১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিয়াসোনা দ্বীপ: ইতিহাস, অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য বাড়ছে নগর-দরিদ্র, খাবার নিশ্চিত করা সাধ্যের বাইরে রণক্ষেত্রে (পর্ব-৯৮) সিলেটে বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যস্ত: বিদ্যুৎ কেন্দ্র নষ্ট ও ভারী বর্ষন রহস্যময় ‘ডার্ক ডিএনএ’ আর নাচের মাকড়সার বৈচিত্র্যের গোপন রহস্য নতুন প্রজন্মের তারকা সোম্বর: ভক্তদের ভালোবাসায় ভর করে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী পাঠানোর সম্ভাবনা: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু গাজা শহরে আশ্রয়ের অভাবে মানুষ: বোমার ঝুঁকিতে সবাই প্যারামাউন্টের নতুন চিফ প্রোডাক্ট অফিসার মেটার শীর্ষ নির্বাহী ডেন গ্লাসগো এক রাতের সহিংসতার পর আলোচনার ভরসা সামরিক বাহিনী

ভারতীয় প্রবাসীরা দুবাই থেকে ফিরলে স্বর্ণ আনার নিয়ম ও শুল্ক হার

দুবাই থেকে স্বর্ণ আনা – শুল্ক কেন বাড়ে বা কমে

দুবাই থেকে ভারতে ফেরার সময় অনেক প্রবাসী স্বর্ণ নিয়ে আসেন। তবে শুল্ক কত দিতে হবে তা শুধু স্বর্ণের ওজন বা আকারের উপর নয়, বরং আপনি কতদিন বিদেশে ছিলেন তার উপরও নির্ভর করে। আপনার বিদেশে থাকার সময় যত বেশি হবে, কাস্টমস নিয়ম ততটাই ভিন্নভাবে প্রযোজ্য হবে — কখনও আপনার পক্ষে, আবার কখনও বিপক্ষে।

এক বছরের বেশি সময় বিদেশে থাকলে ছাড়

যদি আপনি এক বছরের বেশি সময় বিদেশে থাকেন, তবে কিছুটা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবেন। তবে এটি কেবলমাত্র গহনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কয়েন, বার বা বিস্কুটের ক্ষেত্রে নয়।

পুরুষদের জন্য: সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম, মূল্য ₹৫০,০০০ পর্যন্ত

নারীদের জন্য: সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম, মূল্য ₹১,০০,০০০ পর্যন্ত

এক বছরের কম সময় থাকলে নিয়ম কী

বিদেশে থাকার সময় এক বছরের কম হলে নিয়ম পরিবর্তিত হয়।

৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে থাকলে

শুল্ক হার কমে ১৩.৭৫% (Basic Customs Duty + Social Welfare Surcharge)।

সর্বোচ্চ ১ কেজি স্বর্ণ আনা যাবে এই হারে।

৬ মাসের কম থাকলে

শুল্ক বেড়ে প্রায় ৩৮.৫% হয়।

কোনো শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই, এমনকি গহনার ক্ষেত্রেও নয়।

ছাড়ের সীমার বেশি স্বর্ণ আনলে অতিরিক্ত শুল্ক

যদি আপনি এক বছরের বেশি বিদেশে থেকেও গহনার ছাড়ের সীমার বেশি স্বর্ণ আনেন, তবে অতিরিক্ত অংশে ধাপে ধাপে শুল্ক দিতে হবে।

পুরুষদের জন্য:

২০–৫০ গ্রাম: ৩%

৫০–১০০ গ্রাম: ৬%

১০০ গ্রামের বেশি: ১০%

নারীদের জন্য:

৪০–১০০ গ্রাম: ৩%

১০০–২০০ গ্রাম: ৬%

২০০ গ্রামের বেশি: ১০%

প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

ঘোষণা দিন: ছাড়ের সীমার বাইরে স্বর্ণ থাকলে সবসময় রেড চ্যানেলে ঘোষণা করুন।

অবৈধভাবে আনা বিপজ্জনক: গোপনে আনা স্বর্ণ জব্দ, জরিমানা বা ১৯৬২ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী শাস্তির মুখে পড়তে পারে।

রসিদ রাখুন: ওজন, বিশুদ্ধতা ও দাম উল্লেখ থাকা রসিদ রাখলে কাস্টমস প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করবে।

শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি: বৈদেশিক মুদ্রা বা কম চার্জযুক্ত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে খরচ বাঁচবে

কেবল গহনার জন্য ছাড়: বার, কয়েন বা বিস্কুটে শুল্ক প্রায় সব সময়ই প্রযোজ্য।

 

সময়ের ভিত্তিতে তিনটি ভিন্ন শ্রেণি

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৬ সালের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী ভ্রমণকারীদের তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে:

৬ মাসের কম: কোনো সুবিধা নেই, শুল্ক বেশি।

১২ মাস: সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত স্বর্ণে কম শুল্ক।

১ বছরের বেশি: পুরুষ ও নারীদের জন্য গহনার ক্ষেত্রে আলাদা শুল্কমুক্ত সীমা।

ইউএই প্রবাসীদের জন্য সারসংক্ষেপ                        

দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার আগে নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিন।

যত বেশি সময় বিদেশে থাকবেন, তত বেশি শুল্ক ছাড় পেতে পারেন।

অতিরিক্ত স্বর্ণ বা ভুল কাগজপত্র থাকলে শুল্ক ও জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

পরিকল্পিতভাবে স্বর্ণ আনুন, রসিদ রাখুন এবং সবকিছু ঘোষণা করুন — তবেই কাস্টমস জটিলতা থেকে মুক্ত থাকবেন।

দিয়াসোনা দ্বীপ: ইতিহাস, অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য

ভারতীয় প্রবাসীরা দুবাই থেকে ফিরলে স্বর্ণ আনার নিয়ম ও শুল্ক হার

০৫:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুবাই থেকে স্বর্ণ আনা – শুল্ক কেন বাড়ে বা কমে

দুবাই থেকে ভারতে ফেরার সময় অনেক প্রবাসী স্বর্ণ নিয়ে আসেন। তবে শুল্ক কত দিতে হবে তা শুধু স্বর্ণের ওজন বা আকারের উপর নয়, বরং আপনি কতদিন বিদেশে ছিলেন তার উপরও নির্ভর করে। আপনার বিদেশে থাকার সময় যত বেশি হবে, কাস্টমস নিয়ম ততটাই ভিন্নভাবে প্রযোজ্য হবে — কখনও আপনার পক্ষে, আবার কখনও বিপক্ষে।

এক বছরের বেশি সময় বিদেশে থাকলে ছাড়

যদি আপনি এক বছরের বেশি সময় বিদেশে থাকেন, তবে কিছুটা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবেন। তবে এটি কেবলমাত্র গহনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কয়েন, বার বা বিস্কুটের ক্ষেত্রে নয়।

পুরুষদের জন্য: সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম, মূল্য ₹৫০,০০০ পর্যন্ত

নারীদের জন্য: সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম, মূল্য ₹১,০০,০০০ পর্যন্ত

এক বছরের কম সময় থাকলে নিয়ম কী

বিদেশে থাকার সময় এক বছরের কম হলে নিয়ম পরিবর্তিত হয়।

৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে থাকলে

শুল্ক হার কমে ১৩.৭৫% (Basic Customs Duty + Social Welfare Surcharge)।

সর্বোচ্চ ১ কেজি স্বর্ণ আনা যাবে এই হারে।

৬ মাসের কম থাকলে

শুল্ক বেড়ে প্রায় ৩৮.৫% হয়।

কোনো শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই, এমনকি গহনার ক্ষেত্রেও নয়।

ছাড়ের সীমার বেশি স্বর্ণ আনলে অতিরিক্ত শুল্ক

যদি আপনি এক বছরের বেশি বিদেশে থেকেও গহনার ছাড়ের সীমার বেশি স্বর্ণ আনেন, তবে অতিরিক্ত অংশে ধাপে ধাপে শুল্ক দিতে হবে।

পুরুষদের জন্য:

২০–৫০ গ্রাম: ৩%

৫০–১০০ গ্রাম: ৬%

১০০ গ্রামের বেশি: ১০%

নারীদের জন্য:

৪০–১০০ গ্রাম: ৩%

১০০–২০০ গ্রাম: ৬%

২০০ গ্রামের বেশি: ১০%

প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

ঘোষণা দিন: ছাড়ের সীমার বাইরে স্বর্ণ থাকলে সবসময় রেড চ্যানেলে ঘোষণা করুন।

অবৈধভাবে আনা বিপজ্জনক: গোপনে আনা স্বর্ণ জব্দ, জরিমানা বা ১৯৬২ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী শাস্তির মুখে পড়তে পারে।

রসিদ রাখুন: ওজন, বিশুদ্ধতা ও দাম উল্লেখ থাকা রসিদ রাখলে কাস্টমস প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করবে।

শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি: বৈদেশিক মুদ্রা বা কম চার্জযুক্ত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে খরচ বাঁচবে

কেবল গহনার জন্য ছাড়: বার, কয়েন বা বিস্কুটে শুল্ক প্রায় সব সময়ই প্রযোজ্য।

 

সময়ের ভিত্তিতে তিনটি ভিন্ন শ্রেণি

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৬ সালের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী ভ্রমণকারীদের তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে:

৬ মাসের কম: কোনো সুবিধা নেই, শুল্ক বেশি।

১২ মাস: সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত স্বর্ণে কম শুল্ক।

১ বছরের বেশি: পুরুষ ও নারীদের জন্য গহনার ক্ষেত্রে আলাদা শুল্কমুক্ত সীমা।

ইউএই প্রবাসীদের জন্য সারসংক্ষেপ                        

দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার আগে নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিন।

যত বেশি সময় বিদেশে থাকবেন, তত বেশি শুল্ক ছাড় পেতে পারেন।

অতিরিক্ত স্বর্ণ বা ভুল কাগজপত্র থাকলে শুল্ক ও জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

পরিকল্পিতভাবে স্বর্ণ আনুন, রসিদ রাখুন এবং সবকিছু ঘোষণা করুন — তবেই কাস্টমস জটিলতা থেকে মুক্ত থাকবেন।