হত্যাকাণ্ড ও অভিযোগ
পাকিস্তানে ১৭ বছর বয়সী টিকটক তারকা সানা ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় একজন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জুন মাসে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে কিছু মানুষ ভুক্তভোগীকেই দায়ী করার প্রবণতা দেখান, যা নারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বড় বিতর্কের জন্ম দেয়।
অভিযুক্ত যুবক উমর হায়াতের বয়স ২২ বছর। হত্যার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সে শুরুতে হত্যার কথা স্বীকার করলেও পরে ইসলামাবাদের জেলা আদালতে নির্দোষ দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।”
ঘটনার বিস্তারিত
পুলিশ জানায়, হায়াত বারবার সানার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিল এবং প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ইসলামাবাদের বাসায় ঢুকে সানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুই রাউন্ড গুলি চালানোর পর সে তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
উমর হায়াত একজন সাবেক সরকারি কর্মচারীর ছেলে এবং নিজেও টিকটকে সক্রিয় ছিল। হত্যাকাণ্ডের অল্প কিছু সময় পরই পুলিশ তাকে আটক করে।
সানা ইউসুফের জনপ্রিয়তা
সানা ইউসুফের সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক অনুসারী ছিল। মৃত্যুর আগে ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী ছিল প্রায় পাঁচ লাখ। মৃত্যুর পর রাতারাতি টিকটক অ্যাকাউন্টে লাখো নতুন অনুসারী যুক্ত হয়, বর্তমানে তা দুই মিলিয়নের বেশি।
তার ভক্তরা অনলাইনে শোকবার্তা জানান। সানা নিয়মিত প্রিয় ক্যাফে, ত্বকের যত্নের পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক নিয়ে ভিডিও শেয়ার করতেন। ইনস্টাগ্রামে তার শেষ ভিডিওতে দেখা যায়, জন্মদিনে বেলুনের মাঝে কেক কেটে আনন্দ করছেন।
টিকটক ও নারীর অংশগ্রহণ
পাকিস্তানে টিকটক অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষত অনেক নারী এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকশ্রেণী ও আয়ের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেশটিতে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো এক-চতুর্থাংশেরও কম।