০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বেতনা নদী: সাতক্ষীরা, খুলনার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক রত্ন আবার ফিরছে ‘গ্রেমলিনস’, ২০২৭ ছুটির মৌসুমে ওয়ার্নার ব্রসের ঘোষণা মৃত্যু বাই লাইটনিং: গারফিল্ড হত্যার রহস্য ও নাটক আত্মবিশ্বাসই মূলধন: ‘প্রিটি প্রিভিলেজ’ নিয়ে ফিরলেন আইস স্পাইস মিয়ামি বিচে এখন ১,০০০ ডলারে কী করা যায় জাপানে প্রতিবন্ধী কর্মীদের জন্য কোম্পানির সহায়তা বৃদ্ধি চেন জির প্রতারণার সাম্রাজ্য: কিভাবে কেপাম্বোডিয়া থেকে লন্ডন পর্যন্ত বিস্তার লাভ করলেন অভিযুক্ত অপরাধী ফিলিপাইনের পর ভিয়েতনামে আঘাত কালমেগির, জলবায়ু আলোচনায় নতুন চাপ K-pop ব্যান্ড NEWBEAT-এর “LOUDER THAN EVER”: একটি নতুন পথচলা

ভারতের হলুদ মটরশুঁটিতে নতুন আমদানি শুল্ক

শুল্ক আরোপের সরকারি ঘোষণা

ভারত সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে হলুদ মটরশুঁটির আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। বুধবার রাতে জারি করা সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব চালানের বিল-অব-লেডিং—পণ্য প্রেরণের নথি—২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর বা তার আগে ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো শুল্কমুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, নভেম্বরের আগে প্রেরিত চালানগুলোর ক্ষেত্রে নতুন কর প্রযোজ্য হবে না।


কৃষকদের চাপ ও সরকারের অবস্থান

এর আগে ভারত সরকার ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলুদ মটরশুঁটি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রেখেছিল। কিন্তু দেশীয় কৃষকরা অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদেশি সস্তা মটরশুঁটির ঢলে স্থানীয় বাজারের দামের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। তারা সরকারকে দ্রুত এই প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান।

কৃষকদের আশঙ্কা ছিল, শুল্কমুক্ত আমদানির কারণে দেশীয় উৎপাদনের দাম কমে গেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই বাজার রক্ষায় তারা আমদানিতে শুল্ক আরোপের দাবি তুলেছিলেন। সরকার তাদের এই দাবির প্রতিফলন হিসেবেই নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: আমদানির উৎস ও প্রভাব

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে বড় হলুদ মটরশুঁটি আমদানিকারক। দেশটি মূলত কানাডা ও রাশিয়া থেকে এই খাদ্যশস্য আমদানি করে থাকে।

নতুন শুল্ক কার্যকর হলে বিদেশি সরবরাহকারীরা ভারতীয় বাজারে কিছুটা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারেন, তবে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সম্ভাব্য প্রভাব ও বাজার বিশ্লেষণ

খাদ্যশস্য বিশ্লেষকদের মতে, ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে দেশীয় বাজারে হলুদ মটরশুঁটির দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ভর করবে দেশীয় উৎপাদনের পরিমাণ ও বিশ্ববাজারে সরবরাহের স্থিতির ওপর।

অন্যদিকে, কানাডা ও রাশিয়ার রপ্তানিকারকরা বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন। ভারত সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিটি ভবিষ্যতে পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।


#ভারত #আমদানি_শুল্ক #হলুদ_মটরশুঁটি #কৃষি_নীতি #কানাডা #রাশিয়া #বাণিজ্যনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ

ভারতের হলুদ মটরশুঁটিতে নতুন আমদানি শুল্ক

০৫:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

শুল্ক আরোপের সরকারি ঘোষণা

ভারত সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে হলুদ মটরশুঁটির আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। বুধবার রাতে জারি করা সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব চালানের বিল-অব-লেডিং—পণ্য প্রেরণের নথি—২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর বা তার আগে ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো শুল্কমুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, নভেম্বরের আগে প্রেরিত চালানগুলোর ক্ষেত্রে নতুন কর প্রযোজ্য হবে না।


কৃষকদের চাপ ও সরকারের অবস্থান

এর আগে ভারত সরকার ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলুদ মটরশুঁটি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রেখেছিল। কিন্তু দেশীয় কৃষকরা অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদেশি সস্তা মটরশুঁটির ঢলে স্থানীয় বাজারের দামের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। তারা সরকারকে দ্রুত এই প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান।

কৃষকদের আশঙ্কা ছিল, শুল্কমুক্ত আমদানির কারণে দেশীয় উৎপাদনের দাম কমে গেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই বাজার রক্ষায় তারা আমদানিতে শুল্ক আরোপের দাবি তুলেছিলেন। সরকার তাদের এই দাবির প্রতিফলন হিসেবেই নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: আমদানির উৎস ও প্রভাব

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে বড় হলুদ মটরশুঁটি আমদানিকারক। দেশটি মূলত কানাডা ও রাশিয়া থেকে এই খাদ্যশস্য আমদানি করে থাকে।

নতুন শুল্ক কার্যকর হলে বিদেশি সরবরাহকারীরা ভারতীয় বাজারে কিছুটা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারেন, তবে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সম্ভাব্য প্রভাব ও বাজার বিশ্লেষণ

খাদ্যশস্য বিশ্লেষকদের মতে, ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে দেশীয় বাজারে হলুদ মটরশুঁটির দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ভর করবে দেশীয় উৎপাদনের পরিমাণ ও বিশ্ববাজারে সরবরাহের স্থিতির ওপর।

অন্যদিকে, কানাডা ও রাশিয়ার রপ্তানিকারকরা বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন। ভারত সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিটি ভবিষ্যতে পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।


#ভারত #আমদানি_শুল্ক #হলুদ_মটরশুঁটি #কৃষি_নীতি #কানাডা #রাশিয়া #বাণিজ্যনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট