০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
চার দশকের সংঘাতের অবসানে তুরস্কের বড় পদক্ষেপ — পিকেকে যোদ্ধাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি বিশ্ববাজারে ওয়াইন বিক্রিতে ধাক্কা, মার্কিন ও চীনা বাজারে মন্দা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা, মানসিক যুদ্ধ থেকে বাঁচবে কীভাবে? ২০২৫ সালের ১০০ প্রভাবশালী জলবায়ু-অভিযান নেতা: বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে ব্যবসার নতুন অঙ্গীকার আনিসিমোভার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন: রিবাকিনা সেমিফাইনালে জায়গা পেলেন বেসামরিক যুদ্ধে ভেটেরানদের জন্য বিক্রিত শিল্পের উত্থান ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ দুর্ঘটনা: তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম মেক্সিকো: রাষ্ট্রপতি শেইনবাউমের প্রতি শারীরিক নির্যাতন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লুলার ‘সত্যের COP’ প্রতিশ্রুতি: জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিপদে — কংগ্রেসের রাজস্ব ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের দাবি জোরালো

ভারতের কেরালা সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলা: আরও এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তার গ্রেপ্তার

কেরালার সাবরিমালা আয়্যাপ্পা মন্দিরে স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) বৃহস্পতিবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম কে. এস. বাইজু, যিনি ত্রাভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ডের (টিডিবি) সাবেক কর্মকর্তা।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে মন্দিরের দ্বারপালক মূর্তির ওপর থাকা স্বর্ণমণ্ডিত তামার ফলকগুলো খুলে নেওয়ার সময় বাইজু ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার অনুপস্থিতিতে কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা কর্মীকে ওই কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়োগও দেননি।

এই মামলায় বাইজু হচ্ছেন সপ্তম অভিযুক্ত। বর্তমানে তাকে তিরুবনন্তপুরমের অপরাধ শাখা দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার তাকে বিচার বিভাগীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।


দুই কর্মকর্তাকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন

এসআইটি জানিয়েছে, তারা আরও দুই সাবেক সাবরিমালা কর্মকর্তাকে ফের হেফাজতে নিতে চায়। তদন্তকারীদের মতে, মন্দিরের স্থাপত্য কাঠামোতে কিছু অমিল ধরা পড়েছে, যা যাচাইয়ের জন্য তাদের আরও সময় প্রয়োজন। এ জন্য আদালতে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।


স্বর্ণের পরিমাণ নির্ধারণে প্রযুক্তির ব্যবহার

তদন্ত দল ১৯৯৮ সালে বিজয় মালিয়া কর্তৃক মন্দিরে দান করা মূল স্বর্ণমণ্ডিত ফলকগুলোর স্বর্ণের পরিমাণ নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দিরের ছাদ ও অন্যান্য অংশে থাকা ফলক পরীক্ষা করে মূল ফলকগুলোর সঙ্গে ২০১৯ সালে পুনঃস্থাপন করা ফলকের ধাতব উপাদানের তুলনা করা হবে।

এই তুলনার মাধ্যমে বোঝা যাবে, পুনঃস্থাপনকৃত ফলকগুলোতে কতটুকু আসল স্বর্ণ ব্যবহার হয়েছে এবং কোনো আত্মসাত ঘটেছে কি না।


এক্স-রে প্রযুক্তির মাধ্যমে অক্ষত পরীক্ষা

এসআইটি কর্মকর্তাদের মতে, তারা এমন এক্স-রে ভিত্তিক পোর্টেবল ধাতু বিশ্লেষণ যন্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে, যা কোনো প্রকার ক্ষতি না করেই স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয় করতে সক্ষম। এই পদ্ধতিতে স্বর্ণের অখণ্ডতা বজায় রেখে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।


সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলার তদন্ত ক্রমেই গভীর হচ্ছে। নতুন অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও প্রযুক্তিনির্ভর পরীক্ষার উদ্যোগ ইঙ্গিত দিচ্ছে, এসআইটি এবার মন্দিরের ফলকগুলোর আসল স্বর্ণের পরিমাণ ও আত্মসাতের মাত্রা নির্ধারণে একধাপ এগোচ্ছে।


#সাবরিমালা_স্বর্ণ_মামলা #কেরালা #এসআইটি #দেবস্বম_বোর্ড #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

চার দশকের সংঘাতের অবসানে তুরস্কের বড় পদক্ষেপ — পিকেকে যোদ্ধাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি

ভারতের কেরালা সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলা: আরও এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১২:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তার গ্রেপ্তার

কেরালার সাবরিমালা আয়্যাপ্পা মন্দিরে স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) বৃহস্পতিবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম কে. এস. বাইজু, যিনি ত্রাভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ডের (টিডিবি) সাবেক কর্মকর্তা।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে মন্দিরের দ্বারপালক মূর্তির ওপর থাকা স্বর্ণমণ্ডিত তামার ফলকগুলো খুলে নেওয়ার সময় বাইজু ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার অনুপস্থিতিতে কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা কর্মীকে ওই কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়োগও দেননি।

এই মামলায় বাইজু হচ্ছেন সপ্তম অভিযুক্ত। বর্তমানে তাকে তিরুবনন্তপুরমের অপরাধ শাখা দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার তাকে বিচার বিভাগীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।


দুই কর্মকর্তাকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন

এসআইটি জানিয়েছে, তারা আরও দুই সাবেক সাবরিমালা কর্মকর্তাকে ফের হেফাজতে নিতে চায়। তদন্তকারীদের মতে, মন্দিরের স্থাপত্য কাঠামোতে কিছু অমিল ধরা পড়েছে, যা যাচাইয়ের জন্য তাদের আরও সময় প্রয়োজন। এ জন্য আদালতে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।


স্বর্ণের পরিমাণ নির্ধারণে প্রযুক্তির ব্যবহার

তদন্ত দল ১৯৯৮ সালে বিজয় মালিয়া কর্তৃক মন্দিরে দান করা মূল স্বর্ণমণ্ডিত ফলকগুলোর স্বর্ণের পরিমাণ নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দিরের ছাদ ও অন্যান্য অংশে থাকা ফলক পরীক্ষা করে মূল ফলকগুলোর সঙ্গে ২০১৯ সালে পুনঃস্থাপন করা ফলকের ধাতব উপাদানের তুলনা করা হবে।

এই তুলনার মাধ্যমে বোঝা যাবে, পুনঃস্থাপনকৃত ফলকগুলোতে কতটুকু আসল স্বর্ণ ব্যবহার হয়েছে এবং কোনো আত্মসাত ঘটেছে কি না।


এক্স-রে প্রযুক্তির মাধ্যমে অক্ষত পরীক্ষা

এসআইটি কর্মকর্তাদের মতে, তারা এমন এক্স-রে ভিত্তিক পোর্টেবল ধাতু বিশ্লেষণ যন্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে, যা কোনো প্রকার ক্ষতি না করেই স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয় করতে সক্ষম। এই পদ্ধতিতে স্বর্ণের অখণ্ডতা বজায় রেখে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।


সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলার তদন্ত ক্রমেই গভীর হচ্ছে। নতুন অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও প্রযুক্তিনির্ভর পরীক্ষার উদ্যোগ ইঙ্গিত দিচ্ছে, এসআইটি এবার মন্দিরের ফলকগুলোর আসল স্বর্ণের পরিমাণ ও আত্মসাতের মাত্রা নির্ধারণে একধাপ এগোচ্ছে।


#সাবরিমালা_স্বর্ণ_মামলা #কেরালা #এসআইটি #দেবস্বম_বোর্ড #সারাক্ষণ_রিপোর্ট