সমকালের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, তার সঙ্গে কাজ করবে ভারত: বিক্রম মিশ্রি”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে জনগণের ভোটে যে রাজনৈতিক দলই সরকারে আসুক না কেন, তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত। গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি বাংলার।
আলোচনায় বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হোক– এটাই ভারতের প্রত্যাশা। এ সময় তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সম্পর্ক ঠিক রাখতে উভয় পক্ষেরই প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা উচিত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার যে বার্তা দিয়েছে, আমরা তাতে উৎসাহিত এবং প্রতীক্ষায় আছি– নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগকে ভোটে বাদ দিয়ে নির্বাচিত সরকার এলে তাদের সঙ্গে ভারত কাজ করবে কিনা– সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে সরকারই আসুক, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এর প্রভাব নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘এটা বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় প্রয়োজন। আমরা এসব বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আর কিছু বলা গঠনমূলক হবে বলে মনে করছি না।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও ভারত ঢাকার সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন বিক্রম মিশ্রি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ঢাকার বাতাসে দূষণ কিছুটা বাড়লেও আছে সহনীয় পর্যায়ে, সবচেয়ে বেশি দিল্লিতে”
ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা কদিন ধরে বেশ কম রয়েছে। আজ মঙ্গলবার গত কয়েক দিনের তুলনায় দূষণ কিছুটা বাড়লেও দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৯৭, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের তালিকায় আজ ১২তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ১৫৪। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, বাহরাইনের মানামা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর কিনশাসা ও কুয়েতের কুয়েত সিটি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫৪, ১৫৩, ১৫২ ও ১৪৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে গণভোট একই সঙ্গে হতে পারে”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে গণভোট একই সঙ্গে হলে সময় সাশ্রয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হবে না।’
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক যুব ঐক্য আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দায়িত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুটি ব্যালট দিলে জাতি বিভ্রান্ত হবে এমন কথা বলা হচ্ছে। অথচ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনটি ব্যালটে নির্বাচন হয়। সুতরাং জনগণ দুটি ব্যালটে সংসদ ও গণভোটে অংশ নিতে প্রস্তুত। শুধু নির্বাচন কমিশনকে প্রচারণা চালাতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। আবার গণভোটের জন্য যেন একই আয়োজন করতে না হয়। এতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার যেকোনো প্রয়াস এড়ানো যাবে। বিষয়টি নিয়ে যারা জটিলতা তৈরি করতে চান তাদের সুবুদ্ধি উদয় হোক।’
তিনি বলেন, ‘সুবহে সাদিকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর মিছিলের ছবি অথবা দিল্লি বা ফ্রান্স থেকে পাঠানো বার্তা জনগণ পাত্তা দেয় না। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখলে নির্বাচন নিয়ে কোনো সংকট থাকবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাইলে ফ্যাসিস্টদের বিচার ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।’
মানবজমিনের একটি শিরোন “নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী”
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়া বিরোধীদলীয় নেতা তারেক রহমান বলেছেন, তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। গত বছর সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর তার দল নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও আশা করছেন তিনি। তারেক রহমান মনে করেন, হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাত্র-জনতার বিপ্লব সম্পূর্ণ করতে স্বচ্ছ ও অবাধ ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, নড়বড়ে অর্থনীতি মোকাবিলা করতে হবে পরবর্তী সরকারকে। এ ছাড়া মার্কিন শুল্কের প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বেশ নাজুক অবস্থা আছে। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ফলে এ অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বিএনপি জয় পেলে তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপও অবশ্য একই কথা বলছে। একাধিক জরিপের ফলাফল বলছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমানে হাসিনার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সমর্থন করেছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি অন্যান্য দল, বিশেষ করে ছাত্র নেতৃত্বাধীন নতুন দলের সঙ্গে সরকার গঠন করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে রাজনীতিতে স্বাগত জানাবো। কেননা, তরুণদের ভবিষ্যৎ আছে।
১৭ কোটি জনগণের দেশটির জন্য নতুন অর্থনৈতিক কর্মসূচি তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি মনে করেন পোশাক খাতের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে অ্যামাজন, ইবে এবং আলিবাবার মতো অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফরমগুলোর জন্য ‘সরবরাহ কেন্দ্র’ হিসেবে কাজ করতে হবে। ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’- নীতি অনুসরণ করার কথা জানিয়েছেন বিএনপি’র এই নেতা। এ ছাড়া হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ‘একতরফা’ বলেও সমালোচনা করেন তিনি। তারেক রহমান বলেছেন, তিনি দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান। লন্ডনের এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দুর্নীতির মামলায় সাজা এড়াতে ২০০৮ সালে দেশ ছাড়েন ৫৯ বছর বয়সী বিএনপি’র এই নেতা। তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সরকার প্রতিশোধের চক্র থেকে বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারেক রহমান জানিয়েছেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে অন্তত সাত হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তার দল। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি দলটির নেতাকর্মীরা অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তারেক রহমান বলেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন তাহলে তিনি ইউনূস প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। হাসিনার আমলে লুট হওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















