চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদের দুই উইকেটও ব্যর্থতার গ্লানি মোছাতে পারেনি, ফলে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
চট্টগ্রামের বীর শ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৬ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে অতিথিরা সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
উইন্ডিজের ইনিংস: হোপ ও পাওয়েলের দৃঢ়তা
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে তোলে ১৬৫ রান। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন অধিনায়ক শাই হোপ—২৮ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন তিনি। শেষদিকে রোভম্যান পাওয়েল ধীর সূচনা কাটিয়ে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে ওপেনার অ্যালিক আথানাজ করেন ৩৪ এবং ব্র্যান্ডন কিং যোগ করেন ৩৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ দুটি ও রিশাদ হোসেন একটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের রান তাড়া: পাওয়ারপ্লেতেই ধস
১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা উজ্জ্বল করলেও দ্রুত ছন্দ হারায়। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান মারেন এক ছক্কা ও এক চার, কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই তিনি আউট হন। এরপর লিটন দাস ও সাইফ হাসান দ্রুত ফিরে গেলে দল প্রথম পাওয়ারপ্লের মধ্যেই চার উইকেট হারায়।
তৌহিদ হৃদয় (২৮) ও তানজিম হাসান সাকিব (২৭ বলে ৩৩) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অল আউট হয় ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে।
উইন্ডিজ বোলারদের নৈপুণ্য
জেসন হোল্ডার ও জেডেন সিলস তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন, আর আকিল হোসেন নেন দুটি। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশের রান তাড়ার গতি থেমে যায় মাঝপথেই।

ম্যাচসেরা পাওয়েলের মন্তব্য
ম্যাচসেরা নির্বাচিত রোভম্যান পাওয়েল বলেন, “উইকেটটা শুরুতে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল। একসময় আমি ২০ বলে মাত্র ৭ রান করেছিলাম। তবে বিশ্বাস রেখেছিলাম, একবার ছন্দে ফিরলে বড় শট খেলতে পারব। আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম শেষ অবধি ব্যাট করতে, আর ১৮তম ওভার নাগাদ আমরা সেট হয়ে গিয়েছিলাম, তখনই রান বাড়াতে পেরেছি।”
লিটনের স্বীকারোক্তি
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, “ওরা প্রথম ১০ ওভারে দারুণ ব্যাট করেছে। উইকেট কিছুটা ধীর ছিল, তাই শুরুতেই উইকেট নিতে পারলে চাপ তৈরি হতো। কিন্তু আমরা পাওয়ারপ্লেতে অনেক উইকেট হারিয়েছি। শামীমের ব্যাটিং নিয়ে আমি হতাশ — তাকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে। শেষ ওভার বাদে আমরা ভালো বল করেছি, তবে ফিল্ডিংয়ে কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।”
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি একই মাঠে আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশ সিরিজে ফিরতে মরিয়া থাকবে। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে ৩১ অক্টোবর।
#বাংলাদেশক্রিকেট #ওয়েস্টইন্ডিজ #টি২০সিরিজ #চট্টগ্রাম #লিটনদাস #রোভম্যানপাওয়েল #তাসকিনআহমেদ #ক্রিকেটবিশ্লেষণ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















