বিলাসবহুল বাজারে নতুন রেকর্ড
হ্যাম্পটনের বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট বাজার যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে, ঠিক তখনই ভিডিওগেম উদ্যোক্তা ম্যাথিউ কার্চ ইস্ট হ্যাম্পটনে প্রায় ১৯৭০ দশকের একটি সমুদ্র-সংলগ্ন বাড়ি কিনেছেন ৩১.৫ মিলিয়ন ডলারে।
ক্রেতার পরিচয় ও পরিকল্পনা
কার্চ ফ্লোরিডাভিত্তিক ভিডিওগেম কোম্পানি সেবার ইন্টারঅ্যাকটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জানান, মূলত সমুদ্রের ধারে অবস্থানই তাঁকে এই বাড়ি কিনতে আকৃষ্ট করেছে। তাঁর পরিকল্পনা হলো এখানে নতুন করে একটি বাড়ি নির্মাণ করা, যা দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন। কার্চ বলেন, “বাড়িটি প্রায় সমুদ্রের গায়ে বসানো। সম্পত্তিটি এত অসাধারণ যে আমি কিনে ফেললাম, পরে কীভাবে ব্যবহার করব সেটা ভেবে নেব।”

বিক্রেতা ও বাজার মূল্য
সম্পত্তির বিক্রেতা হলেন নরম্যান ও হেলিন স্টার্ক-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান। রেকর্ড অনুযায়ী তারা ১৯৯৪ সালে মাত্র ৪.৭ মিলিয়ন ডলারে এটি কিনেছিলেন। তবে এ বিষয়ে তাঁদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জিলোর তথ্য অনুযায়ী, এই এস্টেট প্রথম বাজারে আসে ২০১৭ সালে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে। এরপর বহু বছর ধরেই বাজারে ওঠা-নামা করেছে। সর্বশেষ এর দাম ধরা হয়েছিল ৩৯ মিলিয়ন ডলার। সম্পত্তিতে রয়েছে প্রায় ৭,০০০ বর্গফুটের একটি প্রধান বাড়ি, পাঁচটি শয়নকক্ষ, একটি অতিথিশালা, টেনিস কোর্ট এবং স্লাইড-যুক্ত সুইমিং পুল।
মহামারি পরবর্তী বাজার প্রবণতা
মহামারির সময় হ্যাম্পটনের বাজারে যেমন প্রবল উত্থান দেখা গিয়েছিল, তেমনই ২০২৩ সালের শুরুর দিকে বিক্রি নেমে আসে ১৪ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এর কারণ ছিল সীমিত সরবরাহ ও ঋণের উচ্চ সুদহার। তবে ডগলাস এলিম্যানের বাজার প্রতিবেদক জোনাথন মিলারের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিক থেকে বিক্রির হার আবার বাড়তে শুরু করে এবং ধারাবাহিকভাবে তা বাড়ছে।

এ বছর গ্রীষ্মকালে বাজার মহামারির পর থেকে সবচেয়ে সক্রিয় সময় কাটিয়েছে। ডগলাস এলিম্যানের এজেন্ট জাস্টিন অ্যাগনেলো জানান, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১০ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি মূল্যে ২৬টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ২২ এবং ২০২৩ সালে মাত্র ৬।
ক্রেতার অন্য সম্পত্তি
কার্চ বর্তমানে নিকটবর্তী সাগ হারবার এলাকায় আরও দুটি সম্পত্তির মালিক, যেগুলো তিনি অবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহার করেন। তবে তিনি জানান, এর একটি বিক্রি করার কথা ভাবছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















