মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ইতিবাচক সূচনা দেখা গেলেও, দিন শেষে ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে। ডিএসই দিনের লেনদেন শেষ করে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে, আর সিএসই সামান্য বৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
ডিএসইর সূচকে পতন
দিনের শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ২২ পয়েন্ট কমে যায়।
- শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ৩ পয়েন্ট কমে।
- ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) সামান্য বেড়ে ৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়।
মোট ৩৯৩ কোম্পানির মধ্যে ২৪১টির শেয়ারদর কমে, ৮০টি বেড়ে এবং ৭২টি অপরিবর্তিত থাকে।
পতনের মূল ক্ষেত্র
সব শ্রেণির শেয়ার—A, B ও Z—এর মধ্যেই দরপতন লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় A-ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোর মধ্যে।
- এ-ক্যাটাগরির ১৫৩টি কোম্পানির দর কমে যায়,
- মাত্র ৩৩টি কোম্পানি দাম বৃদ্ধির তালিকায় ছিল।
বাজারে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইএক্স সূচক এখন ৫,০০০ পয়েন্ট সীমার কাছাকাছি চলে এসেছে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন
ব্লক মার্কেটে ৩১টি কোম্পানির মোট ৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
এর মধ্যে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি শীর্ষে ছিল, যার লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার ডিএসইর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৭৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের ৩৯৪ কোটি টাকার তুলনায় বেশি।
সিএসইতে সূচক বৃদ্ধি
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে দিন শেষ করে।
তবে এখানে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদরও কমেছে—
- ৯২টি কোম্পানির দাম কমে,
- ৮৪টির দাম বেড়েছে,
- ২৯টি অপরিবর্তিত ছিল।
সিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের ১৬ কোটি টাকা থেকে কমে ১২ কোটি টাকায় নেমে আসে।
শীর্ষ গেইনার ও লুজার
সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, যার শেয়ারদর ২১ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়।
দিনের শুরুতে আশাব্যঞ্জক সূচনা সত্ত্বেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বিক্রির চাপ বাজারকে নিচের দিকে ঠেলে দেয়। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সামান্য অগ্রগতি ধরে রেখে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করে।
#ডিএসই #সিএসই #শেয়ারবাজার #বাংলাদেশঅর্থনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট