সীমান্তে তৎপরতা ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বড় কম্পাউন্ডে আত্মঘাতী গাড়িবোমার আঘাতে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পাকিস্তানি তালেবানের (টিটিপি) সমর্থনে হামলাটি চালানো হয়; বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্থানীয়দের ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়। অন্তত ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছে—এমন প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে পুলিশ; ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চলায় হতাহতের পূর্ণচিত্র এখনো পরিষ্কার নয়। সীমান্তঘেঁষা এ জেলাগুলো কেন ঝুঁকিপূর্ণ—সেটি আবারও সামনে এল; ক্রস-বর্ডার নেটওয়ার্ক, স্থানীয় সেল ও চোরাচালান রুটের দীর্ঘ ইতিহাস এখানে রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দেয়। কঠোর অভিযান, আলোচনা ও কাবুলের সঙ্গে সমন্বয়—এই ত্রিমুখী নীতির মধ্যে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো পাকিস্তানের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে।
কেন মির আলি গুরুত্বপূর্ণ, এরপর কী
লজিস্টিক রুটের গিরায় বসা মির আলি বহুদিন ধরেই সংঘাতের কেন্দ্র—সীমান্ত টহল শিথিল হলেই এখানে সশস্ত্র দলগুলো সাহসী পরীক্ষা চালায়। শুক্রবারের কৌশলও পুরোনো: প্রথমে গাড়িবোমায় পরিমাপকৃত গেট ভাঙা, তারপর ছোট ইউনিট নিয়ে অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া। এখন তদন্তকারীরা দেখবেন—কীভাবে হামলাকারীরা মোতায়েন হলো, কী অস্ত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করল, আর সুবিধাদাতারা কীভাবে চেকপোস্ট এড়িয়ে গেল। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ, কর্ডন-অ্যান্ড-সার্চ ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ বাড়বে; পাশাপাশি ঘাঁটির নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সমন্বয় নতুন করে পর্যালোচনা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—টিটিপি-র স্প্লিন্টার গ্রুপে চাপ বজায় রাখা জরুরি, তবে সীমান্ত নজরদারি ও স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি ছাড়া নিয়োগ-বেস কমানো যাবে না। আপাতত বাসিন্দাদের জন্য বাড়তি টহল, চেকিং আর অনিয়মিত পরিষেবা—এই বাস্তবতাই সামনে।
আফগান সীমান্তের কাছে মির আলিতে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীর হামলা”
-
সারাক্ষণ রিপোর্ট
- ০৭:০০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- 14
জনপ্রিয় সংবাদ