বন্দর চার্জের বাস্তব প্রভাব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ১৪ অক্টোবর পারস্পরিক বন্দর-সংক্রান্ত নতুন ফি ঘোষণা করেছে। শিপিং লাইনগুলো বলছে, অতিরিক্ত চার্জ ও সম্ভাব্য বিলম্ব দ্রুতই পূর্ণ রুটজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উৎসব মৌসুমে জাহাজ সূচি আগে থেকেই টানটান; কন্টেইনারের ঘাটতি ও টার্মিনালে ভিড় পরিস্থিতি নাজুক করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস–লং বিচ, সাংহাই বা শেনচেনের ইয়ান্তিয়ানের মতো গেটওয়েতে সামান্য বাধাও ডেমারেজ-ডিটেনশন বাড়াতে পারে। অনিশ্চয়তা বেড়ে গেলে বীমা প্রিমিয়াম ও বিকল্প রুটের প্রবণতাও বাড়ে—বিশেষ করে “জাস্ট-ইন-টাইম” সরবরাহে।
অর্থনীতির বিস্তৃত ঝুঁকি
বন্দর ফি প্রযুক্তিগত সিদ্ধান্তের মতো শোনালেও বাস্তবে এটি “লুকানো শুল্ক” হয়ে দাঁড়ায়। ক্যারিয়াররা সাধারণত সারচার্জের মাধ্যমে ব্যয় ক্রেতাদের ওপর চাপায়, ফলে আমদানিকারকের ‘ল্যান্ডেড কস্ট’ বাড়ে। বিশ্লেষকদের মতে, মজুদের স্তর এখন তুলনামূলক কম; চাহিদা অসম। সময়সূচি পিছোলেই উচ্চমূল্যের পণ্যে ব্যয়বহুল এয়ারফ্রেইটের প্রয়োজন হতে পারে। খাতে পরামর্শ: বিকল্প গেটওয়ে ব্যবহার (মার্কিন উপকূলে গালফ/ইস্ট কোস্ট; চীনে নিংবো বা শিয়ামেন), ক্যারিয়ারের সঙ্গে অগ্রিম বরাদ্দ নিশ্চিত করা, এবং বন্দর টার্নঅ্যারাউন্ড দৈনিক নজরে রাখা। নীতিনির্ধারকেরা পদক্ষেপকে ‘পারস্পরিকতা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও ব্যবসায়ীরা আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে মহামারী-পর্যায়ের জট আবার না ফিরে আসে।