ভোররাতে ভয়াবহ গণপিটুনি
রবিবার ভোররাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাসিরাবাদ এলাকায় ঘটে এক মর্মান্তিক গণপিটুনির ঘটনা। গবাদিপশু চুরির সন্দেহে গ্রামবাসীর হাতে নিহত হয়েছেন তিনজন।
পুলিশ জানায়, রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আটজন সন্দেহভাজন চোর আব্দুস সালাম মিয়ার গরুর খামারে প্রবেশ করে গরু চুরির চেষ্টা করছিলেন।
গরুর খামার থেকে শুরু তাড়াহুড়ার পালা
গরুর খামার থেকে শব্দ শুনে সালাম চিৎকার করলে আশপাশের গ্রামবাসী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। অন্ধকারে শুরু হয় তীব্র ধাওয়া। চোরেরা পালানোর চেষ্টা করলেও তিনজনকে ধরে ফেলে জনতা এবং বাকি পাঁচজন পালিয়ে যায়।
ধৃত তিনজনকে স্থানীয়রা বেধড়ক মারধর করে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান এবং অপরজনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃতদের পরিচয় এখনো অজানা
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের পরিচয় শনাক্তে তদন্ত চলছে।
পুলিশের উপস্থিতি ও তদন্ত
গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “আইনের বাইরে গিয়ে কেউ বিচার করতে পারে না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।”
গ্রামে আতঙ্ক ও ক্ষোভ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এলাকায় গবাদিপশু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার পেছনে ওই হতাশাই মূল কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
পুলিশের কঠোর নজরদারি
ঘটনার পর থেকে পুলিশ টহল জোরদার করেছে এবং ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত শুরু হয়েছে। যারা পালিয়ে গেছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।
গণপিটুনিতে তিনজনের মৃত্যু আবারও প্রশ্ন তুলেছে, আইনের শাসনের পরিবর্তে আত্মবিচারের প্রবণতা কতটা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তারা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
#গাইবান্ধা #গোবিন্দগঞ্জ #গণপিটুনি #বাংলাদেশ #পুলিশতদন্ত #আইনেরশাসন #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















