০৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরায় গলা কাটা মরদেহ: অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে কিশোরকে হত্যা অ্যাফ্রিকান গোল্ডেন ক্যাট: একটি বিরল প্রজাতির সুরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ঠান্ডা হাত? এটি হতে পারে রেনো’স রোগ সাইনাস যন্ত্রণা কেন বাড়ে—কারণ, লক্ষণ ও সমাধান মুম্বইয়ের উচ্চ সতর্কতা: দিল্লি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তিনজন আটক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদনকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শারজাহর হোলি কুরআন একাডেমি ও আইসেসকোর সহযোগিতা জোরদারের আলোচনা আকাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উদ্দেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা ফারাবীসহ রাবির ৩ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে পিটুনি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে এসসিবি ক্রেডিট কার্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু

ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি নিয়ে জরুরি তদন্ত

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগের পর বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ব্যাংক খাতের সূত্র অনুযায়ী, একটি প্রতারক চক্র গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

প্রতারণার কৌশল ও ক্ষয়ক্ষতি

গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রায় ৫৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রাহকের অজান্তে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দ্রুত টাকা তুলে ফেলা হয় এবং অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এসসিবি সাময়িকভাবে তাদের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্ল্যাটফর্মে টাকা স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।

গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা

প্রতারিত অনেক গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। হাসিন হায়দার নামে এক গ্রাহক লিখেছেন, তার কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, অথচ তিনি কোনো তথ্য কাউকে দেননি। কয়েক সেকেন্ডেই টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি বলে তিনি মনে করেন। আরেক গ্রাহক সাদিয়া শারমিন বৃষ্টি জানান, সাত বছর ধরে তিনি কার্ড ব্যবহার করছেন, কিন্তু এবারই প্রথম তিনি প্রতারণার শিকার হয়ে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন।

ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ

ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বার্তায় জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে এমএফএস অ্যাপে “অ্যাড মানি” অপশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

এসসিবির অবস্থান

বহু অভিযোগ পাওয়ার পর এসসিবির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি দল নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে। ব্যাংক জানায়, তাদের সিস্টেমে কোনো নিরাপত্তা দুর্বলতা পাওয়া যায়নি। বরং যেহেতু টাকা স্থানান্তর এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়েছে, সেক্ষেত্রে দায় পরিষ্কার করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বর্তায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে স্পষ্ট হবে, অভিজ্ঞ এই প্রতারক চক্র কীভাবে দ্রুত গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে এসসিবি ক্রেডিট কার্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু

০৬:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি নিয়ে জরুরি তদন্ত

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগের পর বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ব্যাংক খাতের সূত্র অনুযায়ী, একটি প্রতারক চক্র গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

প্রতারণার কৌশল ও ক্ষয়ক্ষতি

গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রায় ৫৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রাহকের অজান্তে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দ্রুত টাকা তুলে ফেলা হয় এবং অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এসসিবি সাময়িকভাবে তাদের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্ল্যাটফর্মে টাকা স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।

গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা

প্রতারিত অনেক গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। হাসিন হায়দার নামে এক গ্রাহক লিখেছেন, তার কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, অথচ তিনি কোনো তথ্য কাউকে দেননি। কয়েক সেকেন্ডেই টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি বলে তিনি মনে করেন। আরেক গ্রাহক সাদিয়া শারমিন বৃষ্টি জানান, সাত বছর ধরে তিনি কার্ড ব্যবহার করছেন, কিন্তু এবারই প্রথম তিনি প্রতারণার শিকার হয়ে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন।

ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ

ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বার্তায় জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে এমএফএস অ্যাপে “অ্যাড মানি” অপশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

এসসিবির অবস্থান

বহু অভিযোগ পাওয়ার পর এসসিবির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি দল নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে। ব্যাংক জানায়, তাদের সিস্টেমে কোনো নিরাপত্তা দুর্বলতা পাওয়া যায়নি। বরং যেহেতু টাকা স্থানান্তর এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়েছে, সেক্ষেত্রে দায় পরিষ্কার করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বর্তায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে স্পষ্ট হবে, অভিজ্ঞ এই প্রতারক চক্র কীভাবে দ্রুত গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।