০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ভনসালির ‘হীরামন্ডি ২’-এ আবার দীপিকা ও রণবীর উত্তর আটলান্টিক ‘রাইট’ তিমির সংখ্যা সামান্য বেড়েছে—তবু ঝুঁকি কাটেনি কোচেল্লা ২০২৬-এর প্রধান শিল্পী ব্ল্যাকপিংকের লিসা ইউরোপে ইভি চার্জিং হাবের উত্থান—বন্যায় গাড়ি বন্ধের পথে স্কোপ–৩ নির্গমনে কড়া নজরদারি: নরওয়ের ২ ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিলের হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে কম প্রভাব: নাইজেরিয়ার আশ্বাস মার্কিন ফ্লাইটে মদ্যপানের অভিযোগ অস্বীকার — বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে অনড় সোইউ প্রাচীন হাতি অভিবাসন পথ বন্ধ, উত্তেজনায় মানুষ-হাতি সংঘর্ষ ক্যাননের রেকর্ড: ১৭০ মিলিয়ন রিফ্লেক্টিফ লেন্স উৎপাদন দুই বিলিয়ন ফ্রেম/সেকেন্ড—আলোকরশ্মির গতিপথ ‘দেখাল’ ল্যাব ক্যামেরা

তাইওয়ানের প্রকৃতি, রোমাঞ্চ আর নীরব সৌন্দর্যের মিলনস্থল , তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য আবিষ্কারে পর্যটকদের আগ্রহ

তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চল এখনো তুলনামূলকভাবে অপরিচিত এক পর্যটন গন্তব্য, যেখানে রয়েছে পাহাড়, নদী, জলপ্রপাত, হট স্প্রিং এবং ঘন সবুজ অরণ্যের এক মনোমুগ্ধকর মিশ্রণ। পশ্চিমের ব্যস্ত শহরজীবন থেকে ভিন্ন, এই অঞ্চল প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সংলাপের স্থান।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রথম সাক্ষাৎ

ইউশান ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের মুহূর্তেই প্রকৃতির সুর শুনতে পাওয়া যায়। এক স্যাক্সোফোনবাদক পাহাড়ের কোলে সুর তুলছেন, পাশে ছায়া দিচ্ছে ঘন সবুজ বন। হাঁটাপথে ওয়ালামি ট্রেইলে পা বাড়ালে শোনা যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পাতার খসখস শব্দ আর দূরের জলপ্রপাতের ধ্বনি। পর্যটকেরা এখানে খুব কম, আর যারা আসে তারা খুঁজে পায় মুন্টজ্যাক হরিণ বা রক মাকাকের মতো দুর্লভ প্রাণী। ঝুলন্ত সেতু পার হওয়ার সময় মনে হয়, সভ্যতার কোলাহল অনেক দূরে রয়ে গেছে।

People riding bicycles are seen between palm trees in silhouette on a beach at sunset. The sky and mountains in the distance are a deep blue,

শহরের কাছে অথচ প্রকৃতির কোলে

এই ট্রেইলহেডের অবস্থান তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে মাত্র অল্প দূরে, যেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ বাস করে। রাজধানী তাইপেই থেকে কয়েক ঘণ্টার ট্রেনে পৌঁছে যাওয়া যায় এই অঞ্চলটিতে। স্থানীয় ট্যুর কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ম্যাকক্রিশ বলেন, “তাইওয়ানের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা বন ও পাহাড়ে ঢাকা, কিন্তু পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে এখনো তাইওয়ান এক শিল্পনগরী হিসেবেই পরিচিত।”

পূর্ব উপকূলে হাইকিং, সাইক্লিং, সার্ফিং, ডাইভিং বা ক্যানিয়নিং— সবই সম্ভব। তার দাবি, “এই দিকেই তাইওয়ানের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।”

রোমাঞ্চকর এক সপ্তাহের যাত্রা

A couple is seen in silhouette sitting on a beach watching a golden sunrise above the water.

ভ্রমণ শুরু হয়েছিল তাইতুং থেকে, সেখান থেকে ট্রেন ও গাড়িতে যাত্রা করে তাইপেই পর্যন্ত। ইউলির ঐতিহাসিক হট স্প্রিং-এ গোসল, তারোকো ন্যাশনাল পার্কের পাহাড় কেটে যাওয়া রাস্তা, কিংবা চিশাং গ্রামের সবুজ ধানক্ষেতে সাইকেল চালানো— প্রতিটি মুহূর্তেই প্রকৃতি যেন ভ্রমণকারীর সঙ্গী। স্থানীয় গাইড মার্ক পেমবার্টন বলেন, “তাইওয়ানে আসা অনেকেই জানেন না, তাদের জন্য কতটা চমক অপেক্ষা করছে।”

পর্যটনের চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

তাইওয়ানের পর্যটনে এখনো বড় অংশই আসে এশিয়ার ভেতর থেকে। ২০১৯ সালে যেখানে রেকর্ড ১ কোটি ১৯ লাখ পর্যটক এসেছিলেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেক কম। চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কোভিড-পরবর্তী বিধিনিষেধের প্রভাব এখনো কাটেনি।

Two people walk along a paved path under a canopy covered in leafy tree branches. Signs and maps are displayed at the entrance to the canopy.

২০২২ সালে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর পর্যটনের পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে— শুধু এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্তই প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্র এখন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিদেশি পর্যটন উৎস, এবং তাইওয়ানের এয়ারলাইনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শহরগুলোর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে।

ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল

২০২৪ সালের এপ্রিলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পূর্ব উপকূলের বড় অংশে ধ্বংস ডেকে আনে। তারোকো ন্যাশনাল পার্কের একাধিক পথ এখনো বন্ধ, ধসে পড়া পাহাড়ের চিহ্ন দেখা যায় সর্বত্র। গত মাসে এক ঘূর্ণিঝড় হুয়ালিয়েন অঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি করে, অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় ট্যুর কোম্পানিগুলোর মতে, এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আগ্রহ কমে গেছে। তবু কেউ কেউ এখনো পার্কের বিলাসবহুল হোটেল সিল্কস প্লেস তারোকোতে থাকছেন, যা জানুয়ারিতে পুনরায় খোলা হয়েছে।

নীরব বিলাস ও পুনর্জীবন

হোটেলের ছাদে পাহাড়ের দিকে মুখ করে গরম জলে ডুব দেওয়া যেন আকাশে ভাসার মতো অনুভূতি দেয়। স্থানীয় ফল যেমন রোসেল, পোমেলো আর ‘হোয়াইট ওয়াটার স্নোফ্লেক’ দিয়ে তৈরি খাবার অতিথিদের আকর্ষণ করে।

হোটেল মুখপাত্র সানি শিয়েহ বলেন, “ভূমিকম্পের পর আমরা অতিথিদের জন্য এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা তৈরি করেছি— যেখানে থাকা মানেই সুস্থতা ও প্রশান্তির যাত্রা।” তবে এখনো হোটেলের দখল হার ২৪ শতাংশের নিচে, যা মহামারির আগে ছিল ৬০ শতাংশের বেশি।

ভ্রমণের শেষ প্রান্তে তাইপেই

ক্যাব ও ট্রেনে নির্ভর ভ্রমণ সীমিত হলেও পথের দৃশ্য ছিল মনোমুগ্ধকর— মেঘে মোড়ানো পাহাড়, সমান্তরাল ধানক্ষেত আর নির্জন গ্রাম। হুয়ালিয়েনে সাইকেলে চেপে কিশিংতান সৈকতে যাওয়ার পথে দেখা যায় জার্মান খাবারের দোকান, কফি আর ছাগলের দুধের লাটের মিশ্রণ এক অদ্ভুত স্বাদ এনে দেয়।

তাইপেই পৌঁছে শহরের ব্যস্ত জীবনে ফিরেও প্রকৃতির ছোঁয়া হারায় না ভ্রমণকারীরা। আধুনিক হোটেল, নাইট মার্কেট, চা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের গন্ধে মিশে থাকে শহুরে উষ্ণতা।

A restaurant interior is seen in shadow and mountains and a deep blue body of water are visible through the windows at back.

বৈচিত্র্যের দ্বীপ

ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কোর লিউ বলেন, “তাইওয়ানের সৌন্দর্য এর বৈচিত্র্যে— একদিনেই পাহাড়, সমুদ্র আর শহুরে জীবন উপভোগ করা সম্ভব।” কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পর্যটন প্রচারণায় এখনো এই বৈচিত্র্য যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।

শেষ দিনে, লেখক আবার প্রকৃতির খোঁজে ইয়াংমিংশান ন্যাশনাল পার্কে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে তা ভেস্তে যায়। বদলে স্থানীয় এক নাস্তার দোকানে সয়া মিল্ক আর গরম ‘শিয়াও লং বাও’ খেয়ে তিনি উপসংহারে লেখেন— “তাইওয়ান এমন এক দেশ, যেখানে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি একসঙ্গে নাস্তার টেবিলেও বসে।”

#তাইওয়ান,# ইউশান ন্যাশনাল পার্ক,# তারোকো, #পূর্ব উপকূল, #এশিয়ার পর্যটন, #প্রকৃতি# ভ্রমণ, #ভূমিকম্প,# হুয়ালিয়েন,# সিল্কস প্লেস,# সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ভনসালির ‘হীরামন্ডি ২’-এ আবার দীপিকা ও রণবীর

তাইওয়ানের প্রকৃতি, রোমাঞ্চ আর নীরব সৌন্দর্যের মিলনস্থল , তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য আবিষ্কারে পর্যটকদের আগ্রহ

০১:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চল এখনো তুলনামূলকভাবে অপরিচিত এক পর্যটন গন্তব্য, যেখানে রয়েছে পাহাড়, নদী, জলপ্রপাত, হট স্প্রিং এবং ঘন সবুজ অরণ্যের এক মনোমুগ্ধকর মিশ্রণ। পশ্চিমের ব্যস্ত শহরজীবন থেকে ভিন্ন, এই অঞ্চল প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সংলাপের স্থান।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রথম সাক্ষাৎ

ইউশান ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের মুহূর্তেই প্রকৃতির সুর শুনতে পাওয়া যায়। এক স্যাক্সোফোনবাদক পাহাড়ের কোলে সুর তুলছেন, পাশে ছায়া দিচ্ছে ঘন সবুজ বন। হাঁটাপথে ওয়ালামি ট্রেইলে পা বাড়ালে শোনা যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পাতার খসখস শব্দ আর দূরের জলপ্রপাতের ধ্বনি। পর্যটকেরা এখানে খুব কম, আর যারা আসে তারা খুঁজে পায় মুন্টজ্যাক হরিণ বা রক মাকাকের মতো দুর্লভ প্রাণী। ঝুলন্ত সেতু পার হওয়ার সময় মনে হয়, সভ্যতার কোলাহল অনেক দূরে রয়ে গেছে।

People riding bicycles are seen between palm trees in silhouette on a beach at sunset. The sky and mountains in the distance are a deep blue,

শহরের কাছে অথচ প্রকৃতির কোলে

এই ট্রেইলহেডের অবস্থান তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে মাত্র অল্প দূরে, যেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ বাস করে। রাজধানী তাইপেই থেকে কয়েক ঘণ্টার ট্রেনে পৌঁছে যাওয়া যায় এই অঞ্চলটিতে। স্থানীয় ট্যুর কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ম্যাকক্রিশ বলেন, “তাইওয়ানের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা বন ও পাহাড়ে ঢাকা, কিন্তু পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে এখনো তাইওয়ান এক শিল্পনগরী হিসেবেই পরিচিত।”

পূর্ব উপকূলে হাইকিং, সাইক্লিং, সার্ফিং, ডাইভিং বা ক্যানিয়নিং— সবই সম্ভব। তার দাবি, “এই দিকেই তাইওয়ানের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।”

রোমাঞ্চকর এক সপ্তাহের যাত্রা

A couple is seen in silhouette sitting on a beach watching a golden sunrise above the water.

ভ্রমণ শুরু হয়েছিল তাইতুং থেকে, সেখান থেকে ট্রেন ও গাড়িতে যাত্রা করে তাইপেই পর্যন্ত। ইউলির ঐতিহাসিক হট স্প্রিং-এ গোসল, তারোকো ন্যাশনাল পার্কের পাহাড় কেটে যাওয়া রাস্তা, কিংবা চিশাং গ্রামের সবুজ ধানক্ষেতে সাইকেল চালানো— প্রতিটি মুহূর্তেই প্রকৃতি যেন ভ্রমণকারীর সঙ্গী। স্থানীয় গাইড মার্ক পেমবার্টন বলেন, “তাইওয়ানে আসা অনেকেই জানেন না, তাদের জন্য কতটা চমক অপেক্ষা করছে।”

পর্যটনের চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

তাইওয়ানের পর্যটনে এখনো বড় অংশই আসে এশিয়ার ভেতর থেকে। ২০১৯ সালে যেখানে রেকর্ড ১ কোটি ১৯ লাখ পর্যটক এসেছিলেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেক কম। চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কোভিড-পরবর্তী বিধিনিষেধের প্রভাব এখনো কাটেনি।

Two people walk along a paved path under a canopy covered in leafy tree branches. Signs and maps are displayed at the entrance to the canopy.

২০২২ সালে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর পর্যটনের পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে— শুধু এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্তই প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্র এখন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিদেশি পর্যটন উৎস, এবং তাইওয়ানের এয়ারলাইনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শহরগুলোর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে।

ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল

২০২৪ সালের এপ্রিলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পূর্ব উপকূলের বড় অংশে ধ্বংস ডেকে আনে। তারোকো ন্যাশনাল পার্কের একাধিক পথ এখনো বন্ধ, ধসে পড়া পাহাড়ের চিহ্ন দেখা যায় সর্বত্র। গত মাসে এক ঘূর্ণিঝড় হুয়ালিয়েন অঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি করে, অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় ট্যুর কোম্পানিগুলোর মতে, এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আগ্রহ কমে গেছে। তবু কেউ কেউ এখনো পার্কের বিলাসবহুল হোটেল সিল্কস প্লেস তারোকোতে থাকছেন, যা জানুয়ারিতে পুনরায় খোলা হয়েছে।

নীরব বিলাস ও পুনর্জীবন

হোটেলের ছাদে পাহাড়ের দিকে মুখ করে গরম জলে ডুব দেওয়া যেন আকাশে ভাসার মতো অনুভূতি দেয়। স্থানীয় ফল যেমন রোসেল, পোমেলো আর ‘হোয়াইট ওয়াটার স্নোফ্লেক’ দিয়ে তৈরি খাবার অতিথিদের আকর্ষণ করে।

হোটেল মুখপাত্র সানি শিয়েহ বলেন, “ভূমিকম্পের পর আমরা অতিথিদের জন্য এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা তৈরি করেছি— যেখানে থাকা মানেই সুস্থতা ও প্রশান্তির যাত্রা।” তবে এখনো হোটেলের দখল হার ২৪ শতাংশের নিচে, যা মহামারির আগে ছিল ৬০ শতাংশের বেশি।

ভ্রমণের শেষ প্রান্তে তাইপেই

ক্যাব ও ট্রেনে নির্ভর ভ্রমণ সীমিত হলেও পথের দৃশ্য ছিল মনোমুগ্ধকর— মেঘে মোড়ানো পাহাড়, সমান্তরাল ধানক্ষেত আর নির্জন গ্রাম। হুয়ালিয়েনে সাইকেলে চেপে কিশিংতান সৈকতে যাওয়ার পথে দেখা যায় জার্মান খাবারের দোকান, কফি আর ছাগলের দুধের লাটের মিশ্রণ এক অদ্ভুত স্বাদ এনে দেয়।

তাইপেই পৌঁছে শহরের ব্যস্ত জীবনে ফিরেও প্রকৃতির ছোঁয়া হারায় না ভ্রমণকারীরা। আধুনিক হোটেল, নাইট মার্কেট, চা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের গন্ধে মিশে থাকে শহুরে উষ্ণতা।

A restaurant interior is seen in shadow and mountains and a deep blue body of water are visible through the windows at back.

বৈচিত্র্যের দ্বীপ

ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কোর লিউ বলেন, “তাইওয়ানের সৌন্দর্য এর বৈচিত্র্যে— একদিনেই পাহাড়, সমুদ্র আর শহুরে জীবন উপভোগ করা সম্ভব।” কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পর্যটন প্রচারণায় এখনো এই বৈচিত্র্য যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।

শেষ দিনে, লেখক আবার প্রকৃতির খোঁজে ইয়াংমিংশান ন্যাশনাল পার্কে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে তা ভেস্তে যায়। বদলে স্থানীয় এক নাস্তার দোকানে সয়া মিল্ক আর গরম ‘শিয়াও লং বাও’ খেয়ে তিনি উপসংহারে লেখেন— “তাইওয়ান এমন এক দেশ, যেখানে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি একসঙ্গে নাস্তার টেবিলেও বসে।”

#তাইওয়ান,# ইউশান ন্যাশনাল পার্ক,# তারোকো, #পূর্ব উপকূল, #এশিয়ার পর্যটন, #প্রকৃতি# ভ্রমণ, #ভূমিকম্প,# হুয়ালিয়েন,# সিল্কস প্লেস,# সারাক্ষণ রিপোর্ট