যুক্তরাষ্ট্রের এক কোম্পানি ব্রাজিলের কুখ্যাত রিও পুলিশ ইউনিট বোপেকে (BOPE) স্নাইপার রাইফেল বিক্রি করেছিল—একটি চুক্তি যা ২০২৩ সালে চূড়ান্ত হলেও পররাষ্ট্র দপ্তরের আপত্তির মধ্যেই ২০২৪ সালে অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা হয়। সাম্প্রতিক অভিযানে বোপের হাতে ১২১ জন নিহত হওয়ার পর এই চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিতর্কিত অস্ত্রচুক্তি ও মার্কিন ভূমিকা
রয়টার্সের প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, জর্জিয়ার ড্যানিয়েল ডিফেন্স এলএলসি নামের কোম্পানি থেকে ২০টি স্নাইপার রাইফেল কেনে বোপে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ ব্যাগলি ও কয়েকজন কূটনীতিক এই বিক্রির বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন দেওয়া হয়।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর এই ইউনিটটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কুখ্যাত। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সংস্থা বলছে, সাম্প্রতিক অভিযানে বহু হত্যাকাণ্ড বেআইনি হতে পারে।
সাইলেন্সার ও প্রশাসনিক বিতর্ক
রাইফেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের গ্রিফিন আর্মামেন্ট কোম্পানির তৈরি সাইলেন্সারও কেনা হয়েছিল। প্রথমে মার্কিন সরকার পাঠানোর অনুমতি স্থগিত করলেও পরে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত নয়।
২০২৫ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের মানবাধিকারসংক্রান্ত রপ্তানি বিধি প্রত্যাহার করেন। এরপর মুখপাত্র জানান, “এখন মিত্র দেশগুলো অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাবে।”
উদ্বেগ ও সমর্থনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, বোপে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও সন্দেহভাজনদের হত্যা করছে। তবে জরিপে দেখা গেছে, রিওর ৬২ শতাংশ বাসিন্দা বোপের অভিযানে সমর্থন জানিয়েছেন।
২০২২ সালের ‘ভিলা ক্রুজেইরো হত্যাযজ্ঞে’ ২৩ জনকে হত্যার অভিযোগেও বোপে জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















