১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২০২৫ সালের সেরা ২৫টি সিনেমা: পাপী থেকে শুরু করে এক যুদ্ধের পর আরেক যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬৯) ট্রাম্পের রাশিয়া-তোষণ প্রবণতা বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে ডেল ১৬, নিকন ZR আর ওনি ভোল্ট ২: এক সপ্তাহের গ্যাজেট মানচিত্র পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫) চীনের নতুন স্ট্যাটাস সিম্বল: আর্ক’টেরিক্সের এক হাজার ডলারের জ্যাকেট প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৬) স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ উইল বায়ারস এখন জাদুকর—টেবিল রিড ভিডিওতে উচ্ছ্বসিত সহশিল্পীরা ভারতীয় কর্মীদের রাশিয়ায় চলাচল সহজ করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সম্মতি ক্লেবার মেনডোনসা ফিলহোর ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’: একটি মজাদার রাজনৈতিক থ্রিলার

ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশীকে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার তিনজন নাগরিককে ভারতের স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, ঘটনাটি ত্রিপুরার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় ঘটেছে, যা সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে। নিহতদের সবাই চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা।

সীমান্তে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃহস্পতিবার তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ভারতীয়দের হামলায় এ ঘটনা ঘটে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে।

নিহতদের পরিচয়

নিহত তিনজন হলেন—
পণ্ডিত মিয়া (৩০), পিতা কানা মিয়া;
সাজল মিয়া (৫০), পিতা কুদ্দুস মিয়া;
এবং জুয়েল মিয়া (৩২), পিতা আশরাফ উল্লাহ।
তিনজনই হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা।

ঘটনার স্থান ও পরিস্থিতি

বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিনুল রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কারেঙ্গিছড়া এলাকায় ঘটে, যা বাংলাদেশের সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে। তবে ঘটনার সঠিক সময় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা

স্থানীয়দের হামলা ও মৃত্যুর বিবরণ

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নিহত তিনজন দুই থেকে তিন দিন আগে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ভারতীয়রা তাঁদের গবাদিপশু চোর সন্দেহে আটক করে নির্বিচারে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

পরে নিহতদের মরদেহ ভারতের শমসেরনগর থানায় রাখা হয়।

নিখোঁজ থেকে মৃত্যুর খবর

নিহত পণ্ডিত মিয়ার ছেলে জহির মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাবা ও অন্য দুজন পানপাতা সংগ্রহের জন্য পার্বত্য এলাকায় গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

“বুধবার আমরা জানতে পারি, তিনজনেরই মরদেহ ভারতের ভেতরে পাওয়া গেছে,” বলেন জহির মিয়া।

সীমান্ত পরিস্থিতি ও বিজিবির পদক্ষেপ

বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিনুল রহমান জানান, এ ঘটনার বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সীমান্তে একাধিক সহিংস ঘটনার পর বিজিবি জানিয়েছে, ভারতের বিএসএফ কর্তৃক ‘পুশ-ইন’ বা বাংলাদেশি নাগরিকদের জোর করে ঠেলে পাঠানোর মতো আচরণ আর সহ্য করা হবে না।

#হবিগঞ্জ #ত্রিপুরা #সীমান্তহত্যা #বাংলাদেশভারত #বিজিবি #বিএসএফ #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৫ সালের সেরা ২৫টি সিনেমা: পাপী থেকে শুরু করে এক যুদ্ধের পর আরেক যুদ্ধ

ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশীকে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা

০৮:১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার তিনজন নাগরিককে ভারতের স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, ঘটনাটি ত্রিপুরার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় ঘটেছে, যা সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে। নিহতদের সবাই চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা।

সীমান্তে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃহস্পতিবার তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ভারতীয়দের হামলায় এ ঘটনা ঘটে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে।

নিহতদের পরিচয়

নিহত তিনজন হলেন—
পণ্ডিত মিয়া (৩০), পিতা কানা মিয়া;
সাজল মিয়া (৫০), পিতা কুদ্দুস মিয়া;
এবং জুয়েল মিয়া (৩২), পিতা আশরাফ উল্লাহ।
তিনজনই হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা।

ঘটনার স্থান ও পরিস্থিতি

বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিনুল রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কারেঙ্গিছড়া এলাকায় ঘটে, যা বাংলাদেশের সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে। তবে ঘটনার সঠিক সময় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা

স্থানীয়দের হামলা ও মৃত্যুর বিবরণ

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নিহত তিনজন দুই থেকে তিন দিন আগে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ভারতীয়রা তাঁদের গবাদিপশু চোর সন্দেহে আটক করে নির্বিচারে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

পরে নিহতদের মরদেহ ভারতের শমসেরনগর থানায় রাখা হয়।

নিখোঁজ থেকে মৃত্যুর খবর

নিহত পণ্ডিত মিয়ার ছেলে জহির মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাবা ও অন্য দুজন পানপাতা সংগ্রহের জন্য পার্বত্য এলাকায় গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

“বুধবার আমরা জানতে পারি, তিনজনেরই মরদেহ ভারতের ভেতরে পাওয়া গেছে,” বলেন জহির মিয়া।

সীমান্ত পরিস্থিতি ও বিজিবির পদক্ষেপ

বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিনুল রহমান জানান, এ ঘটনার বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সীমান্তে একাধিক সহিংস ঘটনার পর বিজিবি জানিয়েছে, ভারতের বিএসএফ কর্তৃক ‘পুশ-ইন’ বা বাংলাদেশি নাগরিকদের জোর করে ঠেলে পাঠানোর মতো আচরণ আর সহ্য করা হবে না।

#হবিগঞ্জ #ত্রিপুরা #সীমান্তহত্যা #বাংলাদেশভারত #বিজিবি #বিএসএফ #সারাক্ষণরিপোর্ট