০২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
রুজভেল্ট হোটেল ভাঙার বিকল্পে পাকিস্তান: নতুন আকাশচুম্বী ভবনের চিন্তা চীনের ম্যানিলায় অবস্থিত দূতাবাসের তথ্যযুদ্ধ: ফিলিপাইনে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রচারণা যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন ঘনিষ্ঠতা: ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন গাজা যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, হোস্টেজদের মুক্তি সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার: মার্কো রুবিও তিব্বতে তুষার ঝড়ে আটকা শতাধিক পর্বতারোহী উদ্ধার ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য: ‘ভারতের সীমারেখা সম্মান করতে হবে’ ভারতে কাশির সিরাপে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে: চিকিৎসক গ্রেপ্তার, তামিলনাড়ুর ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনে পাঁচজন নিহত, এনার্জি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত OPEC+ তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা: সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা বাড়ছে রাশিয়ান নারী ভারতের ‘আউটডেটেড স্টেরিওটাইপ’ ভেঙে দিলেন: ‘দেশটির বিভিন্ন দিক রয়েছে’

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কচাপে বিপর্যস্ত তৈরি পোশাক রফতানি সেপ্টেম্বরে রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ, আশঙ্কা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি আবারও বড় ধাক্কায় পড়েছে। সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এ প্রভাব যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও শিল্প খাতের স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।


রফতানিতে নতুন ধাক্কা

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানিতে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতা কমে গেছে।
দেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ফলে এ খাতের মন্দা গোটা অর্থনীতিতেই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় ক্রেতা দেশের নীতিগত পরিবর্তন শিল্পে নতুন সংকট তৈরি করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি: রফতানিকারকদের বাড়তি চাপ

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের আমদানি শুল্কনীতিতে পরিবর্তন এনে কিছু দেশের ক্ষেত্রে ‘পারস্পরিক শুল্কহার’ বা রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেছে। এতে পোশাক আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এই অতিরিক্ত ব্যয় এখন অনেক ক্রেতা সরবরাহকারী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “আমাদের উদ্যোক্তারা আগে থেকেই উৎপাদন ব্যয়, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট এবং মজুরি বৃদ্ধির চাপে আছেন। এখন ক্রেতাদের বাড়তি দাবি এই খাতের জন্য অসহনীয় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”


অর্ডার স্থবিরতা: ক্রেতাদের অনিশ্চয়তা

শিল্প উদ্যোক্তাদের মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক ক্রেতাও নতুন অর্ডারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কেউ কেউ পুরনো অর্ডার পিছিয়ে দিচ্ছেন যাতে বাড়তি খরচের চাপ কমানো যায়।
একজন রফতানিকারক বলেন, “চাহিদা এখনো আছে, কিন্তু ভবিষ্যতের দাম ও নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে ক্রেতারা অনিশ্চিত। তাই তারা অপেক্ষা করছে।”
এর ফলে অনেক কারখানা এখন অর্ধেক সক্ষমতায় কাজ করছে, নতুন উৎপাদন পরিকল্পনাও স্থগিত রাখা হয়েছে।


বিশ্ববাজারে কঠিন প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারেও কঠিন হয়ে উঠছে। চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম দ্রুত বাজার পুনর্গঠন করছে।
চীনের পোশাক কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতির ভার সামলে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি বাড়াচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, “লো-কস্ট প্রোডাকশন মডেলের সময় এখন শেষ। বাংলাদেশকে উচ্চমূল্যের পণ্য, নতুন ডিজাইন এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে যেতে হবে—নয়তো বাজার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।”


উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় টিকে থাকা কঠিন

বিদ্যুৎ, গ্যাস, কাঁচামাল ও পরিবহন খরচ বাড়ায় পোশাক কারখানাগুলোর ব্যয় বেড়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে গিয়ে শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তায়ও প্রভাব পড়ছে।
একজন মালিক বলেন, “রফতানির দাম কমছে, কিন্তু ব্যয় প্রতিদিন বাড়ছে। লাভ নয়, টিকে থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের জরুরি পদক্ষেপ দরকার—বিশেষ করে শুল্ক কাঠামো ও ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে আনতে।


সামনে অনিশ্চয়তা

বিকেএমইএ নেতারা মনে করছেন, এ ধীরগতি অন্তত আরও দুই থেকে তিন মাস থাকতে পারে। তবে তারা আশাবাদী, ক্রেতারা যখন নতুন শুল্কনীতির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, তখন আবার রফতানি বাড়বে।
তাদের পরামর্শ, এখন রফতানিকারকদের ধৈর্য ধরে ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা, নতুন বাজার খোঁজা এবং উৎপাদনে দক্ষতা বাড়ানো দরকার।


অর্থনীতিতে প্রভাব

রফতানি আয় কমে গেলে তা সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ প্রবাহে প্রভাব ফেলে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার চাইলে তৈরি পোশাক খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা বা কর-ছাড় বিবেচনা করতে পারে। এতে অন্তত সাময়িক স্বস্তি মিলবে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি পোশাক শিল্পে কাজ করেন। তাই এই খাতের সংকট মানে লাখো পরিবারের আয়-নির্ভরতার সংকট।


আশার আলো

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প অতীতেও নানা সঙ্কট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তারা মনে করেন, উৎপাদন প্রযুক্তি উন্নয়ন, ডিজাইন উদ্ভাবন ও নতুন বাজার অনুসন্ধান যদি ধারাবাহিকভাবে করা যায়, তাহলে এই মন্দা সাময়িকই থাকবে।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি-ও শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ ও নতুন বাজার সম্প্রসারণে ক্রেতা দেশের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে।


বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন এক কঠিন সময় পার করছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ ব্যয় ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে।
তবু উদ্যোক্তারা বিশ্বাস রাখছেন, দক্ষতা, স্থিতি ও নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।


#তৈরি_পোশাক #রফতানি_সংকট #বাংলাদেশ_অর্থনীতি #বিকেএমইএ #ইপিবি #শুল্ক_নীতি #অর্থনৈতিক_চ্যালেঞ্জ #RMG #Export

জনপ্রিয় সংবাদ

রুজভেল্ট হোটেল ভাঙার বিকল্পে পাকিস্তান: নতুন আকাশচুম্বী ভবনের চিন্তা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কচাপে বিপর্যস্ত তৈরি পোশাক রফতানি সেপ্টেম্বরে রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ, আশঙ্কা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের

১১:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি আবারও বড় ধাক্কায় পড়েছে। সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এ প্রভাব যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও শিল্প খাতের স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।


রফতানিতে নতুন ধাক্কা

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানিতে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতা কমে গেছে।
দেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ফলে এ খাতের মন্দা গোটা অর্থনীতিতেই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় ক্রেতা দেশের নীতিগত পরিবর্তন শিল্পে নতুন সংকট তৈরি করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি: রফতানিকারকদের বাড়তি চাপ

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের আমদানি শুল্কনীতিতে পরিবর্তন এনে কিছু দেশের ক্ষেত্রে ‘পারস্পরিক শুল্কহার’ বা রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেছে। এতে পোশাক আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এই অতিরিক্ত ব্যয় এখন অনেক ক্রেতা সরবরাহকারী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “আমাদের উদ্যোক্তারা আগে থেকেই উৎপাদন ব্যয়, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট এবং মজুরি বৃদ্ধির চাপে আছেন। এখন ক্রেতাদের বাড়তি দাবি এই খাতের জন্য অসহনীয় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”


অর্ডার স্থবিরতা: ক্রেতাদের অনিশ্চয়তা

শিল্প উদ্যোক্তাদের মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক ক্রেতাও নতুন অর্ডারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কেউ কেউ পুরনো অর্ডার পিছিয়ে দিচ্ছেন যাতে বাড়তি খরচের চাপ কমানো যায়।
একজন রফতানিকারক বলেন, “চাহিদা এখনো আছে, কিন্তু ভবিষ্যতের দাম ও নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে ক্রেতারা অনিশ্চিত। তাই তারা অপেক্ষা করছে।”
এর ফলে অনেক কারখানা এখন অর্ধেক সক্ষমতায় কাজ করছে, নতুন উৎপাদন পরিকল্পনাও স্থগিত রাখা হয়েছে।


বিশ্ববাজারে কঠিন প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারেও কঠিন হয়ে উঠছে। চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম দ্রুত বাজার পুনর্গঠন করছে।
চীনের পোশাক কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতির ভার সামলে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি বাড়াচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, “লো-কস্ট প্রোডাকশন মডেলের সময় এখন শেষ। বাংলাদেশকে উচ্চমূল্যের পণ্য, নতুন ডিজাইন এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে যেতে হবে—নয়তো বাজার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।”


উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় টিকে থাকা কঠিন

বিদ্যুৎ, গ্যাস, কাঁচামাল ও পরিবহন খরচ বাড়ায় পোশাক কারখানাগুলোর ব্যয় বেড়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে গিয়ে শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তায়ও প্রভাব পড়ছে।
একজন মালিক বলেন, “রফতানির দাম কমছে, কিন্তু ব্যয় প্রতিদিন বাড়ছে। লাভ নয়, টিকে থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের জরুরি পদক্ষেপ দরকার—বিশেষ করে শুল্ক কাঠামো ও ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে আনতে।


সামনে অনিশ্চয়তা

বিকেএমইএ নেতারা মনে করছেন, এ ধীরগতি অন্তত আরও দুই থেকে তিন মাস থাকতে পারে। তবে তারা আশাবাদী, ক্রেতারা যখন নতুন শুল্কনীতির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, তখন আবার রফতানি বাড়বে।
তাদের পরামর্শ, এখন রফতানিকারকদের ধৈর্য ধরে ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা, নতুন বাজার খোঁজা এবং উৎপাদনে দক্ষতা বাড়ানো দরকার।


অর্থনীতিতে প্রভাব

রফতানি আয় কমে গেলে তা সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ প্রবাহে প্রভাব ফেলে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার চাইলে তৈরি পোশাক খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা বা কর-ছাড় বিবেচনা করতে পারে। এতে অন্তত সাময়িক স্বস্তি মিলবে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি পোশাক শিল্পে কাজ করেন। তাই এই খাতের সংকট মানে লাখো পরিবারের আয়-নির্ভরতার সংকট।


আশার আলো

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প অতীতেও নানা সঙ্কট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তারা মনে করেন, উৎপাদন প্রযুক্তি উন্নয়ন, ডিজাইন উদ্ভাবন ও নতুন বাজার অনুসন্ধান যদি ধারাবাহিকভাবে করা যায়, তাহলে এই মন্দা সাময়িকই থাকবে।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি-ও শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ ও নতুন বাজার সম্প্রসারণে ক্রেতা দেশের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে।


বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন এক কঠিন সময় পার করছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ ব্যয় ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে।
তবু উদ্যোক্তারা বিশ্বাস রাখছেন, দক্ষতা, স্থিতি ও নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।


#তৈরি_পোশাক #রফতানি_সংকট #বাংলাদেশ_অর্থনীতি #বিকেএমইএ #ইপিবি #শুল্ক_নীতি #অর্থনৈতিক_চ্যালেঞ্জ #RMG #Export