০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশে ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা—শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার আহ্বান ইউজিসির জাল নোট নিয়ে আতঙ্ক নয়—জনসচেতনতা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: ইঞ্জিনিয়ার্স ও সিগন্যালস কোরের ২০২৫ ব্যাচের রিক্রুট প্যারেড অনুষ্ঠিত প্রণয় ভার্মার বক্তব্যে ‘লালন সন্ধ্যা’: ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে লালন স্মরণ ও সুরের মিলন আফ্রিকাই আগামী বিশ্বে পরিবর্তন আনবে পাবনায় আধিপত্যের সংঘর্ষে ‘নকশাল’ নেতা গুলি ও ধারালো অস্ত্রে নিহত কাঠবিড়ালিদের ছবি তুলে কষ্ট ভুলে থাকেন নিকি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিপর্যয়ে সংঘাত মানুষ ও বন্যপ্রাণীর চীনে খ্রিষ্টানদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়ার শঙ্কা সোনা: ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি, মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী

পাবনায় আধিপত্যের সংঘর্ষে ‘নকশাল’ নেতা গুলি ও ধারালো অস্ত্রে নিহত

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম বাজার এলাকায় স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন ‘নকশাল’-এর নেতা আবদুল মতিন (৪৬) নিহত হন। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার সারাংশ

মঙ্গলগ্রাম বাজারের একটি মাদ্রাসার সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিদ্বন্দ্বীরা আবদুল মতিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন; সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিচয়

নিহত আবদুল মতিনের বয়স ৪৬ বছর। তিনি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীকোল বটতলা এলাকার আজিমউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন ‘নকশাল’-এর এক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সংঘর্ষের পটভূমি

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ‘নকশাল’ সংগঠনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরেই বৃহস্পতিবারের হামলায় আবদুল মতিনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনাস্থল ও সময়

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম বাজারের ওই মাদ্রাসার সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।

তদন্তের অগ্রগতি

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের নাম-পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় পরিস্থিতি

হামলার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

#পাবনা #ফরিদপুর #মঙ্গলগ্রামবাজার #চরমপন্থী #নকশাল #গুলি #হত্যা #বাংলাদেশপুলিশ #আইনশৃঙ্খলা #অপরাধ #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা—শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার আহ্বান ইউজিসির

পাবনায় আধিপত্যের সংঘর্ষে ‘নকশাল’ নেতা গুলি ও ধারালো অস্ত্রে নিহত

১১:৩৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম বাজার এলাকায় স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন ‘নকশাল’-এর নেতা আবদুল মতিন (৪৬) নিহত হন। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার সারাংশ

মঙ্গলগ্রাম বাজারের একটি মাদ্রাসার সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিদ্বন্দ্বীরা আবদুল মতিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন; সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিচয়

নিহত আবদুল মতিনের বয়স ৪৬ বছর। তিনি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীকোল বটতলা এলাকার আজিমউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন ‘নকশাল’-এর এক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সংঘর্ষের পটভূমি

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ‘নকশাল’ সংগঠনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরেই বৃহস্পতিবারের হামলায় আবদুল মতিনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনাস্থল ও সময়

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম বাজারের ওই মাদ্রাসার সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।

তদন্তের অগ্রগতি

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের নাম-পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় পরিস্থিতি

হামলার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

#পাবনা #ফরিদপুর #মঙ্গলগ্রামবাজার #চরমপন্থী #নকশাল #গুলি #হত্যা #বাংলাদেশপুলিশ #আইনশৃঙ্খলা #অপরাধ #সারাক্ষণরিপোর্ট