দুবাইয়ের হাত্তা পাহাড়ে শুরু হয়েছে প্রকৃতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনমেলা। হাত্তা উৎসব দুই হাজার পঁচিশের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতায় একত্র হন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক সংযোগ বাড়ানো, পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করা এবং দুবাইয়ের বৈচিত্র্যময় পর্যটন সম্ভাবনাকে নতুনভাবে তুলে ধরা।
প্রকৃতির মাঝে শুরু দিনের যাত্রা
কার্যক্রমের শুরু হয় সুহাইলা লেকের কাছে পঞ্চাশের বেশি অংশগ্রহণকারীর সমাবেশের মাধ্যমে। সেখান থেকে পরিবেশ গবেষকের নেতৃত্বে শুরু হয় পাহাড়ি ট্রেইলে হাঁটা। এই অভিযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা হাত্তা পাহাড়ের বন্যপ্রাণী, ভূপ্রাকৃতিক গঠন ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারেন। পুরো অভিজ্ঞতাই ছিল শেখা ও সচেতনতার এক জীবন্ত পাঠ।

সূর্যাস্তে ক্যাম্প আর রাতের আকাশ
দিন গড়িয়ে সূর্য যখন পাহাড়ের আড়ালে মিলিয়ে যায়, তখন লেকের তীরে ফিরে অংশগ্রহণকারীরা তাঁবু খাটান। সন্ধ্যার কর্মসূচিতে ছিল জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক ইন্টারঅ্যাকটিভ আলোচনা ও চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনা। তারাদের নাম চেনা ও মাসভিত্তিক তাদের দেখা যাওয়ার সময় নিয়ে প্রতিযোগিতাও যোগ করে বাড়তি আগ্রহ।
তারাভরা আকাশে ঐতিহ্যের গল্প
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সরাসরি তারামেলা পর্যবেক্ষণ। অভিজ্ঞ আলোকচিত্রী তারকাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, দিকনির্ণয় ও ভ্রমণের ঐতিহ্যবাহী গল্প তুলে ধরেন। পরিষ্কার আকাশের নিচে জ্ঞান আর ঐতিহ্যের এই মেলবন্ধন অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে ওঠে স্মরণীয়।

বন্যপ্রাণীর ফ্রেমে হাত্তা
আলোকচিত্র প্রেমীদের জন্য ছিল বিশেষ সেশন। দেশীয় আলোকচিত্রীর তত্ত্বাবধানে তারা হাত্তা অঞ্চলের পাখি ও প্রাণী জগৎ নথিভুক্ত করার কৌশল শেখেন। এই অভিজ্ঞতায় তোলা ছবিতে ফুটে ওঠে পাহাড়ি এলাকার স্বতন্ত্র সৌন্দর্য ও প্রাণপ্রবাহ।

উৎসব, কৃষি ও টেকসই পর্যটনের বন্ধন
এই ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতা হাত্তা উৎসব দুই হাজার পঁচিশের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। একই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়েছে হাত্তা কৃষি উৎসব, যেখানে দেশীয় কৃষক ও কৃষি উদ্যোগগুলো নিজেদের পণ্য ও সেবা তুলে ধরেছে। এর লক্ষ্য টেকসই চর্চা উৎসাহিত করা, কৃষিভিত্তিক পর্যটন বাড়ানো এবং হাত্তাকে একটি সমন্বিত কৃষি ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















