০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

শেয়ারবাজার চাঙ্গা, কিন্তু ভোক্তা আস্থায় ‘দুই আমেরিকা’

সম্পদ বাড়ার মনস্তত্ত্ব
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পরিবার শেয়ারে বিনিয়োগ করে এবং বিশেষ করে এ বছরের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিগুলোর উত্থান থেকে লাভবান হয়েছে, তারা এখন ঘর সাজানো, ভ্রমণ বা দানখয়রাত—সবকিছুর ক্ষেত্রেই হাত খুলে খরচ করছে। কারণ শেয়ারের দাম বাড়লে ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা না এলেও মানসিকভাবে মানুষ নিজেকে সমৃদ্ধ মনে করে এবং খরচের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, এত বড় উল্লম্ফনের সুফল আসলে অল্প কয়েকটি আয়ের স্তরেই আটকে আছে; বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত এখনো মুদ্রাস্ফীতি, বাড়িভাড়া বা স্বাস্থ্যসেবার উচ্চ ব্যয় নিয়েই বেশি চিন্তিত। ফলে একই সময়ে যখন বিলাসপণ্যের বিক্রি বাড়ছে, তখন ডিসকাউন্ট স্টোরগুলো বলছে গ্রাহকরা আগের মতো ঝাঁপাচ্ছে না। নীতিনির্ধারকেরাও তাই একসঙ্গে দুটি চিত্র দেখতে পাচ্ছেন—সংখ্যাগুলো বলছে ব্যয় আছে, কিন্তু জরিপে মানুষ বলছে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা নিশ্চিন্ত নয়।
আগামী বছরের কৌশলে প্রভাব
এই বিভাজন ব্যবসা ও নগর অর্থনীতির জন্য স্পষ্ট বার্তা বহন করে। যাদের পোর্টফোলিও ফুলে উঠেছে, তারা এখন অভিজ্ঞতামুখী ব্যয়ে আগ্রহী—দামি খাবার, ভ্রমণ, স্মার্ট হোম বা ইলেকট্রিক গাড়ি—সবকিছুতেই; তাদের কাছে দাম দ্বিতীয় বিবেচনা। অন্যদিকে মধ্য ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো বেশি করে ছাড় খুঁজছে, মেরামত পিছিয়ে দিচ্ছে বা কিস্তিতে যাচ্ছি কি না তা হিসাব করছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, কিছু ধনী পরিবার শেয়ার থেকে অর্জিত বাড়তি সম্পদ দিয়ে স্থানীয় সামাজিক উদ্যোগেও দান করছে, যা সমাজে একটি ইতিবাচক স্রোত তৈরি করে। কিন্তু সবটাই দাঁড়িয়ে আছে সীমিত কয়েকটি ভিত্তির ওপর—বাজারের উঁচু মূল্যায়ন, এআই শেয়ারের টিকে থাকা, আর সুদের হার কমার প্রত্যাশা। এর যেকোনো একটি নড়ে গেলে এখনকার “আমি ভালো আছি” ধরনের ব্যয় খুব দ্রুতই গুটিয়ে যেতে পারে। তাই ২০২৫ সালের এই আর্থিক পুনরুদ্ধারকে অনেকেই বলছেন “অ্যাসেট-চালিত” পুনরুদ্ধার—যেখানে বেতন নয়, মূলধনের মূল্যই মানুষের আচরণ নির্ধারণ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

শেয়ারবাজার চাঙ্গা, কিন্তু ভোক্তা আস্থায় ‘দুই আমেরিকা’

০৬:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

সম্পদ বাড়ার মনস্তত্ত্ব
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পরিবার শেয়ারে বিনিয়োগ করে এবং বিশেষ করে এ বছরের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিগুলোর উত্থান থেকে লাভবান হয়েছে, তারা এখন ঘর সাজানো, ভ্রমণ বা দানখয়রাত—সবকিছুর ক্ষেত্রেই হাত খুলে খরচ করছে। কারণ শেয়ারের দাম বাড়লে ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা না এলেও মানসিকভাবে মানুষ নিজেকে সমৃদ্ধ মনে করে এবং খরচের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, এত বড় উল্লম্ফনের সুফল আসলে অল্প কয়েকটি আয়ের স্তরেই আটকে আছে; বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত এখনো মুদ্রাস্ফীতি, বাড়িভাড়া বা স্বাস্থ্যসেবার উচ্চ ব্যয় নিয়েই বেশি চিন্তিত। ফলে একই সময়ে যখন বিলাসপণ্যের বিক্রি বাড়ছে, তখন ডিসকাউন্ট স্টোরগুলো বলছে গ্রাহকরা আগের মতো ঝাঁপাচ্ছে না। নীতিনির্ধারকেরাও তাই একসঙ্গে দুটি চিত্র দেখতে পাচ্ছেন—সংখ্যাগুলো বলছে ব্যয় আছে, কিন্তু জরিপে মানুষ বলছে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা নিশ্চিন্ত নয়।
আগামী বছরের কৌশলে প্রভাব
এই বিভাজন ব্যবসা ও নগর অর্থনীতির জন্য স্পষ্ট বার্তা বহন করে। যাদের পোর্টফোলিও ফুলে উঠেছে, তারা এখন অভিজ্ঞতামুখী ব্যয়ে আগ্রহী—দামি খাবার, ভ্রমণ, স্মার্ট হোম বা ইলেকট্রিক গাড়ি—সবকিছুতেই; তাদের কাছে দাম দ্বিতীয় বিবেচনা। অন্যদিকে মধ্য ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো বেশি করে ছাড় খুঁজছে, মেরামত পিছিয়ে দিচ্ছে বা কিস্তিতে যাচ্ছি কি না তা হিসাব করছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, কিছু ধনী পরিবার শেয়ার থেকে অর্জিত বাড়তি সম্পদ দিয়ে স্থানীয় সামাজিক উদ্যোগেও দান করছে, যা সমাজে একটি ইতিবাচক স্রোত তৈরি করে। কিন্তু সবটাই দাঁড়িয়ে আছে সীমিত কয়েকটি ভিত্তির ওপর—বাজারের উঁচু মূল্যায়ন, এআই শেয়ারের টিকে থাকা, আর সুদের হার কমার প্রত্যাশা। এর যেকোনো একটি নড়ে গেলে এখনকার “আমি ভালো আছি” ধরনের ব্যয় খুব দ্রুতই গুটিয়ে যেতে পারে। তাই ২০২৫ সালের এই আর্থিক পুনরুদ্ধারকে অনেকেই বলছেন “অ্যাসেট-চালিত” পুনরুদ্ধার—যেখানে বেতন নয়, মূলধনের মূল্যই মানুষের আচরণ নির্ধারণ করছে।