০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
২০২৫ সালের ১০০ প্রভাবশালী জলবায়ু-অভিযান নেতা: বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে ব্যবসার নতুন অঙ্গীকার আনিসিমোভার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন: রিবাকিনা সেমিফাইনালে জায়গা পেলেন বেসামরিক যুদ্ধে ভেটেরানদের জন্য বিক্রিত শিল্পের উত্থান ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ দুর্ঘটনা: তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম মেক্সিকো: রাষ্ট্রপতি শেইনবাউমের প্রতি শারীরিক নির্যাতন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লুলার ‘সত্যের COP’ প্রতিশ্রুতি: জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিপদে — কংগ্রেসের রাজস্ব ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের দাবি জোরালো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বড় অগ্রগতি: পোকরোভস্ক দখলের দ্বারপ্রান্তে কুইন্স: প্রবাসী নারীদের জীবনের টানাপোড়েন ও আত্মসংগ্রামের নাটক মার্কিন ধনী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত: ব্যক্তিগত শেয়ার ব্যবসায় প্রবেশ করল চার্লস শোয়াব

বিহারের অর্থনৈতিক উন্নতি কি সত্যিই দেশের বাকি অংশের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে?

অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিহার

বিহারের অর্থনৈতিক ভিত্তি তুলনামূলকভাবে ছোট, ফলে এর প্রবৃদ্ধির হার অনেক সময় বাস্তবের তুলনায় বেশি প্রভাবশালী মনে হতে পারে। নির্বাচনের প্রাক্কালে মূল প্রশ্ন হলো: বিহার কি সত্যিই ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে উন্নয়নের ব্যবধান কমাতে পেরেছে?

বিহারের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে দুটি বিপরীত মতামত রয়েছে। একদিকে অনেকে মনে করেন রাজ্যটি এখনও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে, অন্যদিকে কেউ কেউ বলেন, বিহারের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সাফল্য তার পুরোনো ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই নয়। আসল চিত্রটা কী?

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের Handbook of Statistics on Indian States থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। বিশ্লেষণে বিহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ছয়টি রাজ্যের: মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।


মোট অর্থনৈতিক উৎপাদন: বেড়েছে, তবে ব্যবধান রয়ে গেছে

বিহারের বাস্তব স্থূল রাজ্য গার্হস্থ্য উৎপাদন (Real GSDP) ২০১১-১২ অর্থবছরে ২.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৪ লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, বারো বছরে রাজ্যের মোট উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এটি কেমন?
২০১১-১২ সালে মহারাষ্ট্রের অর্থনীতি ছিল বিহারের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বড়। কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে (যেমন পশ্চিমবঙ্গ) ব্যবধান কিছুটা কমেছে, কিন্তু মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবের সঙ্গে ব্যবধান প্রায় একই রয়ে গেছে। অপরদিকে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ তাদের উৎপাদন আরও বেশি বাড়িয়েছে, ফলে ব্যবধান উল্টো বেড়েছে।

গুজরাটের ক্ষেত্রে, ২০১১-১২ সালে রাজ্যটির অর্থনীতি বিহারের চেয়ে প্রায় ২.৫ গুণ বড় ছিল, কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে তা তিন গুণেরও বেশি হয়েছে।


মাথাপিছু আয়: ব্যবধান আরও বেড়েছে

অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রকৃত চিত্র জানতে হলে মাথাপিছু আয় দেখা জরুরি। বিহারের বাস্তব নিট রাজ্য গার্হস্থ্য উৎপাদন (Real NSDP) অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় ২০১১-১২ সালে ছিল ২১,৭৫০ টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৩২,১৭৪ টাকায়।

তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বিহার এখনও পিছিয়ে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কেরালা ২০১১-১২ সালে বিহারের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে প্রায় ৪.৫ গুণ এগিয়ে ছিল; এখন ব্যবধান আরও বেড়ে ৫ গুণের বেশি হয়েছে।
অর্থাৎ, ২০২৩-২৪ সালে একজন গড় বিহারবাসীর আর্থিক অবস্থা ২০১১-১২ সালের তুলনায় তুলনামূলকভাবে আরও দুর্বল।


জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

বিহারের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে অন্যতম বাধা হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ২০২১ সালের জনগণনা বিলম্বিত হলেও অনুমান অনুযায়ী, গত এক দশকে বিহারের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮.২ %, যেখানে কেরালার বৃদ্ধি মাত্র ৬.২ %।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রায় ১৫.৬ % হলেও, তাদের মাথাপিছু আয় বিহারের চেয়ে বেশি হয়েছে—যা উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যকারিতা বোঝায়।


উৎপাদন খাত: তুলনামূলক উন্নতি

চাকরির সুযোগ ও শিল্পায়নের জন্য উৎপাদন খাতের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০১১-১২ সালে বিহারের উৎপাদন খাতের বাস্তব নিট রাজ্য সংযোজিত মূল্য (Real NSVA) ছিল ১২,৬৮১ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ৩১,১১০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

যদিও এই অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম, তবু বিহার এই খাতে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা কমাতে পেরেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১১-১২ সালে মহারাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের আয় ছিল বিহারের তুলনায় ১৬.৩ গুণ বেশি, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ গুণে।
তবে গুজরাটের ক্ষেত্রে ব্যবধান উল্টো বেড়েছে।


অন্য রাজ্যগুলোর মন্দা কি বিহারকে এগিয়ে দিচ্ছে?

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো: বিহারের উৎপাদন খাতে অগ্রগতি যেমন কিছুটা ইতিবাচক, তেমনই অন্য রাজ্যগুলোর উৎপাদন খাতে মন্থরতা বিহারের ব্যবধান কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
যেমন, মহারাষ্ট্রে ২০১৭-১৮ সালে উৎপাদন খাতের আয় ছিল ৩.২৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২১ লক্ষ কোটি টাকায়।


উন্নয়নের বাস্তবতা ও বিভ্রম

বিহারের উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার অনেকাংশে তার ছোট অর্থনৈতিক ভিত্তির ফল। সংখ্যায় প্রবৃদ্ধি দেখালেও, বাস্তবে রাজ্যটি এখনও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।

উৎপাদন খাতে কিছু উন্নতি চোখে পড়লেও, তা মূলত অন্য রাজ্যগুলোর মন্দার ফল হতে পারে।
অতএব, বিহারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকাংশেই ‘পরিসংখ্যানের বিভ্রম’—বাস্তব উন্নয়নের চেয়ে সংখ্যার খেলাই এখানে বেশি প্রভাবশালী।


#বিহার #ভারত #অর্থনীতি #উন্নয়ন #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট #অর্থনৈতিক_বিশ্লেষণ

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৫ সালের ১০০ প্রভাবশালী জলবায়ু-অভিযান নেতা: বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে ব্যবসার নতুন অঙ্গীকার

বিহারের অর্থনৈতিক উন্নতি কি সত্যিই দেশের বাকি অংশের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে?

১২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিহার

বিহারের অর্থনৈতিক ভিত্তি তুলনামূলকভাবে ছোট, ফলে এর প্রবৃদ্ধির হার অনেক সময় বাস্তবের তুলনায় বেশি প্রভাবশালী মনে হতে পারে। নির্বাচনের প্রাক্কালে মূল প্রশ্ন হলো: বিহার কি সত্যিই ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে উন্নয়নের ব্যবধান কমাতে পেরেছে?

বিহারের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে দুটি বিপরীত মতামত রয়েছে। একদিকে অনেকে মনে করেন রাজ্যটি এখনও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে, অন্যদিকে কেউ কেউ বলেন, বিহারের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সাফল্য তার পুরোনো ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই নয়। আসল চিত্রটা কী?

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের Handbook of Statistics on Indian States থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। বিশ্লেষণে বিহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ছয়টি রাজ্যের: মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।


মোট অর্থনৈতিক উৎপাদন: বেড়েছে, তবে ব্যবধান রয়ে গেছে

বিহারের বাস্তব স্থূল রাজ্য গার্হস্থ্য উৎপাদন (Real GSDP) ২০১১-১২ অর্থবছরে ২.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৪ লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, বারো বছরে রাজ্যের মোট উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এটি কেমন?
২০১১-১২ সালে মহারাষ্ট্রের অর্থনীতি ছিল বিহারের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বড়। কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে (যেমন পশ্চিমবঙ্গ) ব্যবধান কিছুটা কমেছে, কিন্তু মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবের সঙ্গে ব্যবধান প্রায় একই রয়ে গেছে। অপরদিকে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ তাদের উৎপাদন আরও বেশি বাড়িয়েছে, ফলে ব্যবধান উল্টো বেড়েছে।

গুজরাটের ক্ষেত্রে, ২০১১-১২ সালে রাজ্যটির অর্থনীতি বিহারের চেয়ে প্রায় ২.৫ গুণ বড় ছিল, কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে তা তিন গুণেরও বেশি হয়েছে।


মাথাপিছু আয়: ব্যবধান আরও বেড়েছে

অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রকৃত চিত্র জানতে হলে মাথাপিছু আয় দেখা জরুরি। বিহারের বাস্তব নিট রাজ্য গার্হস্থ্য উৎপাদন (Real NSDP) অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় ২০১১-১২ সালে ছিল ২১,৭৫০ টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৩২,১৭৪ টাকায়।

তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বিহার এখনও পিছিয়ে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কেরালা ২০১১-১২ সালে বিহারের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে প্রায় ৪.৫ গুণ এগিয়ে ছিল; এখন ব্যবধান আরও বেড়ে ৫ গুণের বেশি হয়েছে।
অর্থাৎ, ২০২৩-২৪ সালে একজন গড় বিহারবাসীর আর্থিক অবস্থা ২০১১-১২ সালের তুলনায় তুলনামূলকভাবে আরও দুর্বল।


জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

বিহারের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে অন্যতম বাধা হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ২০২১ সালের জনগণনা বিলম্বিত হলেও অনুমান অনুযায়ী, গত এক দশকে বিহারের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮.২ %, যেখানে কেরালার বৃদ্ধি মাত্র ৬.২ %।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রায় ১৫.৬ % হলেও, তাদের মাথাপিছু আয় বিহারের চেয়ে বেশি হয়েছে—যা উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যকারিতা বোঝায়।


উৎপাদন খাত: তুলনামূলক উন্নতি

চাকরির সুযোগ ও শিল্পায়নের জন্য উৎপাদন খাতের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০১১-১২ সালে বিহারের উৎপাদন খাতের বাস্তব নিট রাজ্য সংযোজিত মূল্য (Real NSVA) ছিল ১২,৬৮১ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ৩১,১১০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

যদিও এই অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম, তবু বিহার এই খাতে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা কমাতে পেরেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১১-১২ সালে মহারাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের আয় ছিল বিহারের তুলনায় ১৬.৩ গুণ বেশি, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ গুণে।
তবে গুজরাটের ক্ষেত্রে ব্যবধান উল্টো বেড়েছে।


অন্য রাজ্যগুলোর মন্দা কি বিহারকে এগিয়ে দিচ্ছে?

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো: বিহারের উৎপাদন খাতে অগ্রগতি যেমন কিছুটা ইতিবাচক, তেমনই অন্য রাজ্যগুলোর উৎপাদন খাতে মন্থরতা বিহারের ব্যবধান কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
যেমন, মহারাষ্ট্রে ২০১৭-১৮ সালে উৎপাদন খাতের আয় ছিল ৩.২৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২১ লক্ষ কোটি টাকায়।


উন্নয়নের বাস্তবতা ও বিভ্রম

বিহারের উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার অনেকাংশে তার ছোট অর্থনৈতিক ভিত্তির ফল। সংখ্যায় প্রবৃদ্ধি দেখালেও, বাস্তবে রাজ্যটি এখনও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।

উৎপাদন খাতে কিছু উন্নতি চোখে পড়লেও, তা মূলত অন্য রাজ্যগুলোর মন্দার ফল হতে পারে।
অতএব, বিহারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকাংশেই ‘পরিসংখ্যানের বিভ্রম’—বাস্তব উন্নয়নের চেয়ে সংখ্যার খেলাই এখানে বেশি প্রভাবশালী।


#বিহার #ভারত #অর্থনীতি #উন্নয়ন #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট #অর্থনৈতিক_বিশ্লেষণ