০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৯) বৈশ্বিক বক্স অফিসে ভারসাম্যের খোঁজ, ২০২৫ শেষে ২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন হাত্তা পাহাড়ে তারাভরা রাত ও প্রকৃতির পাঠ, ব্যতিক্রমী ক্যাম্পিংয়ে নতুন অভিজ্ঞতা স্মার্টফোন শিল্পে নতুন প্রবৃদ্ধির খোঁজ, ২০২৫ সালের শেষে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকচক্রের ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যেতে হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার আহ্বান কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারি বিভাগ ও শুকৃশির চুক্তি মিয়ানমারে সেনাবাহিনী সমর্থিত দলের অভূতপূর্ব অগ্রগতি গ্রামীণ শ্রমের অধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক

২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন

সমাধানহীন সামুদ্রিক ঝুঁকি
২০২৫ সালের শেষে এসে লোহিত সাগরে চলমান নিরাপত্তা ঝুঁকি বৈশ্বিক নৌপরিবহন খাতকে স্থায়ী অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেছে। একাধিক নৌবহরের টহল ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। ফলে শিপিং কোম্পানিগুলো এটিকে সাময়িক সংকট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবতা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সারা বছরজুড়ে কেপ অব গুড হোপ ঘুরে চলাচল অনেক ক্ষেত্রে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে সময় ও ব্যয় বাড়লেও ঝুঁকি এড়ানোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পণ্য পরিবহন ব্যয়, সরবরাহ সময়সূচি এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে।

অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া প্রভাব
এই অস্থিরতার প্রভাব কেবল শিপিং খাতেই সীমাবদ্ধ নয়। শিল্পকারখানাগুলোকে অতিরিক্ত মজুত রাখতে হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে। জ্বালানি বাজারেও প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জ্বালানি পরিবহনে।

সরকারগুলো ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করলেও দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ কাঠামো বদলে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে আঞ্চলিকীকরণের গতি বাড়াতে পারে।

দ্রুত সমাধানের বদলে সহনশীলতা
কূটনৈতিক উদ্যোগ চললেও বাস্তবতা বদলেছে। দ্রুত সমাধানের আশা কমে গিয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাই মূল কৌশল হয়ে উঠেছে। ২০২৬ সালে প্রবেশের সময় বিশ্ব যেন এই অস্থিরতাকে সহ্য করার মানসিকতা নিয়েই এগোচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৯)

২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন

০১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

সমাধানহীন সামুদ্রিক ঝুঁকি
২০২৫ সালের শেষে এসে লোহিত সাগরে চলমান নিরাপত্তা ঝুঁকি বৈশ্বিক নৌপরিবহন খাতকে স্থায়ী অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেছে। একাধিক নৌবহরের টহল ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। ফলে শিপিং কোম্পানিগুলো এটিকে সাময়িক সংকট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবতা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সারা বছরজুড়ে কেপ অব গুড হোপ ঘুরে চলাচল অনেক ক্ষেত্রে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে সময় ও ব্যয় বাড়লেও ঝুঁকি এড়ানোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পণ্য পরিবহন ব্যয়, সরবরাহ সময়সূচি এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে।

অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া প্রভাব
এই অস্থিরতার প্রভাব কেবল শিপিং খাতেই সীমাবদ্ধ নয়। শিল্পকারখানাগুলোকে অতিরিক্ত মজুত রাখতে হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে। জ্বালানি বাজারেও প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জ্বালানি পরিবহনে।

সরকারগুলো ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করলেও দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ কাঠামো বদলে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে আঞ্চলিকীকরণের গতি বাড়াতে পারে।

দ্রুত সমাধানের বদলে সহনশীলতা
কূটনৈতিক উদ্যোগ চললেও বাস্তবতা বদলেছে। দ্রুত সমাধানের আশা কমে গিয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাই মূল কৌশল হয়ে উঠেছে। ২০২৬ সালে প্রবেশের সময় বিশ্ব যেন এই অস্থিরতাকে সহ্য করার মানসিকতা নিয়েই এগোচ্ছে।