এনভিডিয়ার রেকর্ড গড়া বাজারমূল্যের যাত্রা
প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া মঙ্গলবার ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসরের জন্য ইতিমধ্যেই ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বুক করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের জন্য তারা সাতটি নতুন সুপারকম্পিউটার নির্মাণ করবে।
এই ঘোষণার পর এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কোম্পানির বাজারমূল্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৮৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। দিনের এক পর্যায়ে তা ৪.৯৪ ট্রিলিয়ন ছুঁয়ে যায়—যা কোম্পানিটিকে বিশ্বের প্রথম ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যের প্রতিষ্ঠানের খুব কাছাকাছি নিয়ে যায়।
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে প্রশংসা, নতুন চুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা
ওয়াশিংটন ডিসিতে এক ডেভেলপার সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রযুক্তিনীতির প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি নতুন পণ্য উন্মোচন ও একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তির ঘোষণা দেন।
এনভিডিয়া বর্তমানে বৈশ্বিক এআই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যেও আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষর করছে—যে প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে নির্ধারণ করতে পারে কোন দেশের প্রযুক্তি বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করবে।

শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন: ২০২৫ সালে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি
সান্তা ক্লারা, ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই কোম্পানির শেয়ারমূল্য ২০২৫ সালে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো তাদের বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইয়ের পুনর্গঠন চুক্তি
একই সময়ে, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক মূল্যবান কোম্পানি মাইক্রোসফটের শেয়ারও ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তাদের বাজারমূল্য ৪.০৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই একটি পুনর্গঠন চুক্তি ঘোষণা করেছে, যার ফলে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি তার অলাভজনক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত করছে।
জ্বালানি বিভাগের জন্য সুপারকম্পিউটার
এনভিডিয়া যে সাতটি সুপারকম্পিউটার নির্মাণ করছে, তার একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। সবচেয়ে বড় সুপারকম্পিউটারটি তৈরি হবে ওরাকলের সঙ্গে যৌথভাবে, যেখানে থাকবে এনভিডিয়ার ১ লাখ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘ব্ল্যাকওয়েল’ এআই চিপ।
এনভিডিয়ার এই অগ্রযাত্রা শুধু কোম্পানির নয়, বরং বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারেরও এক যুগান্তকারী অধ্যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত বিকাশ, সরকারি বিনিয়োগ এবং বৃহৎ শিল্প চাহিদা এনভিডিয়াকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যেখানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হওয়ার প্রতিযোগিতায় শীর্ষে অবস্থান করছে।
#এনভিডিয়া, #শেয়ারবাজার, #কৃত্রিম_বুদ্ধিমত্তা, #যুক্তরাষ্ট্র, #জেনসেন_#হুয়াং, মাইক্রোসফট, ওপেনএআই, প্রযুক্তি_বিনিয়োগ, সুপারকম্পিউটার, ট্রাম্প_প্রশাসন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 




















