভিনয়ের বিশেষত্ব হলো তাঁর বহুমাত্রিকতা। তিনি কখনো রোমান্টিক তরুণী, কখনো মুক্তিযুদ্ধের কষ্টভোগী চরিত্র, আবার কখনো নিঃশব্দে কষ্ট সহ্য করা বোবা মেয়ের ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছেন।

  • শুভাছবিতে সংলাপ ছাড়াই শুধু চোখ ও মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে চরিত্রকে জীবন্ত করেছেন।
  • ওরা আমাকে ভালো হতে দিল নাছবিতে তিনি একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ছবির জন্যই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
  • রিয়াজের সঙ্গে তাঁর জুটি একসময় ঢালিউডের সবচেয়ে সফল জুটির একটি হিসেবে বিবেচিত হতো।

টেলিভিশন ও উপস্থাপনায় সাফল্য

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পূর্ণিমা ছোট পর্দায়ও সমান জনপ্রিয়। অসংখ্য টেলিফিল্ম ও নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন, যেখানে তাঁর প্রভাবশালী উপস্থিতি দর্শককে টিভির সামনে বেঁধে রাখে।

তাঁর উপস্থাপিত টকশোগুলোও ছিল ব্যতিক্রমী। এবং পূর্ণিমা অনুষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে দর্শকের প্রিয় ছিল। এছাড়া পূর্ণিমা আলো ও বড় মঞ্চের তারকারা অনুষ্ঠান তাঁকে জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন

পূর্ণিমার ব্যক্তিজীবন নাটকীয় উত্থান-পতনে ভরা।

  • ২০০৫ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেন ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়াকে। দুই বছরের মাথায় তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে।
  • এরপর ২০০৭ সালে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামালকে। তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় একমাত্র কন্যা আরশিয়া উমাইজা। তবে এই সম্পর্কও টেকেনি।
  • ২০২২ সালে পূর্ণিমা তৃতীয়বারের মতো আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন।

ব্যক্তিজীবনের নানা আঘাত সত্ত্বেও তিনি ক্যারিয়ার থামতে দেননি। দাম্পত্য ভাঙনের দুঃখ সামলে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করেছেন।

সাম্প্রতিক কাজ

দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পরও পূর্ণিমা এখনও চলচ্চিত্রে সক্রিয়। চিরঞ্জীব মুজিব (২০২১) তাঁর সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য কাজ। এখানে তিনি নতুন প্রজন্মের দর্শকের কাছেও আবার নিজের অভিনয় দক্ষতা তুলে ধরতে সক্ষম হন।

উত্তরাধিকার ও প্রভাব

পূর্ণিমা শুধু একজন নায়িকা নন; তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একটি যুগের প্রতীক। নব্বই দশকের শেষ থেকে শুরু করে আজ অবধি তিনি প্রমাণ করেছেন যে সৌন্দর্য নয়, প্রকৃত অভিনয়শৈলীই একজন শিল্পীকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ছবি—মনের মাঝে তুমিমেঘের পরে মেঘশুভাহৃদয়ের কথা এবং ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না—বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। এই চলচ্চিত্রগুলোতেই তাঁর শিল্পীসত্তার উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটেছে।

পূর্ণিমা একাধারে অভিনেত্রী, উপস্থাপক, মডেল এবং প্রেরণাদায়ী এক নারীর প্রতীক। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দর্শককে বিনোদিত করেছেন এবং এখনও করছেন। জীবনের নানা বাঁক, ব্যক্তিগত সংকট, সামাজিক বাধা—সবকিছুর মাঝেও তিনি অটল থেকেছেন। পূর্ণিমা আজ শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরকাল অম্লান থাকবেন।

জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূর্ণিমার জীবন আসলেই একটি চলচ্চিত্র

০৯:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে পূর্ণিমা নামটি আজ এক অমোঘ আকর্ষণ। সৌন্দর্য, অভিনয় দক্ষতা, জনপ্রিয়তা এবং বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয়ে তিনি গত তিন দশক ধরে দর্শকের মনে স্থায়ী আসন গড়ে তুলেছেন। জন্ম থেকে অভিনয়জীবনের উত্থান, সাফল্য, ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন ও বর্তমান অবস্থা—সব মিলিয়ে পূর্ণিমার জীবন আসলেই এক চলচ্চিত্রের গল্পের মতো।

শৈশব ও পারিবারিক শেকড়

পূর্ণিমার জন্ম ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। জন্মনাম ছিল দিলারা হানিফ রিতা। বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং মা সুফিয়া বেগম ছিলেন গৃহিণী। পরিবারের মধ্যম সন্তান হিসেবে পূর্ণিমার শৈশব কেটেছে ভালোবাসা ও স্নেহে। তাঁর বোন দিলরুবা হানিফও অভিনয়ে যুক্ত, যা প্রমাণ করে তাঁদের পরিবারে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আলাদা টান ছিল।

চট্টগ্রামের প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা পূর্ণিমার কিশোরীবেলা ছিল নির্ভেজাল আনন্দে ভরা। ছোটবেলায় তিনি নাচ, গান ও আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুলে পড়াকালেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর আগ্রহ নজরে আসে সবার। সেই সময়েই তাঁর সৌন্দর্য ও প্রাণবন্ত উপস্থিতি চলচ্চিত্রের মানুষের চোখে পড়ে।

অভিনয়ে অভিষেক

মাত্র ষোল বছর বয়সে পূর্ণিমা পা রাখেন রূপালি জগতে। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু তাঁকে আবিষ্কার করেন এবং এ জীবন তোমার আমার (১৯৯৭-৯৮) ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেন। অল্প বয়সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সহজ ছিল না, কিন্তু পূর্ণিমা তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গি ও নিষ্পাপ অভিব্যক্তি দিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করেন। শুরুতেই তিনি বুঝিয়ে দেন যে তিনি দীর্ঘ পথ চলার জন্যই এসেছেন।

খ্যাতির শিখরে উত্থান

২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া মনের মাঝে তুমি ছিল পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের বড় বাঁক। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে তাঁর রসায়ন দর্শককে মুগ্ধ করে। গান, সংলাপ ও আবেগঘন কাহিনির জন্য, এই ছবিটি দুই বাংলার দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন পায়। এ ছবির পর পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকা।

এরপর একে একে মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), শাস্তি (২০০৪), শুভা (২০০৬), হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮) তাঁকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্য কিংবা আধুনিক প্রেম—প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন।

অভিনয়ের বহুমুখিতা

পূর্ণিমার অভিনয়ের বিশেষত্ব হলো তাঁর বহুমাত্রিকতা। তিনি কখনো রোমান্টিক তরুণী, কখনো মুক্তিযুদ্ধের কষ্টভোগী চরিত্র, আবার কখনো নিঃশব্দে কষ্ট সহ্য করা বোবা মেয়ের ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছেন।

  • শুভাছবিতে সংলাপ ছাড়াই শুধু চোখ ও মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে চরিত্রকে জীবন্ত করেছেন।
  • ওরা আমাকে ভালো হতে দিল নাছবিতে তিনি একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ছবির জন্যই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
  • রিয়াজের সঙ্গে তাঁর জুটি একসময় ঢালিউডের সবচেয়ে সফল জুটির একটি হিসেবে বিবেচিত হতো।

টেলিভিশন ও উপস্থাপনায় সাফল্য

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পূর্ণিমা ছোট পর্দায়ও সমান জনপ্রিয়। অসংখ্য টেলিফিল্ম ও নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন, যেখানে তাঁর প্রভাবশালী উপস্থিতি দর্শককে টিভির সামনে বেঁধে রাখে।

তাঁর উপস্থাপিত টকশোগুলোও ছিল ব্যতিক্রমী। এবং পূর্ণিমা অনুষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে দর্শকের প্রিয় ছিল। এছাড়া পূর্ণিমা আলো ও বড় মঞ্চের তারকারা অনুষ্ঠান তাঁকে জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন

পূর্ণিমার ব্যক্তিজীবন নাটকীয় উত্থান-পতনে ভরা।

  • ২০০৫ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেন ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়াকে। দুই বছরের মাথায় তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে।
  • এরপর ২০০৭ সালে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামালকে। তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় একমাত্র কন্যা আরশিয়া উমাইজা। তবে এই সম্পর্কও টেকেনি।
  • ২০২২ সালে পূর্ণিমা তৃতীয়বারের মতো আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন।

ব্যক্তিজীবনের নানা আঘাত সত্ত্বেও তিনি ক্যারিয়ার থামতে দেননি। দাম্পত্য ভাঙনের দুঃখ সামলে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করেছেন।

সাম্প্রতিক কাজ

দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পরও পূর্ণিমা এখনও চলচ্চিত্রে সক্রিয়। চিরঞ্জীব মুজিব (২০২১) তাঁর সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য কাজ। এখানে তিনি নতুন প্রজন্মের দর্শকের কাছেও আবার নিজের অভিনয় দক্ষতা তুলে ধরতে সক্ষম হন।

উত্তরাধিকার ও প্রভাব

পূর্ণিমা শুধু একজন নায়িকা নন; তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একটি যুগের প্রতীক। নব্বই দশকের শেষ থেকে শুরু করে আজ অবধি তিনি প্রমাণ করেছেন যে সৌন্দর্য নয়, প্রকৃত অভিনয়শৈলীই একজন শিল্পীকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ছবি—মনের মাঝে তুমিমেঘের পরে মেঘশুভাহৃদয়ের কথা এবং ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না—বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। এই চলচ্চিত্রগুলোতেই তাঁর শিল্পীসত্তার উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটেছে।

পূর্ণিমা একাধারে অভিনেত্রী, উপস্থাপক, মডেল এবং প্রেরণাদায়ী এক নারীর প্রতীক। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দর্শককে বিনোদিত করেছেন এবং এখনও করছেন। জীবনের নানা বাঁক, ব্যক্তিগত সংকট, সামাজিক বাধা—সবকিছুর মাঝেও তিনি অটল থেকেছেন। পূর্ণিমা আজ শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরকাল অম্লান থাকবেন।