০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
তরুণদের ভিড়ে নিউইয়র্কের আপার ইস্ট সাইডে নতুন প্রাণ তরুণ কর্মজীবীর আর্থিক পরিকল্পনা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৩) টিম কারির স্মৃতিকথা ‘ভ্যাগাবন্ড’-এ জীবনের রঙিন অধ্যায় সুপার হেডলাইন: ভারতের সংবিধান বেঞ্চেরও বিশেষ ক্ষমতা আছে— মন্তব্য পাকিস্তানের বিচারপতি মাজহার দিওয়ালির রঙে শিল্পা ও শমিতা শেঠির বোনেদের মজা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৪) ভারতের ঋণসীমার আওতায় ‘চুক্তি বাতিলের তালিকা ভুল’— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অ-পরিশোধিত ঋণে চাপে ২৪ ব্যাংক ঝুঁকিতে, অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বড় ধাক্কা ১.৫৬ কোটি টাকা বকেয়া ও গ্যাস চুরির অভিযোগে আনন্ত জলিলের কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

মমিথা বাইজু ১৫ কোটি টাকার গুজব উড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী, জানালেন নতুন সিনেমার পরিকল্পনার কথা

‘প্রেমালু’-এর বিশাল সাফল্যের পর দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী মমিথা বাইজু। প্রাদীপ রঙ্গনাথনের বিপরীতে অভিনীত তাঁর নতুন তামিল সিনেমা ‘ডিউড’ বক্স অফিসে চমৎকার সাড়া ফেলেছে। এই ছবির সফলতার সুবাদে তাঁদের অনস্ক্রিন জুটি এখন দর্শকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।


‘সুপার শরন্যা’ থেকেই শুরু

মমিথা বলেন, “‘সুপার শরন্যা’ দেখার পরই পরিচালক কীর্তিশ্বরন স্যার আমাকে ‘ডিউড’-এর জন্য ডাকেন। তিনি আমাকে এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন, যা পুরো সিনেমাজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি মালয়ালি হলেও, তিনি আমাকে একেবারে তামিল সংস্কৃতিভিত্তিক চরিত্রে বিশ্বাস করে কাস্ট করেন—এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।”

তিনি আরও জানান, “‘রেবেল’ নামের একটি তামিল ছবিতে আমি আগে অভিনয় করেছিলাম, কিন্তু সেখানে পর্দায় উপস্থিতি ছিল খুবই সীমিত। তাই ‘ডিউড’-এ এমন শক্তিশালী চরিত্র পাওয়ায় আমি ভীষণভাবে দায়বদ্ধ ছিলাম। সিনেমাটি আমার কাছে বিশেষ আবেগের।”


প্রাদীপের সঙ্গে অনস্ক্রিন রসায়ন

“প্রথম দেখা হয়েছিল কীর্তিশ্বরন স্যারের অফিসে, স্ক্রিপ্ট রিডিং ও ফটোশুটের সময়। প্রাদীপ স্যার সবসময় সহশিল্পীদের স্বচ্ছন্দ রাখেন, তাই আমার কোনো নার্ভাসনেস ছিল না। শুরু থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা কাজকে সহজ করে দেয়,” বলেন মমিথা।


১৫ কোটি টাকার গুজব নিয়ে মমিথা

মমিথা হেসে বলেন, “‘১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক’? আমার জন্য? একেবারে মজা করছেন! আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নই, কিন্তু কেউ একজন আমাকে ওই পোস্টের লিংক পাঠায়। দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলাম! মানুষ যেন পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলেছিল। কেউ কেউ লিখেছিল, ‘সে কি এখন এত বড় অভিনেত্রী হয়ে গেছে?’ আমি শুধু বলব—সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখা যায়, সবই যে সত্য নয়, সেটা সবাই বুঝুক।”


ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া

“আমার বাবা একজন ডাক্তার। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তাঁর মতো চিকিৎসক হওয়ার। তাঁর ক্লিনিকে গেলে সবাই আমাকে ‘বেবি ডাক্তার’ বলত। রোগীরা যখন সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বাবাকে ধন্যবাদ জানাতেন, আমি তখন মনে মনে ভাবতাম—এই কাজটাই সবচেয়ে মহৎ।

কিন্তু সিনেমায় আসা আমার জীবনে হঠাৎ ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘সর্বোপরি পাল্লাক্কারান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাই। প্রযোজক আজি আঙ্কেল, যিনি বাবার বন্ধু, তিনিই অডিশনে পাঠিয়েছিলেন আমাকে। তারপর ধীরে ধীরে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করতে করতে সিনেমার সঙ্গে এক অদ্ভুত টান অনুভব করি। তখনই বুঝি, এটিই আমার পথ। বাবা-মা-ও পুরো সমর্থন দেন।”


অপ্রত্যাশিত খ্যাতি

“কখনো কখনো নিজেকে প্রশ্ন করি—‘এগুলো সত্যিই আমার জীবনে ঘটছে?’ ‘প্রেমালু’ মুক্তির পর হঠাৎ সব বদলে যায়। শুধু কেরালা নয়, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশেও সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। হায়দরাবাদে গেলে মানুষ আমাকে দেখে ছবি তুলতে আসে।

প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম, এত জনপ্রিয়তা কীভাবে সামলাব! কিন্তু পরে বুঝলাম—ভালোবাসার সঙ্গে দায়িত্বও আসে। দর্শক আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে এখন প্রতিটি সিনেমা বেছে নেওয়ার সময় গল্প ও চরিত্র নিয়ে আরও যত্নবান হচ্ছি।”


‘প্রেমালু’ দলকে ভুলতে পারছেন না

“‘প্রেমালু’ আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কাজ। নাসলেন, ম্যাথিউ, সংগীত এট্টান, আখিলা চেচি—সবার সঙ্গে গভীর বন্ধন আছে। এখন সবাই ব্যস্ত, কিন্তু বন্ধুত্ব অটুট। আমি সবচেয়ে বেশি দেখা করি সংগীত এট্টান ও আখিলা চেচির সঙ্গে। আমরা নিয়মিত কথা বলি। আর হ্যাঁ, ‘প্রেমালু ২’ নিয়েও ভীষণ উচ্ছ্বসিত আমি। ছবিটি বন্ধ হয়ে গেছে—এই খবর সম্পূর্ণ গুজব।”


তারকাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা

“বিজয় স্যারের সঙ্গে অভিনয় করা যেন এক স্বপ্নপূরণ। শুটিংয়ের প্রথম দিন এতটাই উত্তেজিত ছিলাম যে বিশ্বাসই হচ্ছিল না, আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে! কিন্তু তিনিই এসে কথা বলেছিলেন, আমাকে স্বচ্ছন্দ করে তুলেছিলেন।

সুরিয়া স্যারের সঙ্গে ‘ভানাঙ্গান’ নামে একটি ছবিতে কাজ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। পরে যখন অন্য একটি প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজের সুযোগ পেলাম, তখন তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন—‘অবশেষে আমরা একসঙ্গে!’ ধনুশ স্যারও আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। একবার তাঁর অসাধারণ অভিনয় দেখে আমি নিজের সংলাপই ভুলে যাই! তাঁর মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।”


প্রেমালু’-এর সাফল্যের পর মমিথা বাইজু এখন দক্ষিণের অন্যতম সম্ভাবনাময় তারকা। অভিনয়ে তাঁর নিবেদন, বিনয় ও স্পষ্টবাদিতা তাঁকে ভক্তদের আরও কাছাকাছি এনেছে। আর ‘প্রেমালু ২’-এর ঘোষণা তাঁর অনুরাগীদের জন্য নিঃসন্দেহে নতুন এক আনন্দের অপেক্ষা।


# মমিথা_#বাইজু, #প্রেমালু, #দক্ষিণ_ভারতীয়_#সিনেমা, #তামিল_ফিল্ম, #বিনোদন, #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

তরুণদের ভিড়ে নিউইয়র্কের আপার ইস্ট সাইডে নতুন প্রাণ

মমিথা বাইজু ১৫ কোটি টাকার গুজব উড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী, জানালেন নতুন সিনেমার পরিকল্পনার কথা

০৭:১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

‘প্রেমালু’-এর বিশাল সাফল্যের পর দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী মমিথা বাইজু। প্রাদীপ রঙ্গনাথনের বিপরীতে অভিনীত তাঁর নতুন তামিল সিনেমা ‘ডিউড’ বক্স অফিসে চমৎকার সাড়া ফেলেছে। এই ছবির সফলতার সুবাদে তাঁদের অনস্ক্রিন জুটি এখন দর্শকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।


‘সুপার শরন্যা’ থেকেই শুরু

মমিথা বলেন, “‘সুপার শরন্যা’ দেখার পরই পরিচালক কীর্তিশ্বরন স্যার আমাকে ‘ডিউড’-এর জন্য ডাকেন। তিনি আমাকে এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন, যা পুরো সিনেমাজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি মালয়ালি হলেও, তিনি আমাকে একেবারে তামিল সংস্কৃতিভিত্তিক চরিত্রে বিশ্বাস করে কাস্ট করেন—এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।”

তিনি আরও জানান, “‘রেবেল’ নামের একটি তামিল ছবিতে আমি আগে অভিনয় করেছিলাম, কিন্তু সেখানে পর্দায় উপস্থিতি ছিল খুবই সীমিত। তাই ‘ডিউড’-এ এমন শক্তিশালী চরিত্র পাওয়ায় আমি ভীষণভাবে দায়বদ্ধ ছিলাম। সিনেমাটি আমার কাছে বিশেষ আবেগের।”


প্রাদীপের সঙ্গে অনস্ক্রিন রসায়ন

“প্রথম দেখা হয়েছিল কীর্তিশ্বরন স্যারের অফিসে, স্ক্রিপ্ট রিডিং ও ফটোশুটের সময়। প্রাদীপ স্যার সবসময় সহশিল্পীদের স্বচ্ছন্দ রাখেন, তাই আমার কোনো নার্ভাসনেস ছিল না। শুরু থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা কাজকে সহজ করে দেয়,” বলেন মমিথা।


১৫ কোটি টাকার গুজব নিয়ে মমিথা

মমিথা হেসে বলেন, “‘১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক’? আমার জন্য? একেবারে মজা করছেন! আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নই, কিন্তু কেউ একজন আমাকে ওই পোস্টের লিংক পাঠায়। দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলাম! মানুষ যেন পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলেছিল। কেউ কেউ লিখেছিল, ‘সে কি এখন এত বড় অভিনেত্রী হয়ে গেছে?’ আমি শুধু বলব—সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখা যায়, সবই যে সত্য নয়, সেটা সবাই বুঝুক।”


ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া

“আমার বাবা একজন ডাক্তার। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তাঁর মতো চিকিৎসক হওয়ার। তাঁর ক্লিনিকে গেলে সবাই আমাকে ‘বেবি ডাক্তার’ বলত। রোগীরা যখন সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বাবাকে ধন্যবাদ জানাতেন, আমি তখন মনে মনে ভাবতাম—এই কাজটাই সবচেয়ে মহৎ।

কিন্তু সিনেমায় আসা আমার জীবনে হঠাৎ ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘সর্বোপরি পাল্লাক্কারান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাই। প্রযোজক আজি আঙ্কেল, যিনি বাবার বন্ধু, তিনিই অডিশনে পাঠিয়েছিলেন আমাকে। তারপর ধীরে ধীরে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করতে করতে সিনেমার সঙ্গে এক অদ্ভুত টান অনুভব করি। তখনই বুঝি, এটিই আমার পথ। বাবা-মা-ও পুরো সমর্থন দেন।”


অপ্রত্যাশিত খ্যাতি

“কখনো কখনো নিজেকে প্রশ্ন করি—‘এগুলো সত্যিই আমার জীবনে ঘটছে?’ ‘প্রেমালু’ মুক্তির পর হঠাৎ সব বদলে যায়। শুধু কেরালা নয়, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশেও সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। হায়দরাবাদে গেলে মানুষ আমাকে দেখে ছবি তুলতে আসে।

প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম, এত জনপ্রিয়তা কীভাবে সামলাব! কিন্তু পরে বুঝলাম—ভালোবাসার সঙ্গে দায়িত্বও আসে। দর্শক আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে এখন প্রতিটি সিনেমা বেছে নেওয়ার সময় গল্প ও চরিত্র নিয়ে আরও যত্নবান হচ্ছি।”


‘প্রেমালু’ দলকে ভুলতে পারছেন না

“‘প্রেমালু’ আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কাজ। নাসলেন, ম্যাথিউ, সংগীত এট্টান, আখিলা চেচি—সবার সঙ্গে গভীর বন্ধন আছে। এখন সবাই ব্যস্ত, কিন্তু বন্ধুত্ব অটুট। আমি সবচেয়ে বেশি দেখা করি সংগীত এট্টান ও আখিলা চেচির সঙ্গে। আমরা নিয়মিত কথা বলি। আর হ্যাঁ, ‘প্রেমালু ২’ নিয়েও ভীষণ উচ্ছ্বসিত আমি। ছবিটি বন্ধ হয়ে গেছে—এই খবর সম্পূর্ণ গুজব।”


তারকাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা

“বিজয় স্যারের সঙ্গে অভিনয় করা যেন এক স্বপ্নপূরণ। শুটিংয়ের প্রথম দিন এতটাই উত্তেজিত ছিলাম যে বিশ্বাসই হচ্ছিল না, আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে! কিন্তু তিনিই এসে কথা বলেছিলেন, আমাকে স্বচ্ছন্দ করে তুলেছিলেন।

সুরিয়া স্যারের সঙ্গে ‘ভানাঙ্গান’ নামে একটি ছবিতে কাজ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। পরে যখন অন্য একটি প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজের সুযোগ পেলাম, তখন তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন—‘অবশেষে আমরা একসঙ্গে!’ ধনুশ স্যারও আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। একবার তাঁর অসাধারণ অভিনয় দেখে আমি নিজের সংলাপই ভুলে যাই! তাঁর মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।”


প্রেমালু’-এর সাফল্যের পর মমিথা বাইজু এখন দক্ষিণের অন্যতম সম্ভাবনাময় তারকা। অভিনয়ে তাঁর নিবেদন, বিনয় ও স্পষ্টবাদিতা তাঁকে ভক্তদের আরও কাছাকাছি এনেছে। আর ‘প্রেমালু ২’-এর ঘোষণা তাঁর অনুরাগীদের জন্য নিঃসন্দেহে নতুন এক আনন্দের অপেক্ষা।


# মমিথা_#বাইজু, #প্রেমালু, #দক্ষিণ_ভারতীয়_#সিনেমা, #তামিল_ফিল্ম, #বিনোদন, #সারাক্ষণ_রিপোর্ট