উৎসব, শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তি
১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইন্ডিজেনাস পিপলস ডে পালিত হয়েছে সূর্যোদয় অনুষ্ঠান, নাচ-গান, বাজার ও শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। আয়োজকেরা বলছেন, উদযাপনের পাশাপাশি জনশিক্ষাই লক্ষ্য—কঠিন রাজনৈতিক বছরের পর এটি গুরুত্বপূর্ণ। সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলে পাওও ও পারফরম্যান্সে ভাষা পুনরুজ্জীবন, তরুণ নেতৃত্ব ও সম্প্রদায়িক গর্ব সামনে এসেছে। মধ্যপশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে জাদুঘর ও উপজাতিগুলো চুক্তি-অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ‘টিচ-ইন’ করেছে। অনেক জায়গায় অন-নেটিভ প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে—ভূমি ও জলসম্পদের যৌথ অভিভাবকত্বকে গুরুত্ব দিয়ে। একই সাথে বাস্তববাদী বার্তাও এসেছে: স্বাস্থ্য, আবাসন ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জমি ফেরত—এমন বাস্তব উদ্যোগে বাজেট বৃদ্ধির দাবি জোরালো হয়েছে।
নীতিগত অগ্রগতি ও বিতর্ক
কলম্বাস ডে পুরোপুরি প্রতিস্থাপনের চাপ বাড়লেও বাস্তবতা এখনও ‘প্যাচওয়ার্ক’—কোথাও গ্রহণ, কোথাও নয়। শিক্ষকেরা চান, নেটিভ ইতিহাসকে একদিনের পাঠের বাইরে নিয়ে সারা বর্ষজুড়ে যুক্ত করা হোক। উপজাতি নেতারা কিছু সাফল্য উল্লেখ করেছেন—পবিত্র স্থানের সুরক্ষা শক্তিশালী হওয়া, অবকাঠামো প্রকল্পে আগাম পরামর্শ—তবে বাস্তবায়ন পিছিয়ে। বহু অনুষ্ঠানে জলবায়ু প্রভাবের বিষয়ও উঠে এসেছে—বন দাবানলের ধোঁয়া, পানির প্রাপ্যতা—যা নেটিভ সম্প্রদায়কে বেশি আঘাত করে। বক্তারা আনন্দ ও বাস্তবতার ভারসাম্য টেনেছেন: সংস্কৃতি টিকে আছে, প্রাণবন্ত; তবু সেবা খাতে অর্থায়ন কম এবং আইনি লড়াই চলমান। সার্বিক বার্তা ছিল ভবিষ্যতমুখী—পরিচয় উদযাপন, জোট গভীর করা এবং দৃশ্যমানতাকে নীতিতে রূপ দেওয়া।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















