উৎসবের সমাপনীতে মধ্যপ্রাচ্যের জয়
জাপানের রাজধানীতে ১০ দিনের আয়োজিত ৩৮তম টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামল বুধবার, আর শুক্রবার সব অতিথি বিদায় নেওয়ার সময় আয়োজকেরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন — এবারের শীর্ষ পুরস্কার গেল আলিয়া হামদানের ফিল্ম ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’-এর ঝুলিতে। ছবিতে এক তরুণ সাংবাদিক রামাল্লার দৈনন্দিন জীবন ৩৬টি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তে বন্দি করেন; যুদ্ধ বা সংঘাতের দৃশ্য না দেখিয়েই দখলের উপস্থিতি অনুভব করিয়ে দেওয়াই ছিল নির্মাতার কৌশল। জুরি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভার আর সৌন্দর্যময় গল্পকথনের ভারসাম্যই ছবিটিকে এগিয়ে দিয়েছে। টোকিওর হিবিয়া ও গিনজা অঞ্চলের একাধিক হলে চলা এবারের আসরে ১৮৪টি চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে, আর উপস্থিতিতে ছিল ফরাসি তারকা জুলিয়েট বিনোশ থেকে শুরু করে চীনা অভিনেত্রী ফ্যান বিংবিং — যা উৎসবকে স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক রূপ দিয়েছে।
এশীয় বাজারের জন্য বার্তা
মধ্যপ্রাচ্য কিংবা উত্তর আফ্রিকার প্রযোজকদের জন্য টোকিওর এই পুরস্কার মানে ইউরোপের শীতকালীন উৎসবগুলোর আগে ভালো পরিচিতি ও বিক্রির সম্ভাবনা। নির্বাচকরা বলেছেন, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ এতগুলো ছবির মধ্যে আলাদা হয়েছে কারণ এটি দখলকে কেন্দ্র করে কিন্তু চরিত্রকে সামনে রেখেছে, আর সাংবাদিক হিসেবে নারী চরিত্র ব্যবহার করে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ এনেছে। জাপানি প্রযোজকেরা মনে করছেন, এই জয়ের ফলে স্থানীয় সিনেমা বাজারেও রাজনৈতিকভাবে নির্দিষ্ট গল্প বলার সাহস বাড়বে, কারণ দর্শক প্রমাণ করলেন তারা এমন ছবি দেখতে সিনেমা হলে ফিরতে রাজি। ৭ নভেম্বর উৎসব শেষ হওয়ায় নভেম্বর জুড়ে বাসান-পরবর্তী আলোচনায় ও আমেরিকান ফিল্ম মার্কেটে এই ছবিগুলোর ক্রেতা পাওয়ার সুযোগও বাড়বে। সব মিলিয়ে টোকিও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ২০২৬ সালেও এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন ধরে রাখার শক্তি দিচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















