টরটিলার সাফল্য থেকে নতুন পরিকল্পনা
শেফ ফিদেল কাবালেরো ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়া অস্টোস ২০২৪ সালের শুরুতে ম্যানহাটনের চায়না টাউনের কাছে কোরিমা নামের একটি মেক্সিকান রেস্তোরাঁ চালু করেছিলেন। মিশেলিন তারকাপ্রাপ্ত এই রেস্তোরাঁর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে ওঠে তাঁদের সাওয়ারডো-ফ্লাওর টরটিলা। কাবালেরো বলেন, “আমরা সবসময় দ্বিতীয় দোকান খোলার কথা ভেবেছিলাম। খুব দ্রুত বুঝতে পারলাম, আমাদের টরটিলা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।”
প্রথমে তাঁদের পরিকল্পনা ছিল ব্রুকলিনে ভাতো নামে একটি সাধারণ কফি শপ খোলা, যেখানে কোরিমার কিছু বেকড পণ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিকল্পনা পাল্টে যায়, বাড়তে থাকে তাঁদের উচ্চাশা।
ভাতোতে খাবার ও পানীয়র বৈচিত্র্য
কোরিমার পেস্ট্রি শেফ এরিক রোচা ভাতোর জন্য তৈরি করবেন বিভিন্ন আইটেম। থাকবে মেক্সিকোর বিখ্যাত মিষ্টি মারানিতো দ্বারা অনুপ্রাণিত টার্ট, ইউজু ক্রিম দিয়ে বানানো কনচাস, আর জিয়ানদুজা ও ফেয়ুতিন ভরা কুঁকড়ানো চকলেট-চিপ কুকি।
কফি আসবে ওয়াহাকার সিঙ্গল-অরিজিন বিন থেকে। দুপুরের মেনুতে থাকবে গুয়ারালাহারার নোনতা সাওয়ারডো রুটি ‘বিরোতে’তে পরিবেশিত গরুর জিহ্বার বারবাকোয়া টরটা। সন্ধ্যায় যখন স্থানটি ওয়াইন বারে রূপ নেবে, তখন ওয়াইনের তালিকা সাজাবেন কোরিমার সোমেলিয়ে মারিয়ানো গারায়।
এই সব কিছুর মধ্যেই টরটিলা থাকবে কেন্দ্রবিন্দুতে। কাবালেরো কল্পনা করেন নিউইয়র্ক একদিন টরটিলাকে ঠিক ফরাসি বুলে বা ব্যাটার্ড রুটির মতো সম্মানের জায়গায় রাখবে।
প্রাতঃরাশে নতুন ধাঁচের বুরিটো
কাবালেরো সবচেয়ে বেশি উৎসাহী তাঁর প্রাতঃরাশের বুরিটো নিয়ে। এগুলো ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রচলিত বুরিটোর চেয়ে ছোট ও পাতলা হবে এবং পুরো শস্য দিয়ে তৈরি হবে। ভেতরে থাকবে বিন ও চিজ, পোড়া মাংসের টুকরোসহ ডিম, আর জুয়ারেজ থেকে আনা স্যুপের মতো শূকরের মাংস। কাবালেরো বলেন, “আমরা একটি বিশাল কনভেয়ার-বেল্ট মেশিন এনেছি টরটিলা বানানোর জন্য — প্রতি ঘণ্টায় ১,০০০ টরটিলা।”
দোকানের পরিবেশ ও নামের গল্প
পার্ক স্লোপে ২২৬ সেভেন্থ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ভাতো দোকানটি এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গাঢ় সবুজ সামনের অংশকে কংক্রিট ক্রিম ফিনিশে সাজানো হয়েছে। কাঠের প্যানেল করা উষ্ণ করিডর দিয়ে প্রবেশ করলে মূল ডাইনিং রুমে চোখে পড়বে ওপেন কিচেন।
দোকানের ছবি তুলেছেন কাবালেরোর শৈশবের বন্ধু ও ভাতোর অংশীদার পাকো আলোনসো। পরিবার ও বন্ধুত্বের বন্ধন সব জায়গাতেই আছে। কাবালেরো জানান, ক্যাফের নামের অর্থই হচ্ছে “হোমিজ” বা আপনজন।