ঢাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৭ রানে অলআউট করে ১৭৯ রানের বড় জয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।
স্পিনারদের শাসন: ১০ উইকেটই ঘূর্ণির ফাঁদে
২৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের স্পিনাররা একাই শিকার করেন প্রতিপক্ষের সব ১০ উইকেট।
বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন তিনটি করে উইকেট নেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করেন।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধস নেমে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন আকিল হোসেন। তবে দলের বড় লক্ষ্য তাড়ায় সেটি যথেষ্ট ছিল না। বাকি ব্যাটাররা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০.১ ওভারে ক্যারিবীয় দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৭ রানে।
ওপেনারদের জোড়া ইনিংসে রেকর্ড গড়া সংগ্রহ
এর আগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার গড়েন ১৭৬ রানের জুটি—যা মিরপুরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দীর্ঘতম উদ্বোধনী পার্টনারশিপগুলোর একটি।
সাইফ ৭২ বলে ৮২ রান করে আউট হন, ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও ছয়টি ছক্কা। সৌম্য ৯১ রান করে শতকের আগেই আউট হন, তিনি মারেন সাতটি চার ও চারটি ছক্কা।
সাত বছরের সেরা স্কোর
এই ইনিংসেই মিরপুরে শেষ সাত বছরে নিজেদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ—৮ উইকেটে ২৯৬ রান।
এছাড়া, এক ম্যাচে ১১ ছক্কা মেরে নতুন রেকর্ড গড়ে টাইগাররা; আগে এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল ১০ ছক্কা।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে হোসেনের আলো
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন চারটি ও উইকেট নেন, আর আলিক আতানাজে নেন দুটি। তবুও বাংলাদেশের বিশাল সংগ্রহ থামানো যায়নি।
ওপেনারদের ঝড়ো ইনিংস আর স্পিনারদের নিখুঁত বোলিং—দুই দিকেই আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ফিরেছে আত্মবিশ্বাস, এবং ঘরের মাঠে দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে যুক্ত হয়েছে আরেকটি স্মরণীয় সাফল্য।
# বাংলাদেশ_ক্রিকেট, ওয়ানডে_সিরিজ, ওয়েস্ট_ইন্ডিজ, নাসুম_আহমেদ, রিশাদ_হোসেন, সৌম্য_সরকার, সাইফ_হাসান, সারাক্ষণ_রিপোর্ট