১০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বলিউডের ‘হক’ মুক্তি, আলোচনায় বাস্তব মামলার অনুপ্রেরণা তিন দফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা নারী নেতৃত্বের প্রতীক ন্যান্সি পেলোসি: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে বিদায় এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি পেঁয়াজ নিয়ে নতুন আতঙ্ক , সবজির দামে যখন মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আগুন, ভাঙচুর ও আহত ২০ জন কুষ্টিয়ায় করুণ ট্র্যাজেডি: অভাবের চাপে শিশুকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা আগে গণভোট, তারপর নির্বাচন: তাহেরের হুঁশিয়ারি গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ছয় বছরের শিশুর গুলিতে আহত শিক্ষিকাকে ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ

সংবিধান সংশোধন অবশ্যই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে: ড. কামাল

গণফোরামের এমেরিটাস প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের মতো স্পর্শকাতর প্রক্রিয়া অবশ্যই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সম্পন্ন হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, সংবিধান রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনামূলক দলিল হিসেবে জনগণের ঐক্য, মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।


সংবিধান জনগণের দিকনির্দেশনা — তাই সংশোধনে দরকার জনগণের মতামত

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও সংশোধন প্রস্তাব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণফোরাম।

ড. কামালের অনুরোধে তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো মিজানুর রহমান।


“সংবিধান স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি”

ড. কামাল বলেন, “সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার দিকনির্দেশনামূলক দলিল। গত ৫৩ বছরে এতে নানা পরিবর্তন এসেছে। এখন এটি পুনর্মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে কোনো সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমাদের মনে রাখতে হবে—সংবিধানই স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি, যা জাতির ঐক্যবদ্ধ আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের ফল।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ এককভাবে সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার রাখে না। যে কোনো সংশোধন প্রস্তাব অবশ্যই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং তা যেন জাতির মৌলিক মূল্যবোধ ও বর্তমান সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।”


“একনায়কতান্ত্রিক প্রবণতার জন্য সংবিধান নয়, দায় রাজনৈতিক চর্চার”

ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকারের একনায়কতান্ত্রিক আচরণ বা গণতন্ত্রের অভাবের জন্য সংবিধানকে দায়ী করা ভুল। তিনি বলেন, “বরং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চাই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সংবিধানসম্মত প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে রাজনৈতিককরণের কারণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এখন জরুরি।”


“জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না”

ড. কামাল সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে না পারে, তবে গণতন্ত্র কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে না।


ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ

ড. কামাল হোসেন আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পরবর্তী জাতীয় সংসদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এটি পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়নিষ্ঠ, অগ্রসর ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”


#সংবিধান #ডকামালহোসেন #গণফোরাম #গণতন্ত্র #বাংলাদেশ #রাজনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

বলিউডের ‘হক’ মুক্তি, আলোচনায় বাস্তব মামলার অনুপ্রেরণা

সংবিধান সংশোধন অবশ্যই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে: ড. কামাল

০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

গণফোরামের এমেরিটাস প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের মতো স্পর্শকাতর প্রক্রিয়া অবশ্যই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সম্পন্ন হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, সংবিধান রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনামূলক দলিল হিসেবে জনগণের ঐক্য, মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।


সংবিধান জনগণের দিকনির্দেশনা — তাই সংশোধনে দরকার জনগণের মতামত

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও সংশোধন প্রস্তাব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণফোরাম।

ড. কামালের অনুরোধে তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো মিজানুর রহমান।


“সংবিধান স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি”

ড. কামাল বলেন, “সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার দিকনির্দেশনামূলক দলিল। গত ৫৩ বছরে এতে নানা পরিবর্তন এসেছে। এখন এটি পুনর্মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে কোনো সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমাদের মনে রাখতে হবে—সংবিধানই স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি, যা জাতির ঐক্যবদ্ধ আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের ফল।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ এককভাবে সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার রাখে না। যে কোনো সংশোধন প্রস্তাব অবশ্যই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং তা যেন জাতির মৌলিক মূল্যবোধ ও বর্তমান সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।”


“একনায়কতান্ত্রিক প্রবণতার জন্য সংবিধান নয়, দায় রাজনৈতিক চর্চার”

ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকারের একনায়কতান্ত্রিক আচরণ বা গণতন্ত্রের অভাবের জন্য সংবিধানকে দায়ী করা ভুল। তিনি বলেন, “বরং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চাই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সংবিধানসম্মত প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে রাজনৈতিককরণের কারণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এখন জরুরি।”


“জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না”

ড. কামাল সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে না পারে, তবে গণতন্ত্র কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে না।


ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ

ড. কামাল হোসেন আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পরবর্তী জাতীয় সংসদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এটি পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়নিষ্ঠ, অগ্রসর ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”


#সংবিধান #ডকামালহোসেন #গণফোরাম #গণতন্ত্র #বাংলাদেশ #রাজনীতি