১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানসিক সান্ত্বনার নতুন সহচর নাকি কেবল যান্ত্রিক প্রতিফলন? ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫২) পরবর্তী পাঁচ বছরে ঘরোয়া ভোগব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের ভয়াবহ এক আত্মজীবনী—যৌন নির্যাতন, ক্ষমতার অন্ধকার এবং এক নারীর করুণ লড়াইয়ের কাহিনি চীনের নারী দর্শকশক্তি বদলে দিচ্ছে দেশটির চলচ্চিত্রজগৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৫) ঢাকার অর্থনীতির ৫৬ শতাংশ উৎপাদন খাতে—ডিসিসিআই প্রতিবেদন শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ এশিয়া সফরে ট্রাম্প—চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে বড় বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা

লাতিন আমেরিকায় মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, যুদ্ধের হুমকি বলে অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

মার্কিন শক্তি প্রদর্শন ও আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে। লক্ষ্য বলা হচ্ছে মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা। ওয়াশিংটন এটাকে জাতীয় নিরাপত্তার অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরছে। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা বলছে, এটি নাকি একটি অজুহাত—মার্কিন নৌশক্তি কাছে টেনে এনে “যুদ্ধ বানিয়ে ফেলা”র প্রস্তুতি। এই মোতায়েন সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়া-প্যাসিফিকের মতো বড় শক্তির প্রতিযোগিতার থিয়েটারে দেখা যায়; এবার সেটি সরাসরি দক্ষিণমুখে ঘুরে যাচ্ছে।
একই সময়ে ওয়াশিংটন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে ব্যক্তিগতভাবে চাপে ফেলেছে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, পেত্রো কোকা চাষ এবং কোকেন রপ্তানি থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটি এখন সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যু, শুধু মাদকবিরোধী সহায়তা নয়। এতে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন ঐতিহ্যগত অংশীদারি মডেল—যেখানে দুই দেশ যৌথ অভিযান চালায়—তা এখন আর বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না।
ভেনেজুয়েলার পাল্টা অভিযোগ দ্রুতই রাজনৈতিক সুরে গেছে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র “মাদক দমন” শিরোনামে এমন এক সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে যেটা ভবিষ্যতে যে কোনো হস্তক্ষেপকে ন্যায্যতা দিতে ব্যবহার করা যাবে। ওই যুক্তি লাতিন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ জাতীয়তাবাদী আবেগকে ছুঁয়ে যায়: দীর্ঘদিনের অভিযোগ হলো, ওয়াশিংটন মাদক বা গণতন্ত্রের নামে সামরিকভাবে ঢুকে পড়ে।

বৃহত্তর কূটনীতি ও ঝুঁকি
এই পদক্ষেপ এমন এক মুহূর্তে এলো যখন মার্কিন নৌবাহিনী একই সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপে ব্যস্ত। ফলে ক্যারিয়ার গ্রুপ দক্ষিণে পাঠানো মানে মাদক রুট এখন সরাসরি কৌশলগত থ্রেট হিসেবে বিবেচিত। আঞ্চলিক কূটনীতিকদের মতে, এতে সমুদ্রসীমা ও আকাশসীমায় ভুল-বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়ে। একবার কোনো জাহাজ বা বিমানকে আগ্রাসী মনে করলে ব্যাপারটি খুব দ্রুত বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা ইতিমধ্যেই “যুদ্ধের নাটক” বলে অভিযোগ তুলেছে।
কলম্বিয়ার জন্যও মেসেজ স্পষ্ট: পেত্রো যদি মাদকের বিষয়ে ওয়াশিংটনের ভাষা না মানেন, তাহলে শুধু কটূক্তি নয়—তার নিজের ওপর আর্থিক ও রাজনৈতিক চাপও আসবে। বিশ্লেষকদের মতে, এখন থেকে মাদক পাচার আর শুধুই আইনশৃঙ্খলা ইস্যু থাকবে না; এটা হয়ে উঠছে কঠোর নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি ইস্যু।

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানসিক সান্ত্বনার নতুন সহচর নাকি কেবল যান্ত্রিক প্রতিফলন?

লাতিন আমেরিকায় মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, যুদ্ধের হুমকি বলে অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

০৮:১০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন শক্তি প্রদর্শন ও আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে। লক্ষ্য বলা হচ্ছে মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা। ওয়াশিংটন এটাকে জাতীয় নিরাপত্তার অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরছে। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা বলছে, এটি নাকি একটি অজুহাত—মার্কিন নৌশক্তি কাছে টেনে এনে “যুদ্ধ বানিয়ে ফেলা”র প্রস্তুতি। এই মোতায়েন সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়া-প্যাসিফিকের মতো বড় শক্তির প্রতিযোগিতার থিয়েটারে দেখা যায়; এবার সেটি সরাসরি দক্ষিণমুখে ঘুরে যাচ্ছে।
একই সময়ে ওয়াশিংটন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে ব্যক্তিগতভাবে চাপে ফেলেছে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, পেত্রো কোকা চাষ এবং কোকেন রপ্তানি থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটি এখন সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যু, শুধু মাদকবিরোধী সহায়তা নয়। এতে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন ঐতিহ্যগত অংশীদারি মডেল—যেখানে দুই দেশ যৌথ অভিযান চালায়—তা এখন আর বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না।
ভেনেজুয়েলার পাল্টা অভিযোগ দ্রুতই রাজনৈতিক সুরে গেছে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র “মাদক দমন” শিরোনামে এমন এক সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে যেটা ভবিষ্যতে যে কোনো হস্তক্ষেপকে ন্যায্যতা দিতে ব্যবহার করা যাবে। ওই যুক্তি লাতিন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ জাতীয়তাবাদী আবেগকে ছুঁয়ে যায়: দীর্ঘদিনের অভিযোগ হলো, ওয়াশিংটন মাদক বা গণতন্ত্রের নামে সামরিকভাবে ঢুকে পড়ে।

বৃহত্তর কূটনীতি ও ঝুঁকি
এই পদক্ষেপ এমন এক মুহূর্তে এলো যখন মার্কিন নৌবাহিনী একই সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপে ব্যস্ত। ফলে ক্যারিয়ার গ্রুপ দক্ষিণে পাঠানো মানে মাদক রুট এখন সরাসরি কৌশলগত থ্রেট হিসেবে বিবেচিত। আঞ্চলিক কূটনীতিকদের মতে, এতে সমুদ্রসীমা ও আকাশসীমায় ভুল-বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়ে। একবার কোনো জাহাজ বা বিমানকে আগ্রাসী মনে করলে ব্যাপারটি খুব দ্রুত বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা ইতিমধ্যেই “যুদ্ধের নাটক” বলে অভিযোগ তুলেছে।
কলম্বিয়ার জন্যও মেসেজ স্পষ্ট: পেত্রো যদি মাদকের বিষয়ে ওয়াশিংটনের ভাষা না মানেন, তাহলে শুধু কটূক্তি নয়—তার নিজের ওপর আর্থিক ও রাজনৈতিক চাপও আসবে। বিশ্লেষকদের মতে, এখন থেকে মাদক পাচার আর শুধুই আইনশৃঙ্খলা ইস্যু থাকবে না; এটা হয়ে উঠছে কঠোর নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি ইস্যু।