১১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক

শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত
দেশের পুঁজিবাজারে চলমান নিম্নমুখী ধারা সোমবারও থামেনি। ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের লেনদেন নেমে আসে ৩০০ কোটি টাকার নিচে, সূচকেও দেখা যায় আরও পতন।

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৩৯ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) কমেছে ১১ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) কমেছে ১৮ পয়েন্ট।


লেনদেন ও শেয়ারের অবস্থা
ডিএসইতে দিনের মোট লেনদেন হয় ৩৫৬ কোটি টাকার, যা আগের দিনের ৪০২ কোটি টাকার তুলনায় কম।

বাজারে ২৭৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে, মাত্র ৭০টির বেড়েছে এবং ৪১টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনটি ক্যাটাগরি—এ, বি ও জেড—সবগুলোতেই ক্ষতি হয়েছে।

এ-ক্যাটাগরির ১৪৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪৩টির শেয়ারদর বেড়েছে, বাকি ১০১টির কমেছে।


ব্লক মার্কেটের লেনদেন ও শীর্ষ কোম্পানি
ব্লক মার্কেটে মোট ২৮টি কোম্পানির ১১ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের, যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

দিনের সেরা পারফর্মার ছিল পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, যার শেয়ারের দর বেড়েছে ১৩ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে ফেয়ারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের দর ৯ শতাংশের বেশি কমে দিনের সবচেয়ে খারাপ পারফর্মার হয়।


চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র
বাজারের নেতিবাচক প্রবণতা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রধান সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে যায়।

সিএসইতে ১২৭টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ৩৭টির বেড়েছে এবং ৯টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দিনের মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি টাকার, যা আগের দিনের ২২ কোটি টাকার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

সিএসইতেও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে, শেয়ারমূল্য ১১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। বিপরীতে, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমে দিনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


বাজার বিশ্লেষণ
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়া, তারল্য সংকট এবং বাজারে নতুন প্রণোদনার অভাবের কারণে লেনদেনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। তারা বলছেন, বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে শক্তিশালী নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি জরুরি।


#বাংলাদেশ #পুঁজিবাজার #ডিএসই #সিএসই #অর্থনীতি #লেনদেন #শেয়ারবাজার

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই

শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

০৮:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত
দেশের পুঁজিবাজারে চলমান নিম্নমুখী ধারা সোমবারও থামেনি। ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের লেনদেন নেমে আসে ৩০০ কোটি টাকার নিচে, সূচকেও দেখা যায় আরও পতন।

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৩৯ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) কমেছে ১১ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) কমেছে ১৮ পয়েন্ট।


লেনদেন ও শেয়ারের অবস্থা
ডিএসইতে দিনের মোট লেনদেন হয় ৩৫৬ কোটি টাকার, যা আগের দিনের ৪০২ কোটি টাকার তুলনায় কম।

বাজারে ২৭৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে, মাত্র ৭০টির বেড়েছে এবং ৪১টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনটি ক্যাটাগরি—এ, বি ও জেড—সবগুলোতেই ক্ষতি হয়েছে।

এ-ক্যাটাগরির ১৪৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪৩টির শেয়ারদর বেড়েছে, বাকি ১০১টির কমেছে।


ব্লক মার্কেটের লেনদেন ও শীর্ষ কোম্পানি
ব্লক মার্কেটে মোট ২৮টি কোম্পানির ১১ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের, যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

দিনের সেরা পারফর্মার ছিল পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, যার শেয়ারের দর বেড়েছে ১৩ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে ফেয়ারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের দর ৯ শতাংশের বেশি কমে দিনের সবচেয়ে খারাপ পারফর্মার হয়।


চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র
বাজারের নেতিবাচক প্রবণতা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রধান সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে যায়।

সিএসইতে ১২৭টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ৩৭টির বেড়েছে এবং ৯টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দিনের মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি টাকার, যা আগের দিনের ২২ কোটি টাকার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

সিএসইতেও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে, শেয়ারমূল্য ১১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। বিপরীতে, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমে দিনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


বাজার বিশ্লেষণ
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়া, তারল্য সংকট এবং বাজারে নতুন প্রণোদনার অভাবের কারণে লেনদেনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। তারা বলছেন, বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে শক্তিশালী নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি জরুরি।


#বাংলাদেশ #পুঁজিবাজার #ডিএসই #সিএসই #অর্থনীতি #লেনদেন #শেয়ারবাজার