উদ্বেগজনক পরিস্থিতি অব্যাহত
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে সিরিয়ায় অন্তত ৯৭ জন মানুষকে অপহরণ করা হয়েছে বা তারা নিখোঁজ হয়েছেন। সংস্থাটি বলেছে, দেশটিতে নতুন করে জোরপূর্বক গুমের ঘটনাও ঘটছে, এবং প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) মুখপাত্র তাসলিম আল-কিতান জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সিরিয়ায় পূর্ববর্তী সরকারের পতনের ১১ মাস পরেও আমরা উদ্বেগজনক সংখ্যক অপহরণ ও গুমের খবর পাচ্ছি।”
আসাদের পতনের পরও অস্থিতিশীলতা
গত বছর মাত্র ১১ দিনের অভিযানে ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দেশটির দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তবে তার শাসনামলে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেসবের ন্যায়বিচার এখনো অনেকের কাছে অমীমাংসিত।

জাতিসংঘ বলেছে, আসাদ সরকারের সময় যেসব ১ লাখের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাদের বিষয়ে এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য মেলেনি। সরকারের পতনের পর কিছু পরিবার তাদের প্রিয়জনকে ফিরে পেলেও অসংখ্য মানুষ এখনো জানে না তাদের স্বজনদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।
সহিংসতা ও ভয়—তদন্তে বাধা
মানবাধিকার দফতর জানায়, দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো অস্থির। উপকূলীয় এলাকা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়েইদা’য় নতুন করে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, যা নিখোঁজদের সন্ধান ও অনুসন্ধান কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। অনেকেই ভয় পাচ্ছেন জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বললে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
তাসলিম আল-কিতান আরও বলেন, “কিছু মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছেন।”

উদ্ধারকর্মীর নিখোঁজের ঘটনা
জাতিসংঘ বিশেষভাবে সিরিয়া সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেটস) স্বেচ্ছাসেবক হামজা আল-আমারিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেছে। গত ১৬ জুলাই সুয়েইদা’য় সহিংসতার সময় মানবিক উদ্ধার মিশনে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিখোঁজ হন। জাতিসংঘ তার খোঁজে আন্তর্জাতিক আইন মেনে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ন্যায়বিচার কমিশন গঠনের ঘোষণা
এ বছরের মে মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি ঘোষণা দেয়, আসাদ পরিবারের শাসনামলে সংঘটিত অপরাধ তদন্ত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে দুটি নতুন কমিশন গঠন করা হবে।
#সিরিয়া #জাতিসংঘ #মানবাধিকার #গুম #আসাদ_সরকার #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















